কথায় আছে যদি মিষ্টিতে থাকে সমস্যা তবে হোক নোনায় তপস্যা। হ্যা, আসলেই তাই। এখন বেশিরভাগ মানুষই ডায়বেটিস এ আক্রান্ত। ফলে তারা মিষ্টি জাতিয় যে কোনো জিনিষ খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। তাদের চাহিদা মেটাতে ও যারা নোনতা বিষ্কুট পছন্দ করেন তাদের জন্য এখন দিচ্ছি নোনতা বিস্কুট বানানোর রেসিপি। দেখে নিন-
উপকরণ:
ময়দা আড়াই কাপ
চিনি আধা চা-চামচ
পানি ১ টেবিল-চামচ
বেকিং পাউডার ১ চা-চামচলবণ ১ চা-চামচের চেয়ে সামান্য কম বা হাফ চা চামচ
কালোজিরা ১ চা-চামচ
ঘি বা বাটার ১৫০ গ্রাম (তেলও দিতে পারেন ঘিয়ের বদলে)
এলাচগুঁড়া ১ চিমটি
তেল ১ চা-চামচ
পদ্ধতি:
প্রথমে ময়দা, কালোজিরা, লবণ দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন দুতিন সেকেন্ড। এবার এতে চিনি আর এলাচগুঁড়া মেশান।
আগে বলে নি , এখানে প্রতিটি উপকরণ আলাদা আলাদা করে মেশাতে হবে।
এবার বেকিং পাউডার ও পানি দিয়ে আবার ব্লেন্ড করুন। তারপর বাটার মেশান।
প্রথমে হাফ বাটার দিয়ে ব্লেন্ড করুন। হাত কাঠি বা স্পাচুলা দিয়ে মিক্সারটা নেড়ে দিন। এখন বাকি বাটার দিয়ে আবার ব্লেন্ড করুন ১ মিনিটের মতো।
মিশ্রণটা হাতে নিয়ে দেখুন। যদি হাতে লেগে থাকে তাহলে বুঝবেন তৈরি হয়ে গেছে বা খামিরটা পারফেক্ট। আর যদি দেখেন যে মিশ্রণটা পড়ে যাচ্ছে বা গুঁড়া গুঁড়া থেকে গেছে, তাহলে আরও ১ চা-চামচ তেল বা ঘি দিয়ে আবার ব্লেন্ড করে নিন।
এখন ২০০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় প্রি-হিট করুন ওভেন। খামিরগুলো একটি বাটিতে ঢেলে নিন। তারপর ছোট বা মিডিয়াম গোল বল বানিয়ে নিন হাতে। একটু চেপ্টা করে দিন তারপর বেইকিং ট্রে’তে বেইকিং শিটের উপর একটু ফাঁক ফাঁক করে রাখুন।
একটি কাঁটাচামচ দিয়ে উপরে হালকা চাপ দিয়ে ডিজাইন করুন। এবার প্রি-হিটেট ওভেনে ১০ থেকে ১২ মিনিট বেইক করুন বা সোনালি রং আসা পর্যন্ত বেইক করুন।
হয়ে গেল নোনতা বিস্কুট ।