মিশরের রাজধানী কায়রো থেকে ১৬৫ মাইল দূরে আল-গোরিফা নামে একটি পাণ্ডববর্জিত জায়গায় খনন কাজ চালাচ্ছিলেন একদল গবেষক। তাঁদেরই প্রথম নজরে পড়ে।
মাটির নিচে চাপা দেওয়া আছে প্রায় ২৫০০ বছর পুরনো একটি পারিবারিক সমাধিক্ষেত্র। যাকে কেন্দ্র করে সেই পরিবারের সমাধিক্ষেত্র, তিনি ছিলেন তখনকার দিনের একজন উচ্চশ্রেণির পুরোহিত। তাঁর দেহ মমি করে রাখা ছিল একটি সারকোফেগাসের মধ্যে।
সারকোফেগাস অর্থাৎ পাথরের তৈরি কফিন। যার মধ্যে মমি করে সযত্নে দেহ রাখা হত সে সময়ে। ওই মমির দেহ জুড়ে মিলেছে প্রচুর সোনার অলঙ্কার। হাতে তৈরি জিনিসপত্র।
ওই মমির সঙ্গে আরও ২টি মমি উদ্ধার হয়েছে। একটি মমি তেমন ভাল করে সাজানো নয়। গবেষকদের ধারনা তিনি ছিলেন মিশরের দেবতা থোঠ-এর গায়ক। তাই তাঁর দেহ পুরোহিতের মত অতটা সাজানো ছিলনা।
আরও একটি মোমের মাথা উদ্ধার হয়েছে। বেশ রহস্যে ভরা। তবে তিনিও ছিলেন মিশরের সে সময়ের প্রথম শ্রেণির পুরোহিত। এছাড়া সে সময়ের একটি বোর্ডের খেলা, একটি কুকুরের দেহাবশেষ উদ্ধার হয়েছে।
এই অভিযানটি গবেষকরা লাইভ সম্প্রচারও করেন। দেখানো হয় ডিসকভারি চ্যানেলে। ২৫০০ বছর পুরনো মমির খোঁজ মেলা অবশ্যই একটি বড় খোঁজ। এই খোঁজের লাইভ সম্প্রচার লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষ করেন।
এমন আরও হয়ত কত কত মমি মাটির তলায় এখনও পড়ে আছে মিশর জুড়ে। যার খোঁজও একদিন না একদিন হয়তো মিলবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা