শিশুর ঠাণ্ডার সমস্যা দূর করতে সহজ ৫ ঘরোয়া উপায় !!

শিশুর ঠাণ্ডার সমস্যা দূর করতে সহজ ৫ ঘরোয়া উপায় !!

ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে জ্বর, ঠান্ডা, কাশি আর্বিভাব হয়ে থাকে। বড়দের পাশাপাশি ছোটরাও ঠান্ডা কাশিতে আক্রান্ত হয়ে থাকে এই সময়। অনেকেই বাবা মায়েরা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই বাচ্চার সর্দি কাশি দূর করার জন্য ঠান্ডার ঔষুধ খাওয়ানোটা পছন্দ করে থাকেন।

কিন্তু এইরকম হুটহাট ঔষুধ খাওয়ানোটা বাচ্চার জন্য নিরাপদ নয়। ঘরোয়া কিছু উপায়ে শিশুর ঠান্ডা কাশি দূর করা সম্ভব। আসুন সেই কার্যকরী উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক।

১। পর্যাপ্ত বিশ্রাম

আপনার শিশুটি ঠান্ডায় আক্রান্ত হলে, রোগ জীবাণু তার শরীরে বাসা বাঁধে। যা তাকে দুর্বল করে তোলে। তাই এইসময় শিশুটির পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রামের প্রয়োজন পড়ে। এটি শরীরের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শক্তি দিয়ে থাকে।

২। গরম পানির ভাঁপ

কুসুম গরম পানিতে শিশুটিকে গোসল করাতে পারেন। এছাড়া একটি পাত্রে গরম পানি নিয়ে সেটি দিয়ে শিশুটিকে ভাপ দিন। এইভাবে শিশুটিকে কিছুক্ষণ রাখুন। গরম পানির ভাব শিশুর নাকের ছিদ্র পরিষ্কার করে দিয়ে থাকে। এছাড়া বাথটবে গরম পানি দিয়ে সম্পূর্ণ বাথরুমটি বাষ্পীয় করে নিন। এবার এতে শিশুটিকে ১৫ মিনিট রাখুন। এটিও আপনার শিশুটির ঠান্ডা কমিয়ে দেবে।

৩। নাকের ড্রপ

বাজারে নানা কোম্পানির নাকের ড্রপ কিনতে পাওয়া যায়। আপনি চাইলে এই ড্রপ ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন। একটি পাত্রে ৪ চা চামচ গরম পানিরে সাথে ১/২ চা চামচ লবণ দিয়ে ভাল করে জ্বাল দিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে এটি নাকের ড্রপ হিসেবে ব্যবহার করুন।

৪। রসুন এবং মৌরি

রসুন এবং মৌরিতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ভাইরাল উপাদান থাকে, যা শিশুর ঠাণ্ডা দূর করতে সাহায্য করে। ২টি ভাজা গুঁড়ো করা রসুন কোয়া এবং ১ টেবিল চামচ মৌরি ভাল করে ভেজে নিন। এবার এটি একটি পরিষ্কার কাপড়ে বেঁধে পুটলি তৈরি করে নিন। এবার এটি শিশুর ঘুমানোর স্থানে রেখে দিন। এটি গরম হয়ে এলে এর থেকে বের হওয়া বাষ্প শিশুর বন্ধ নাক খুলে দিবে।

৫। টমেটো এবং রসুনের স্যুপ

ঠাণ্ডার সময় শরীরে পানির অভাব দেখা দিয়ে থাকে। তাই এইসময় প্রচুর পরিমাণে পানি এবং পানি জাতীয় খাবার খাওয়ানো উচিত। টমেটো এবং রসুনের স্যুপ হতে পারে সবচেয়ে ভাল পানীয় জাতীয় খাবার। এটি শরীরে পানির চাহিদা পূরণ করার সাথে সাথে ঠাণ্ডা কমিয়ে দেবে।

সর্দি, জ্বরের সময় শিশুকে ঘুমানোর সময় তাঁর মাথাটি কিছুটা উঁচু করে রাখুন। এতে করে তার শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়া অনেকটা সহজ হবে। এছাড়া গরম পানির সাথে এক চামচ মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন। এটিও আপনার শিশুটিকে আরাম দেবে।

Related Posts

রোজা রেখে অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে কী করবেন!

রোজার মাসে সবাই যেন খাবারের প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে। সারা দিন না খাওয়ার অভাবটুকু ইফতারে পুষিয়ে নেওয়ার জন্য কি এই প্রতিযোগিতা? কে কত খেতে বা রান্না করতে পারে।…

গলার অতিরিক্ত চর্বি কমানোর ১০টি সহজ উপায়…

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই লক্ষ্য করছেন তো জিনিসটা? আর ভাবছেন কী বাজে লাগছে মুখটা! অতিরিক্ত কী একটা ঝুলছে! আজ্ঞে হ্যাঁ, আমি গলায় জমে থাকা…

জানেন কি গরমে খাবারের চার্ট কেমন হওয়া উচিত?

গরমে অস্বস্তিতে সবাই। এরমধ্যে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় অনেকের ক্ষেত্রে বিভিন্ন শারীরিক অসুবিধা দেখা দিচ্ছে। তাই গরমে সুস্থ থাকতে ঠিকঠাক খাবার চার্ট খুবই জরুরি-…

বয়স অনুযায়ী আপনার শিশুর প্রতিদিন কতটুকু পানি প্রয়োজন

বাচ্চার কতটুকু পানি প্রয়োজন সেটি আসলে নির্ভর করে বাচ্চার অবস্থা, ওজন ও বয়সের ওপর। জ্বর বা অসুখের সময় পানির বেশি প্রয়োজন। বেশি গরম পড়লে, খেলাধুলা করলে বেশি…

শারীরিক সৌন্দর্য বারাতে ও ওজন কমাতে রইল ১৪ টি সহজ ঘরোয়া উপায়

মাঝে মাঝে ব্যয়াম ও কখনো কখনো ডায়েট করে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন করাটা আসলেই দুঃসাধ্য।শরীরের বাড়তি মেদ নিয়ে আজকাল অনেকেই চিন্তিত। সুস্বাস্থ্যের জন্য তো বটেই, শারীরিক সৌন্দর্যের…

ওভেনের খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়!

কম সময়ে খাবার গরম করতে মাইক্রোওয়েভ ওভেনই ভরসা। আধুনিক এই যন্ত্রটি জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। নামমাত্র সময়ে ঠান্ডা খাবার গরম করার এর চেয়ে ভাল উপায় আর নেই।…