গর্ভকালে প্রতিটি নারীর খাওয়া দাওয়ার উপর কিছু বিধিনিষেধ থাকে। গ্যাসের সমস্যা, খাদ্য অরুচি, বমি বিভিন্ন কারণে এই সময় অনেকেই ঠিকমত খাবার খেতে পারেন না। এইসময় এমন সব খাবার খাওয়া উচিত যা মা এবং বাচ্চা উভয়ের জন্য ভাল। ডাবের পানি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী কম বেশি সবার জানা। গর্ভবতী মায়েদের জন্যও এটি অনেক উপকারী, সেটি কি জানেন ? এটি শরীর হাইড্রেট করে থাকে। ডাবের পানিতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, রিবোফ্লোবিন, ভিটামিন সি এবং ইলেক্ট্রোলাইট আছে। শুধু তাই নয় এতে রয়েছে ফাইবার, সোডিয়াম, প্রোটিন এবং অল্প পরিমাণে চিনি। এই একটি পানীয় থেকে একজন গর্ভবতী নারী তার প্রয়োজনীয় সব উপাদান পেয়ে থাকে।
১। প্রতিদিনের পানির চাহিদা পূরণ
একজন গর্ভবতী মহিলার পানির চাহিদা অন্যান্য সবার থেকে বেশি থাকে। কারণ তার নিজের চাহিদার সাথে সাথে অনাগত শিশুর পানির চাহিদাও পূরণ করতে হয়। এটি শরীরে রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করে থাকে।
২। ইলেক্ট্রোলাইট যোগান দিয়ে থাকে
গর্ভবতী নারী প্রচুর পরিমাণ ইলেক্ট্রোলাইটের প্রয়োজন পরে। এই উপাদানটি শরীর হাইড্রেড করে থাকে। ডাবের পানির সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং পটাসিয়াম শরীরে প্রয়োজনীয় চার্জ দিয়ে থাকে।
৩। হাইপারটেশন প্রতিরোধ করতে
অনেক গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভকালীন সময় হাইপারটেশন বা উচ্চ রক্তচাপ সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। হাইপারটেশন বা উচ্চ রক্তচাপ বাচ্চা এবং মা উভয়ের জন্য ক্ষতিকর। ডাবের পানি উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে দিয়ে হাপারটেশন হ্রাস করতে সাহায্য করে থাকে।
৪। সঠিক ওজন রাখতে
গর্ভকালীন সময় নারীদের সবচেয়ে বেশি সমস্যা সঠিক ওজন ধরে রাখা। কারোর ওজন বেড়ে যায়, আবার কারোর ওজন কম থাকে। ডাবের পানি সঠিক ওজন ধরে রাখতে সাহায্য করে থাকে। ডাবের পানিতে জিরো ফ্যাট এবং কোলেস্টেরেল আছে, তাই এটি পানে ওজন বৃদ্ধি হবার কোন ভয় নেই। তাই নির্ভয়ে প্রতিদিন এটি পান করতে পারেন।
৫। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
ডাবের পানিতে লিউরিক অ্যাসিড আছে। যার অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে দিয়ে থাকে।গর্ভকালীন সময় নিয়মিত ডাবের পানি পান করুন। তবে চেষ্টা করবেন টাটকা ডাবের পানি পান করার। বাসি বা ফ্রিজে রাখা ডাবের পানি পান করা থেকে বিরত থাকবেন।