১. ঘরেই বানান মজাদার ফুচকা
ফুচকা পছন্দ করেনা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। একটু কষ্ট করলেই আমরা ঘরেই বানিয়ে ফেলতে পারি মুখরোচক ফুচকা। বাহিরের নোংরা পরিবেশে ঘরেই বানিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে উপভোগ করুন মজাদার ফুচকা।
উপকরণ :
১. আটা -১/২ কেজি বা আড়াই কাপ।
২. ময়দা- সোয়া কাপ।
৩. তাল মাখনা-৫ চা চামচ
৪. লবন-১ চা চামচ।
৫.পানি- প্রয়োজনমত
প্রস্তুত প্রণালী :
আটা, ময়দার সাথে তাল মাখনা ও লবন ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর অল্প অল্প পানি দিয়ে শক্ত খামির তৈরী করে নিন। সম্পূর্ন খামিরটাকে ১২ ভাগে ভাগ করে নিন। গোল করে রুটি বানিয়ে পাতলা ১ টি রুটির উপর শুকনো আটা ছড়িয়ে আর ১ টি রুটি দিয়ে হাত দিয়ে হালকা করে চেপে আবার একসঙ্গে বড় করে বেলুন। এবার কাটার দিয়ে কেটে গরম তেলে মুচমুচে করে ভেজে তুলুন।
টক তৈরী:
১. তেঁতুলের গোলা-১ কাপ।
২. চিনি- আধা কাপ।
৩. ধনেপাতা মিহি কুচি-২ টেবিল চামচ।
৪. কাঁচামরিচ-৪-৫ টি
৫.শুকনা মরিচ কুচি-৪-৫ টি।
৬.বিট লবন-১/২ চা চামচ।
৭.পানি ঝরানো দই-১ কাপ।
৮.লবন-১/২ চা চামচ।
প্রস্তুত প্রণালি :
তেঁতুল গোলা, চিনি, লবন, শুকনা মরিচ, বিট লবন দিয়ে তেঁতুল কে ফুটিয়ে আন্দাজ মত ঘন করে নামিয়ে ঠান্ডা হলে বাকি উপকরন দিয়ে ভাল মত ফেটিয়ে নিন। টক তৈরী হয়ে গেল।
পুর তৈরী:
১. সিদ্ধ আলু হাতে ভেঙে নেওয়া ১ কাপ।
২. মটর ডাল সিদ্ধ -১ কাপ।
৩. পিঁয়াজ মিহি কুচি-১/২ কাপ।
৪. কাঁচা মরিচ মিহি কুচি- ঝাল বুঝে।
৫.ধনিয়াপাতা/পুদিনাপাতা – আপনার ইচ্ছা।
৬. চাট মশলা-১ টেবিল চামচ।
প্রস্তুত প্রণালি :
সব একসঙ্গে হাত দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে।
১-২ ডিম কড়া সিদ্ধ করে গ্রেটার দিয়ে ঝুরি করে নিবেন।
ফুচকা সাজানো:
প্রথমে ফুচকার উপরের অংশ হাত দিয়ে ভেঙে ভিতরে পুর দিয়ে উপরে ধনিয়াপাতা কুচি, ডিম ঝুরি দিয়ে দিবেন।প্লেট এ নিয়ে অন্য একটি বাটিতে টক দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার মুখরোচক ফুচকা।
টিপস:
১. ফুচকা গরম তেলে মুচমুচে করে ভাজতে হবে। তা না হলে পরে নেতিয়ে যাবে।
২. টকের মধ্যে চিনির পরিমান আপনি চাইলে বাড়িয়ে দিতে পারবেন।
৩. বুট/ছোলার ডাল ও ব্যাবহার করতে পারেন। আপনি চাইলে টমেটো ও দিতে পারেন।
৪. অবসর সময়ে ফুচকা বানিয়ে এয়ারটাইট পটে রেখে দিতে পারেন। তাহলে ঝামেলা কম মনে হবে।
৫. যে ফুচকাগুলো ভেঙে যাবে বা ফুলবেনা ঐ গুলো আপনি ইচ্ছা করলে ভেঙে পুরের সাথে দিয়ে দিতে পারেন। খেতে ভাল লাগবে। অথবা চটপটির উপরেও দিতে পারবেন।
৬. ডাল সিদ্ধ না হলে এক চিমটি খাবার সোডা দিয়ে দিবেন।
