বলেন কী ভাই! এটা খেলে চোখের ক্ষমতা বাড়বে! একেবারেই। সম্প্রতি একটি গবেষণা পত্র প্রকাশিত হয়েছে তাতে একথা জলের মতো স্পষ্ট হয়ে গেছে যে লাল চায়ের সঙ্গে দৃষ্টিশক্তির ভাল-মন্দের সরাসরি যোগ রয়েছে।
এই গবেষণাটি চলাকালীন বিশেষজ্ঞরা লক্ষ করেছিলেন দিনে একবার মাত্র চা খেলেই শরীর এবং চোখের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে গ্লকোমার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৭৪ শতাংশ কমে যায়।
প্রসঙ্গত, গ্লকোমা রোগে আক্রান্ত হলে চোখের অন্দরে চাপ বাড়তে শুরু করে।
ফলে অপটিক নার্ভ এত মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্থ হয় যে দৃষ্টিশক্তি কমতে শুরু করে।
আর সবথেকে ভয়ের বিষয় হল গত কয়েক বছরে ভারতের পাশাপাশি সারা বিশ্বে অন্ধত্বের সবথেকে বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে গ্লকোমা।
এমন পরিস্থিতিতে এই আবিষ্কার যে অনেকাংশেই আশার আলো জ্বালাবে, তা বলাই বাহুল্য!
কিন্তু চা পানের সঙ্গে দৃষ্টিশক্তির উন্নতির সম্পর্কটা ঠিক কোথায়? আসলে চায়ের মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ এংব নিউরো প্রোটেকটিভ কেমিকাল এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
তবে এই উপাদানগুলি যে শুধু চোখেরই খেয়াল রাখে, এমন নয়। সেই সঙ্গে আরও নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। যেমন…
হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়:
প্রতিদিন লাল চা খেলে হজম ক্ষমতা ভাল হতে শুরু করে।
আসলে এতে রয়েছে টেনিস নামে একটি উপাদান, যা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশপাশি গ্য়াস্ট্রিক এবং নানা ধরনের ইন্টেস্টিনাল রোগ সরাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ক্যান্সার রোগকে প্রতিরোধ করে:
একদম ঠিক শুনেছেন। প্রতিদিন কয়েক কাপ লাল চা আপনাকে এই মারণ রোগের হাত থেকে বাঁচাতে পারে।
আসলে এই পানীয়তে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপাটিজ সহ এমন কিছু উপাদান, যা লাং, প্রস্টেট, কলোরেকটাল, ব্লাডার, ওরাল এবং ওভারিয়ান ক্যান্সারকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।
শুধু তাই নয়, লাল চা শরীরের যে কোনও অংশে ম্যালিগনেন্ট টিউমারের বৃদ্ধি আটকাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
হার্ট চাঙ্গা হয়ে ওঠে:
হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে লাল চায়ের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
আসলে এই পানীয়তে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপাটিজ হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমিয়ে দেয়।
প্রসঙ্গত, স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমাতেও লাল চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ওজন হ্রাস করে:
লাল চা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। ফলে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমার সুযোগই পায় না।
তাই আপনি যদি ওজন কমাতে বদ্ধপরিকর হন, তাহলে আজ থেকেই খাওয়া শুরু করুন এই পানীয়।
হাড়কে শক্তপোক্ত করে:
লাল চায়ে উপস্থিত ফাইটোকেমিকালস হাড়কে শক্ত করে। ফলে আর্থ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়:
নিয়মিত লাল চা পানের অভ্যাস করলে স্কিন টোনের উন্নতি ঘটে, সেই সঙ্গে সার্বিকভাবে সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পায়।
আসলে এই পানীয়টিতে উপস্থিত ভিটামিন বি২, সি, ই, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং জিঙ্ক এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
সেই সঙ্গে স্কিন ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
প্রসঙ্গত, লাল চা পান করলে ত্বকের বয়সও নাকি কমতে শুরু করে, এমনটাই দাবি করা হয়েছে বেশ কিছু স্টাডিতে।