ছোট-বড় সবার জন্য উপকারী পানীয় দুধ। সম্ভব হলে প্রতিদিন দুধ পানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদরা। কী এমন উপকার হয় দুধ পানে? চলুন জেনে নেই-
হাড় মজবুত করার জন্য প্রয়োজন মিনারেল, ক্যালসিয়াম। দুধে এই দুটো আছে প্রচুর পরিমাণে।
যেসব শিশু নিয়মিত দুধ পান করে, তারা বড়ো হলে সুস্থ, সবল থাকে। কম বয়সী এমনকি বেশি বয়সী নারীদের হাড় মজবুত রাখার জন্য দুধ পান জরুরি। নিয়মিত দুধ পানে নারীরা হাড়ের অসুখ অস্টিওপোরোসিস থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
দুধে খুব ভালো পরিমাণে ভিটামিন ডি আছে, যা ক্যালসিয়াম শোষণ করে হাড় তৈরিতে সাহায্য করে ও মোটা হয়ে যাওয়া রোধ করে।
শিশুদের দাঁতের গঠন সুন্দর করতে হলে তাদের নিয়মিত দুধ পানে উৎসাহিত করতে হবে। দুধ দাঁতের ক্ষয়রোগ ও ক্যাভিটি রোধ করে।
নিয়মিত দুধ পান করলে ক্ষতিকর সফট ড্রিংক পানের বদভ্যাস বন্ধ হয়। দুধ মুখের লালা প্রবাহ স্বাভাবিক রাখে, এতে দাঁতে প্লাক হওয়ার ঝুঁকি কমে।
কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, দুধ আসলে শরীরের ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এক গ্লাস দুধ একটি সুষম খাবার।
শিশু ও কম বয়সী নারীদের জন্য সব সময় শরীরে পানির পরিমাণ বেশি থাকা চাই। দুধে যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকে। তাই যে কারো শরীরে পানির পরিমাণ বাড়াতে দুধ পান করালেই হলো, অন্য কোনো সফট বা এনার্জি ড্রিংকের প্রয়োজন নেই।
যদি কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন, তাহলে রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধ পান করুন। এতে আপনার পরিপাক ভালো হবে।
মানসিক চাপ কমাতে দুধ খুব উপকারী। কারণ এতে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেল থাকে যা আপনাকে সুস্থ, সবল রেখে মানসিক চাপ কমিয়ে দেয়। তাই রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধ পান করলে সহজেই মানসিক চাপ কমে যায়।