৭. সাজানোর সময় প্রয়োজন মত আবার একটু টালা শুকনো মরিচ গুড়ো ও চাট মশলা ছিটিয়ে দিবেন। দেখতে সুন্দর লাগবে এবং খেতেও মজা হবে।
২. খুব সহজেই ঘরেই তৈরি করুন মজাদার চটপটি তৈরির রেসিপি
উপকরণঃ
বূট/ মটর ডাল-আধা কেজি,
বেকিং পাউডার -১ চা চামচ,
লবণ -পরিমাণমতো,
পানি -পরিমাণমতো,
আলু -৪টা (সেদ্ধ),
পেঁয়াজ কুচি- ৪ টেবিল চামচ,
ধনেপাতা কুচি -২ টেবিল চামচ,
কাঁচামরিচ কুচি- ২টা,
চটপটির মশলা- ২ টেবিল চামচ,
লেবুর খোসা -১ চা চামচ,
ডিম সেদ্ধ -১টা,
বিট লবণ -সিকি চা চামচ,
তেঁতুলের কাত্থ -১ কাপ,
ভাজা মরিচ গুঁড়া -আধা চা চামচ,
লবণ -পরিমাণমতো,
ভাজা জিরা গুঁড়া -আধা চা চামচ,
বিট লবণ -সামান্য,
পানি- পরিমাণমতো।
প্রণালীঃ
বুট/ মটর ডাল সারা রাত ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে বেকিং পাউডার, লবণ ও পরিমাণমতো পানি দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। ইচ্ছা করলে সামান্য জর্দার রঙ দিতে পারেন। এবার সেদ্ধ আলু গ্রেট করে নিন। এবার একটা বাটিতে সেদ্ধ ডাবলি দিয়ে এর সঙ্গে আলু, পেঁয়াজ কুচি, ধনেপাতা কুচি, কাঁচামরিচ কুচি, লেবুর খোসা, চটপটির মশলা দিয়ে একসঙ্গে চামচ দিয়ে মেখে নিন। এবার মশলা মেশানো তেঁতুলের পানি দিয়ে নেড়ে উপরে কয়েকটা ফুচকা ভেঙে দিন। সবার উপর স্লাইস করা ডিম দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার চটপটি। টক রেসিপি -তেতুল আগেই কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এবার বিট লবন,লবন,ভাজা জিরা গুড়া ,টালা শুকনা মরিচ গুড়া ,মিষ্টি দি,লেবুর রস ,একটু চিনি মিক্স করুন ,সব কিছু খুব ভালো করে মিক্স করলেই রেডি।
৩. সকালের নাস্তায় মজাদার চিকেন এমপানাদাস রেসিপি
উপকরণঃ
খামিরের জন্যঃ
ময়দা — ৩ কাপ
চিনি– ১/৪ কাপ
গুড়ো দুধ– ১/৪ কাপ
তেল/বাটার — ১/৪ কাপ
ইস্ট– ১ টে চামচ
ডিম– ১ টি
লবন– ১ চা চামচ
পানি– পরিমানমত
ওপরের সব উপকরন হালকা গরম পানি দিয়ে খুব ভালোভাবে ময়ান দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে কোন গরম জায়গায় যেমনঃ জ্বলন্ত চুলার পাশে অথবা সুইচড অফ ওভেনের ভেতরে ২-৩ ঘন্টা রেখে দিন ফুলে ওঠা পর্যন্ত।
ফিলিং-এর জন্য:
চিকেন ব্রেস্ট– ১টি দেড় কেজি মুরগীর
আদা বাটা–১ চা চামচ
রসুন বাটা– ১ চা চামচ
সয়াসস– স্বাদমতো (সয়াসস লবণের কাজ করে)
গোল মরিচগুড়ো– ১/২ চা চামচ
টমাটো সস– ১/৪ কাপ
তেল– ১ টে চামচ
আরও দিতে পারেনঃ
ক্যাপসিকাম কুচি, গাজর, পেঁপে অথবা আপনার পছন্দমতো যে কোনো সবজি ও চীজ।
প্যানে তেল গরম করে চিকেন, আদা-রসুন বাটা ও সয়াসস মিশিয়ে ভেজে নিন। সবজি দিতে চাইলে সবজি দিয়ে আবার ভেজে নিন। চিকেন ও সবজি সেদ্ধ হলে টমাটো সস ও গোল মরিচ গুড়ো দিয়ে নাড়ুন। হয়ে গেলে নামিয়ে ১০-১২ ভাগে ভাগ করে রাখুন।
