যে মা দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারন করেছেন আর সেই মাকে পিটিয়ে আহত করেছেন পাষন্ড সন্তানরা। কথা হয় ঐ মায়ের সাথে, দুই চোখ দিয়ে পানি ঝরছে মায়ের!
ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের ১ নং সিরাজপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের শাহাদাতপুর গ্রামের লোহারপুল এলাকায়।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মৃত আবদুর সাত্তার মিয়ার পুত্র বোরহান(২৮) ২ বছর আগে বিয়ে করে ওমান পাড়ি দেন।এর কিছুদিন পর থেকে তার বউ নানান অনিয়মে লিপ্ত হয়ে পড়ে।টাকা-পয়সা আর সংসার যদিও বউয়ের হাতে কেবল অবাধে চলাফেরার স্বাধীনতার জন্যই বউ তৈরি করেন নানান রকম কৌশল!প্রতিদিনই মায়ের বিরুদ্ধে ফোনে ইনিয়ে বিনিয়ে বলে ছেলেকে মায়ের শত্রুতে পরিনত করেছে স্ত্রী।ছেলে বরহান ক্ষিপ্ত হয়ে মায়ের জন্য খরচের টাকা পাঠানোই বন্ধ করে দিয়েছে।
পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, ছেলে কয়েকদিন আগে বিদেশ থেকে এসে বউয়ের কথার সূত্র ধরে মা শামসুন্নাহারের গায়ে কয়েকবার আঘাত করে। বোরহান বিদেশ যাওয়ার পূর্বে শামসুন্নাহার নিজ কন্যা থেকে নিজে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা ধার নিয়ে বোরহান কে দেয়।সে ধারকৃত টাকা পরিশোধ করতে অনুরোধ করতে না করতে ৭ মে,সোমবার দুপুরে পুনঃ মা শামসুন্নাহারের সাথে খারাপ ব্যাবহার করে এবং পিটিয়ে জখম করে।এ সময় ইট দিয়ে আঘাত করলে মাথা ফেটে যায়।
মাথা ফেটে যাওয়ার পর ছেলে বোরহান এবং কামাল মিলে মা কে একটি রুমে ঢুকিয়ে তালা মেরে দেয়।মায়ের চিৎকারে পুরো বাড়ির মানুষ চলে এলে, লাঠি নিয়ে সবাইকে দৌড়ায়।পরে ভুক্তভোগীর মেয়ের জামায় কে বাড়ির মানুষে ফোন দিলে তিনি পুলিশ নিয়ে এসে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসকের সাথে এ বিষয়ে কথা বললে জানা যায়,মহিলাটির মাথায় পাঁচ সেলায় দেয়া হয়েছে এবং হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন, যাবতীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আসাদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন,অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযুক্ত বোরহান কে গ্রেফতার করা হয়েছে।