স্বামী রাতভর কাটায় বাহিরের মেয়েদের সঙ্গে বা মোবাইল ফোনে কথ বলে। এর চেয়ে একজন স্ত্রীর কাছে দুঃখের কি বা হতে পারে। কিন্তু শুধু তো দুঃখ পেলেই হবে না। স্বামীকে কেমন ভাবে নিজের আঁচলের সঙ্গে বেঁধে রাখবেন সেই পন্থাও তো জানতে হবে।
স্ত্রীদের জন্য সেই পন্থাই বলে দিলেন অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত সেই নারীটি।
১৷ স্বামীর শারীরিক আকাঙ্ক্ষা খেয়াল রাখুন:
কথায় আছে,মন পড়তে মেয়েদের জুরি মেলা ভার! সেই গুণটা কাজে লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। চট করে স্বামীর মন পড়ে ফেলুন। জানুন তাঁর শারীরিক আকাঙ্ক্ষা সে কী চায়? তার ভাল লাগা, খারাপ লাগা বুঝে নিন। অফিস থেকে ফেরার পরে স্বামীর সামনে এমন ভাবে নিজেকে তুলে ধরুন যাতে আপনার মধ্যেই যেন মজে থাকে তিনি। রাতেও আপনাকে ছাড়া কোন দিকে যেন না তাকায় স্বামী।
২৷ অনেক বেশি সংবেদনশীল হন:
ছেলেরা সাধারণত মেয়েদের থেকে অনেক বেশি সংবেদনশীল হয়ে থাকেন। শারীরিক জীবনে আপনি যদি সন্তুষ্ট না হয়ে থাকেন তাহলে তার জন্য নিজেদেরকেই দায়ী করে থাকেন হয়তো। যা স্বামীকে মানসিকভাবে ভেঙে ফেলতে পারে। নিজের মনের মধ্যে কথা চেপে না রেখে তাকে বোঝান আপনি কতটা সুখী।
৩৷ পরামর্শ দিন:
কাজের চাপে যেগুলো ভুলে যান সেগুলোকে মনে করিয়ে দিন। যেমন ধরুন তাকে এটা মনে করিয়ে দিলেন, ফোনে মায়ের খোঁজ-খবর নেয়া উচিত। কিংবা তার পোর্ট ফোলিওতে এ বার একটু বদল আনা দরকার। তাকে জানান, কোন কোন কোম্পানিতে তিনি ইন্টারভিউ দিতে পারেন।
৪৷ ঘরের কাজেও স্বামীকে দায়িত্ব দিন:
শুধু অফিস আর বাইরের কাজ নয়, সপ্তাহে অন্তত এক দিন তার ওপরই ঘরের বেশির ভাগ কাজটা ছেড়ে দিন। যেমন ধরুন দুপুরে কী খাবেন তার সিদ্ধান্ত আপনি নিন। কিন্তু রান্নার দায়িত্ব সম্পূর্ণ স্বামীকে দিন। তেমনই ঘর পরিষ্কার এবং গুছানোর কাজটাও না হয় একদিন তার ওপরই ছেড়ে দিলেন। তবে অবশ্যই তদারকি করতে ভুলবেন না।
৫৷ সম্মান করুন:
আগেই বলেছি, সারাদিন স্বামীর ওপরে খিট খিট করা মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়। স্বামীকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিজেকে তার দ্বিগুণ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। খিটখিট, ভুল করলে চোখ রাঙানো বা কড়া কথা তো চলতেই থাকবে। এটা ভাবার কোনো কারণ নেই যে, আপনার সব কথা কলুর বলদের মতো স্বামী মেনে চলবেন। দিনের শেষে কিন্তু স্বামীকে এটা বোঝানো হবে যে, আপনি তাকে কতটা সম্মানের চোখে দেখেন।
How to Make Your Family Life Happy :
https://youtu.be/tdoEAODU5DQ