প্রণালীঃ
খামির ময়ান দিয়ে ১০-১২ ভাগে ভাগ করে নিন। গোলাকার মোটা রুটির মতো করে বেলে নিন। রুটি বানানোর পর রুটিটিকে ৫-১০ মিনিটের জন্যে রেস্টে রাখুন। এতে করে রুটি আর একটু ফুলে উঠবে। ফুলে উঠার পর রুটির একপাশে পুর ও চীজ দিয়ে অন্যপাশ পুরের উপর দিয়ে ভাঁজ দিয়ে দিন। দুই ভাঁজের জোড়া চাপ দিয়ে লাগিয়ে কাঁটা চামচ দিয়ে চেপে চেপে দিন। উপরেও কাঁটা চামচ দিয়ে কয়েকটা ফুটো করে দিন। ডিমের কুসুম ব্রাশ করে দিন। সব বানানো হলে বেকিং ট্রে-তে তেল ব্রাশ করে ট্রে-র উপর এমপানাদা রাখুন। প্রি-হিটেড ওভেনে ১৮০-২০০ ডিগ্রি সে তাপমাত্রায় ১০-১২ মিনিট বেক করে নিন। সস দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
৪. বিকেলের নাস্তায় সুস্বাদু মিট বান
উপকরণঃ
বন তৈরির জন্যঃ
২ চা চামচ ইষ্ট
১/২ কাপ কুসুম গরম পানি
৩ চা চামচ চিনি
১ টি ডিম
৪ টেবিল চামচ দুধ
১/২ চা চামচ লবন
২ কাপ ময়দা
পুর তৈরি জন্যঃ
১/৪ কেজি রান্না করা মাংস (হাতে পিষে ছাড়িয়ে নেয়া)
আধা কাপ পিয়াজ কুচি
৩ টি মরিচ কুচি
আধা চা চামচ আদা বাটা
১ চা চামচ কাবাব মশলা
লবন স্বাদমতো
২/৩ টেবিলচামচ তেল
প্রণালীঃ প্রথমে একটি বড় পাত্রে উষ্ণ দুধ নিয়ে এতে ইষ্ট গুলিয়ে নিন। এরপর এতে চিনি, লবন মিশিয়ে নিন। দুধ ঠাণ্ডা হয়ে এলে ডিম দিয়ে ফেটিয়ে নিন ভালো করে। এরপর ময়দা দিয়ে ভালোমতো মেখে একটি নরম ডো তৈরি করুন। ময়দা প্রায় ৫-১০ মিনিট খুব ভালো করে ময়ান করবেন। ডো নরম হতে হবে।এরপর একটি তেল মাখানো বাটিতে ডো রেখে বাটিটি প্ল্যাস্টিক র্যাপ দিয়ে ভালো করে মুড়ে গরম কোন স্থানে রেখে দিন ১ ঘণ্টা। একটি প্যানে তেল দিয়ে এতে আদা বাটা দিন। এরপর এতে পেয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচকুচি, লবন এবং কাবার মশলা দিয়ে নেড়ে নিন। এরপর এতে রান্না করা মাংস দিয়ে নাড়তে থাকুন। কিছুটা ভাজা ভাজা হয়ে এলে নামিয়ে নিন। এবারে ডো ১২ টি অংশে বিভক্ত করে ছোট ছোট বল তৈরি করুন। বলগুলোর মাঝে গোল করে গর্ত করে ভেতরে পুর দিয়ে ঢেকে দিন ভালো করে। পুরটি যতটা সম্ভব মাঝামাঝি রাখার চেষ্টা করবেন। ডোর বলগুলো বন রুটির আকার দিন। এবং একটি বেকিং ট্রেতে খানিকটা দূরে দূরে সাজিয়ে রাখুন।বনগুলোর ওপরে চাইলে একটি ডিমের সাদাঅংশের প্রলেপ দিয়ে তিল ছিটিয়ে দিতে পারেন দেখতে ভালো লাগবে। এরপর ইলেকট্রিক ওভেন প্রি হিট করে নিয়ে ৩৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইটে ২০-২৫ মিনিট বা বন হওয়া পর্যন্ত বেক করুন।ব্যস, তৈরি হয়ে গেল খুব সহজেই অত্যন্ত সুস্বাদু মিট-বান। এবারে পরিবেশন করুন।