অদ্ভুত গর্ভাবস্থার পরীক্ষা- আজকাল, অনেক ধরনের গর্ভাবস্থা পরীক্ষার সরঞ্জামের বিজ্ঞাপন টিভিতে আসে । এই সরঞ্জামের মাধ্যমে, কয়েক মিনিটের মধ্যে একটি মহিলা গর্ভবতী কি না তা জানতে পারে ।
কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবেছেন যে এই গর্ভাবস্থা পরীক্ষার সরঞ্জাম ছাড়া কীভাবে একজন মহিলা গর্ভবতী কি না তা নির্ণয় করতে পারবে ?
আমরা ইতিহাসের পিছনে যত ফিরে যাই, নারীর অবস্থা আরও খারাপ দেখতে পাই । গর্ভাবস্থা পরীক্ষারও কিছু এমনই ঘটনা আছে । অতএব দেখা যাক, অতীতে গর্ভাবস্থা পরীক্ষা কি করে করা হত। এই পরীক্ষা বেশ অদ্ভুত এবং বোকামী বলে মনে হয়। এবং কিছু পরীক্ষা এমনও আছে যা আপনি সেগুলি পড়লে ঘৃনা করবেন ।
দেরীর কিসের ? অবিলম্বে এই গল্পটি পড়ুন। তথ্য জানা মহান কাজ ।
পেঁয়াজের সাথে পরীক্ষা
এই পরীক্ষায় মহিলাকে তার যোনিতে পেঁয়াজ বা কোনও ঝাঁজালো গন্ধযুক্ত সব্জি রাখতে বলা হতো । যদি মহিলার নিঃশ্বাস থেকে সেই সব্জির গন্ধ আসে, তবে মনে করা হত যে সে গর্ভবতী নয়। এবং যদি গন্ধ না আসে, তবে সে গর্ভবতী বলে বিবেচিত হত ।
গম এবং বার্লির সঙ্গে পরীক্ষা
এই অদ্ভুত পরীক্ষায় মহিলার গর্ভাবস্থার সাথে সাথে, সন্তানের লিঙ্গ বলে দেওয়া হত । এতে একটি ব্যাগে গম এবং বার্লি মিশ্রিত করে কয়েক দিনের জন্য সেই ব্যাগটিতে প্রস্রাব করতে বলা হতো ।
কয়েকদিন প্রস্রাব করার পর যদি গম অঙ্কুরিত হয় তবে মনে করা হতো যে তার পেটে একটি মেয়ে আছে এবং যদি বার্লি অঙ্কুরিত হয় তবে ধারণা করা হত যে তার পেটে একটি ছেলে আছে । যদি কিছুই না অঙ্কুরিত হতো তবে মনে করা হতো যে সে
গর্ভবতী নয়।
দেখুন কিভাবে জোঁক দিয়ে গর্ভাবস্থার পরীক্ষা করা হতো ।
জোঁক দিয়ে পরীক্ষা
এই পরীক্ষায় মহিলার মূত্র একটি বাটিতে রাখা হত এবং জোঁক কে তার মধ্যে ছেরে দেওয়া হত । যদি জোঁক পাত্রের উপরে দাগ ফেলে, তাহলে মহিলাটিকে গর্ভবতী বলে মনে করা হত।
রিবন পরীক্ষা
এই পরীক্ষায় মহিলাটির মূত্র একটি পাত্রের মধ্যে ভরে তাতে একটি ফিতা রাখা হত । তারপর মহিলাকে সেই ফিতে সোঁকার জন্য বলা হতো । যদি গন্ধ শুঁকে নারীর বমি করার ইচ্ছা হতো তো, তবে মহিলাকে গর্ভবতী বিবেচিত করা হত ।
দেখুন কোলগেট দিয়ে কিভাবে গর্ভাবস্থা পরীক্ষা করা হতো ।
বিয়ার এবং খেঁজুর দিয়ে পরীক্ষা
এই পরীক্ষায় খেঁজুর পিষে বিয়ারের সঙ্গে মিশ্রিত করা হতো । তারপর সেই মিশ্রনের উপর মহিলাকে বসানো হত । মহিলার বমি হলে সে গর্ভবতী বিবেচিত হতো ।
কোলগেট পরীক্ষা
কোলগেট পরীক্ষা পুরোনো শুধুমাত্র সময়ে নয় বরং এখনও অনেক জায়গায় করা হয় । এই পরীক্ষায়, একটি পাত্রে কোলগেট নেওয়া হয় এবং তাতে মহিলার প্রস্রাব মিশ্রিত করা হয়। যদি সেটিতে ফেনা হয় তাহলে তাকে গর্ভবতী বলে মনে করা হয়।
এরপর দেখবেন নারীদের দুধ দিয়ে কীভাবে গর্ভাবস্থার পরীক্ষা করা হতো ।
পীরিয়ডের পরীক্ষা
এই পরীক্ষায় মধুর সঙ্গে তৈরি একটি পানীয় মহিলাদের খাওয়ানো হতো । যদি এটি পান করার পর তার পীরিয়ড হয়ে যেতো তো তাকে গর্ভবতী মানা হতো । যদিও বিশ্ব বিশ্বাস করে যে পীরিয়ড হওয়া গর্ভবতী না হওয়ার লক্ষণ।
দুধের পরীক্ষা
এই পরীক্ষায় মহিলাকে এমন একজনের দুধ খাওয়ার কথা বলা হতো যার ছেলে আছে । যদি দুধ পান করার পর মহিলার বমি হয়ে যায় তবে সে গর্ভবতী বলে বিবেচিত হতো ।
এরপর দেখুন একটি অদ্ভুত গর্ভাবস্থা পরীক্ষা ।
প্রস্রাব পরীক্ষা
এই পরীক্ষা কিছু দক্ষ মানুষ করত । তারা একটি মেয়ের প্রস্রাব পাত্রে নিয়ে তার বিশ্লেষণ করত । তারা তার রঙ বা বাকি সব দেখে বলে দিত যে সে গর্ভবতী কি না । এই ছাড়াও, কখনও কখনও তারা প্রস্রাবের মধ্যে ওয়াইন যোগ করে তার প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করতো ।
আপনি যদি এই নিবন্ধটি পছন্দ করেন তাহলে এটি আপনার প্রিয়জনের সাথেও শেয়ার করুন।