রুটির জন্য উপকরণ: ময়দা ৩ কাপ। ইস্ট ১ টেবিল-চামচ (একটু উঁচু করে )। চিনি ৩ টেবিল-চামচ। গুঁড়াদুধ ২ টেবিল-চামচ। লবণ ১ চা-চামচ। গলানো মাখন অথবা তেল ৪ টেবিল-চামচ। কুসুম গরম পানি পরিমাণ মতো।
বাটার ক্রিমের জন্য উপকরণ: নরম মাখন ৩ টেবিল-চামচ। আইসিং সুগার (চেলে নেওয়া) আধা কাপ থেকে একটু বেশি। ভ্যানিলা এসেন্স ১ চা-চামচ। ঠাণ্ডা দুধ ২ টেবিল-চামচ।
বান বা রুটি তৈরির পদ্ধতি: প্রথমে একটা বড় বাটিতে ময়দা, ইস্ট, গুঁড়াদুধ, লবণ, চিনি ও গলানো মাখন একসঙ্গে মিশিয়ে নিন।
এখন পরিমাণ মতো কুসুম গরম পানি অল্প অল্প করে দিয়ে নরম খামির অথবা ডো বানাতে হবে। প্রথমে খামিরটা একটু আঠালো মনে হবে এবং হাতে কিছুটা লেগে যাবে। ছয় থেকে সাত মিনিট ভালো করে মথে নিলেই খামিরটা নরম ও মসৃণ হয়ে যাবে এবং আর হাতে লাগবে না।
তখন যে বাটিতে খামির করা হয়েছে সেই বাটিতে সামান্য তেল মাখিয়ে খামিরটা বাটিতে রেখে, খামিরের উপরেও অল্প তেল মাখিয়ে ভালো ভাবে ঢেকে চুলার পাশে অথবা গরম জায়গায় রেখে দিতে হবে এক ঘণ্টা।
ডোটা ফুলে দ্বিগুন হয়ে গেল একদু-বার হালকা ভাবে মথে বান তৈরি করুন।
এই পরিমাণ খামির দিয়ে গোল বান হবে ৮টি। আর বেণির মতো করে করলে ৬টি হবে। পছন্দ মতো আকারে বান বানিয়ে বেইকিং ট্রেতে বানগুলো একটু দূরে দূরে রেখে ৩০ মিনিট ঢেকে রাখুন। আবার ফুলে দ্বিগুন হবে।
ইলেকট্রিক ওভেন ২০০ ডিগ্রিতে প্রিহিট করুন ১০ মিনিট। তারপর বান রাখা বেইকিং ট্রে ওভেন দিয়ে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট বেইক করতে হবে।
খেয়াল রাখবেন যখন বানগুলোর উপরটা বাদামি রং হয়ে আসবে তখন ওভেন থেকে বের করে সঙ্গে সঙ্গে বানগুলোর উপরে মাখন ব্রাশ করে ঠাণ্ডা করতে হবে।
বান হালকা গরম থাকতেই ফয়েল পেপার অথবা পলি ব্যাগ অথবা পরিষ্কার ন্যাপকিন দিয়ে ভালো করে মুড়িয়ে রাখুন। তাহলে রুটিটা নরম থাকবে।
এই ভাবে বাকিগুলো বেইক করে নিতে হবে।
বাটার ক্রিম তৈরি: একটা বাটিতে মাখন নিয়ে ইলেকট্রিক বিটার দিয়ে খুব ভালো করে বিট করতে হবে। যখন মাখনের রং সাদাটে হয়ে আসবে তখন অল্প অল্প করে আইসিং সুগার দিয়ে বিট করতে হবে।
আইসিং সুগার দেওয়ার পর ঠাণ্ডা তরল দুধ ও ভ্যানিলা দিয়ে আরও দুতিন মিনিট বিট করলেই ক্রিম তৈরি হয়ে যাবে।
এখন ঠাণ্ডা বানগুলোর মাঝে ছুরি দিয়ে কেটে ক্রিম লাগিয়ে মাখিয়ে নিন।
মনে রাখবেন: রুটি বা বানের খামির যত নরম হবে এবং যত ভালো করে মথা হবে, বান ততই নরম হবে। খামির বানানোর পর ঢেকে গরম জায়গায় রাখবেন ফোলার জন্য। না ফুললে বান ভালো হবে না। আবার বানের আকার দেওয়ার পরও ফোলার জন্য কিছুক্ষণ রাখতে হবে। না হলে বান নরম হবে না। বেইকিং ট্রেতে রাখার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন বানগুলোর মাঝে যথেষ্ট দুরত্ব থাকে। কারণ বেইক করার সময়ে বানগুলো আরও ফুলবে।