পেঁয়াজে এমন কিছু উপাদান আছে, যা শরীরে সংস্পর্শে এলে রোগের জ্বালা কমাতে শুরু করে। সেই সঙ্গে আরও বেশ কিছু উপকার পাওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে পেঁয়াজ খেতে হবে না। বরং হাতের তালুতে ঘষলেই কাজ হবে। জ্বালা-পোড়া, জ্বর, গলাব্যথা, কাশি, পিরিয়ডের যন্ত্রণা ও ত্বকের সমস্যয় এখন আর ডাক্তারের চেম্বারে দৌড়াতে হবে না। এসব রোগ থেকে আপনাকে রক্ষা করবে পেঁয়াজ!
এখন প্রশ্ন আসতে পারে কীভাবে?
গবেষণায় দেখা গেছে, পেঁয়াজে উপস্থিত কিউয়ারসেটিন নামক একটি উপাদান হাতের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে বেশ কিছু রোগ সারাতে সাহায্য করে। এই সবজিতে অ্যান্টিসেপটিক প্রপাটিজ রয়েছে, যা ক্ষত স্থানে যন্ত্রণা কমিয়ে দেয়।
পেঁয়াজে আর কী কী রোগ মুক্তির জাদু আছে জেনে নিন:
পুড়ে গেলে:
রান্না করতে গিয়ে হাত পুড়ে গেলে একটু পিঁয়াজ কেটে ক্ষতস্থানে কিছুক্ষণ ঘষুন। দেখবেন জ্বালা-যন্ত্রণা কমে গেছে। এছাড়া পোড়া দাগ মেটাতেও পিঁয়াজ দারুণ কাজ করে।
ত্বকের সৈন্দর্য বাড়ায়:
পরিমাণ মতো পেঁয়াজের রসে অল্প করে হলুদ মিশিয়ে সেই মিশ্রণটা নিয়মিত মুখে লাগান। দেখবেন অল্প দিনেই মুখের দাগগুলো মুছে যাবে। সেই সঙ্গে স্কিনের জেল্লাও বাড়বে।
পিরিয়ডের ব্যথা কমায়:
মাসের এই বিশেষ সময়ে যত পারবেন কাঁচা পিঁয়াজ খাবেন। পেঁয়াজ হল প্রকৃতিক পেইনকিলার, যা অল্প সময়ে ব্যথা কমাতে দারুন কাজে আসে।
গলার ব্যথা হলে:
অল্প করে পেঁয়াজ নিয়ে গরম পানিতে ফোটান, এরপর ঝটপট ওই পানি পান করুন। এমনটা কয়েকবার করলেই দেখবেন গলার ব্যথা কমে গেছে। পেঁয়াজে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান শরীরের অন্দরে তৈরি হওয়া যে কোনো ধরনের প্রদাহ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
নখের ওপরের চামড়া তুলে দেয়:
অনেকেরই নখের ঠিক উপরে আঙুলের অংশে উল্টো দিকে চামড়া ওঠে। এমনটা হলে খুব কষ্ট হয়। এক্ষেত্রে কম করে এক ঘণ্টা যেখানে চামড়া উঠছে সেখানে পেঁয়াজ চেপে রাখুন। সময় হয়ে গেলে দেখবেন পেঁয়াজের সঙ্গে সঙ্গে চামড়াও উঠে এসেছে।
চুলকানি কমায়:
মশা ও মৌমাছির কামড়ে হাত-পা চুলকালে ওই স্থানে এক টুকরো পেঁয়াজ ঘষুন। তাহলেই দেখবেন যন্ত্রণা কমে গেছে। আসলে পেঁয়াজ তার শরীরে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় সালফার। এই উপাদানটি যে কোনো ধরনের ইরিটেশন কমাতে দারুন কাজে আসে।
কানের যন্ত্রণা কমায়:
কয়েক টুকরো পেঁয়াজ ১৫ মিনিট পুড়িয়ে নিন। এরপর সেই পেঁয়াজের রসটা সংগ্রহ করুণ। কান ব্যথা হলে ওই রস ড্রপ হিসেবে ব্যবহার করুন। অল্প সময়ের মধ্যেই দেখবেন ব্যথা কমে গেছে।
নাক পরিষ্কার করে:
বর্ষাকালে সর্দি-কাশি তো লেগেই থাকে। সেই সঙ্গে নাক দিয়ে পানি পড়ে। এমন অবস্থায় অ্যালোপ্যাথি ওষুধ না খেয়ে মাঝারি মাপের একটা পিঁয়াজ গন্ধ নিন। দেখবেন কয়েক মিনিটেই নাকের ব্লকেজ উধাও হয়ে যাবে।
জ্বর হলে:
শ্রাবণে হঠাৎ ঠাণ্ডা জ্বর হলে একটা মাঝারি মাপের পেঁয়াজ দু টুকরো করে মাথার কাছে রেখে দিন। আর কিছু করতে হবে না। দেখবেন কয়েক দিনেই একেবারে চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন। এছাড়া একটা পেঁয়াজকে দু’টুকরো করে মোজার মধ্যে নিয়ে পায়ে পড়ে ঘুমান। সকালে উঠে দেখবেন জ্বর থাকবে না।