বয়সের সঙ্গে ত্বকের এই ভাঁজ পড়ে যাওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই, খুব কম বয়সেও হতে পারে এটি। এই ভাঁজগুলো মূলত পড়ে গলায়, চোখের নিচে, ঠোঁটের আশেপাশে, হাতের কব্জিতে, স্তনে। কারও ত্বকের ইলাস্টিসিটি কমে গেলে এই ভাঁজগুলো সৃষ্টি হয়। নিম্ন মানের প্রসাধনী, রোদে সানস্ক্রিন ব্যবহার না করা, ত্বকের সঠিক যত্ন না করা, পুষ্টির অভাব, বয়স ইত্যাদি কারণে ত্বকের ইলাস্টিসিটি কমে যায়। হুট করে ওজন অনেকটা কমে গেলেও বা সঠিক ডায়েট না করলেও অনাকাঙ্ক্ষিত স্থানে ভাঁজ পড়তে পারে। এবং যদি সময় থাকতেই প্রতিকার করা না হয়, তাহলে এইসব ভাঁজগুলো ত্বকে স্থায়ী হয়ে যায়।
এমন সমস্যায় সবচাইতে কার্যকরী হচ্ছে ঘরোয়া সমাধান। কারণ এক্ষেত্রে চাই নিয়মিত যত্ন করা। ভাঁজ পড়া ত্বক আবার টানটান করে তোলার জন্য থাকছে খুব সহজ একটি রূপচর্চা পদ্ধতি। প্রতিদিন এই কাজটি চালিয়ে গেলে ৭ দিনেই বিস্ময়কর পরিবর্তন দেখতে পাবেন। নিয়মিত চালিয়ে গেলে ত্বকে আবারও ফিরে আসবে যৌবনের দীপ্তি।
যা লাগবে:
ডিমের সাদা অংশ একটি
খুব ভালো মানের অলিভ অয়েল
টক দই
লেবুর রস হাফ চা চামচ
যা করবেন:
-ডিমের সাদা অংশ ও লেবুর রস খুব ভালো করে ফেটিয়ে ফোম করে নিন। কেক তৈরি করার সময়ে যেমন ফোম তৈরি করা হয়, তেমন।
-ত্বক ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। তারপর এই সাদা অংশের ফোম ভালো করে ত্বকে মেখে নিন। একটু শুকিয়ে গেলে ওপরে আবারও মাখুন।
-২০/২৫ মিনিট পর ত্বক ধুয়ে নিন। এবার ত্বকে মেখে নিন তাজা ও ঘন টক দই।
-আবারও ২০/২৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
-ভালো করে তোয়ালে দিয়ে মুছে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করে লাগিয়ে নিন। অন্তত ৪/৫ মিনিট ম্যাসাজ করবেন। এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে।
খুব ভালো হয় যদি রাতে শোবার আগে এই কাজটি করতে পারেন। নিয়মিত ধৈর্য নিয়ে করলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে অন্য কিছুর প্রয়োজন হবে না। বাড়তি পাওনা হিশেবে থাকবে নরম ও কোমল ত্বক, দূর হবে কালো দাগ, ব্রণের সমস্যাও চলে যাবে।
পরামর্শ দিয়েছেন
নিলুফার ইয়াসমিন (বিউটিশিয়ান ও এরোমা থেরাপিস্ট)
রূপকথা’স বিউটি সিক্রেট।