অসহ্য গাঁটে ব্যথা, হাঁটু ব্যথা, ঠাণ্ডা, ফ্লু, সর্দি ও ত্বকের সমস্যা দেখা দিলে দু’তিন ফোটা তেল নাভিতে ঢেলে দেখুন কী হয়!
একদম মুহূর্তের মধ্যেই আপনার শরীর থেকে একে একে সব সমস্যা হাওয়া হয়ে যাবে।
কী বিশ্বাস হচ্ছে না তো! তবে একাধিক গবেষণায় এমনটাই প্রমাণিত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মাত্র দু’তিন ফোটা তেল নাভিতে ঢেলে মালিশ করে এসব সমস্যা সারিয়েছেন।
আপনি জেনে অবাক হবেন, সনাতন চিকিৎসা পদ্ধতি মানুষ এখনও অনুসরণ করে এবং বিশ্বাসও করে। ওইসব সনাতন চিকিৎসায় দারুণ ফলও পাওয়া যায়।
নির্দিষ্ট কয়েকটি তেল দু’তিন ফোটা নাভিতে ব্যবহার করলেই যাদুর মতো অনেক রোগ কমে যায় এবং এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।
তাহলে দেরি কেন? আসুন জেনে নেয়া যাক কোন তেল নাভিতে ব্যাবহারে আপনি কি কি রোগ সারাতে পারবেন;
ফাটা ঠোঁট ও গিরায় ব্যথা: আপনার নাভিতে দু’তিন ফোটা সরিষার তেল দিন। এটা শুনে আপনার চোখ কপালে উঠতে পারে, মনে হতে পারে নাভির সঙ্গে ঠোঁট ও গিড়ার সম্পর্ক কি? তবে বিশ্বাস করুন কয়েক ফোটা সরিষার তেল নাভিতে দিয়ে মালিশ করলেই আপনার ঠোঁট ফাটা ও গিরার ব্যথা কমে যাবে।
গোপন দুর্বলতায়: নাভিতে ৪-৫ ফোটা নারিকেল বা অলিভ অয়েল দিয়ে মালিশ করুন। এটা সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করলে আপনার গোপন দুর্বলতা কমে যেতে শুরু করবে এবং এতে উর্বরতাও বাড়বে।
হাঁটু ব্যথা: রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কয়েক ফোটা ক্যাস্টর তেল মালিশ করুন। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখবেন আপনার ব্যথা কমে গেছে।
ব্রণ: ব্রণ হলে নাভিতে কয়েক ফোটা নিম তেল দিয়ে আলতো হাতে মালিশ করুন। এই তেল কয়েক দিন ব্যবহারে আপনার ব্রণ কমে যাবে। তবে এ তেল আবার মুখে ব্যবহার করবেন না যেন, তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
উজ্বল ত্বক: তিন-চার ফোটা বাদাম তেল আপনার নাভিতে দিয়ে মালিশ করুন। এভাবে কয়েক দিন ব্যবহারে দেখবেন আপনার ত্বক কেমন উজ্জ্বল হয়ে গেছে।
এছাড়া কয়েক ফোটা ঘি নাভিতে মালিশ করলে আপনার ত্বক কোমল হয়ে যাবে। আপনি হয়ে উঠবেন আরও মোহনীয়।
ফ্লু বা ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা: একটি তুলার বল এলকোহলে ডুবিয়ে নাভির ওপর রাখুন। দেখবেন আপনার ঠাণ্ডা জনিত সমস্যা কতো তাড়াতাড়ি কমে গেছে।
ঋতুস্রাবে ব্যথা: ঋতুস্রাবে ব্যথা হলে একটি তুলার বল ব্র্যান্ডিতে ডুবিয়ে নিন, তারপর নাভির ওপর রাখুন। এভাবে দিনে কয়েকবার ব্যবহারে ব্যথা কমে যাবে।
সকাল বেলা খাবেন এক চামচ, সারাজীবন থাকুন রোগ মুক্ত… জানুন কি খাবেন?
সকাল বেলা খালি পেটে পানি পান করা নাকি শরীরের জন্য ভালো। কিন্তু কতটা পানি পান করবেন? অনেকে বলেন খালি পেটে কয়েক কোয়া কাঁচা রসুন খেলে বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, অনেকে বলেন গরম পানির সাথে লেবু আর মধু মিশিয়ে খেলে কমে ওজন।
কারো কারো আবার খালি পেটে এক কাপ চা না হলে চলেই না। কিন্তু এসবের কোনটা ভালো আপনার জন্য আর কোনটা ক্ষতি করছেন? জেনে নিন সকাল বেলা খালি পেটে কী খেলে ওজন কমে ও শরীর থাকে নীরোগ।
পানি হ্যাঁ, সকাল বেলা খালি পেটে পানি পান করা ভালো। কিন্তু খুব বেশী পানি নয়। ঘুম থেকে ওঠার পর এক গ্লাস স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি আপনার শরীরের পানি শুন্যতা দূর করবে, শরীরকে সতেজ করে তুলবে, সচল করে তুলবে পাকস্থলী, বাড়াবে হজম ক্ষমতা ও কমাবে ওজন।
তবে ঠাণ্ডা পানি নয়, স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি বা কুসুম গরম পানি। এক গ্লাস পানিও এক সাথে পান না করে কয়েক চুমুকে পান করুন। এর চাইতে বেশী পানি খেতে চাইলে একটু বিরতি দিয়ে অল্প অল্প করে পান করুন।
একসাথে বেশী যে কোন কিছুই চাপ ফেলে পাকস্থলীতে।
গবেষকরা বলেন যে সকাল বেলা খালি পেটে এক কোয়া রসুন চিবিয়ে বা পানি দিয়ে গিলে খেয়ে ফেললে বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, সারে পেটের অসুখ সহ হজমের যে কোন গণ্ডগোল। তবে বেশী নয়, বড় এক কোয়াই যথেষ্ট। যারা দীর্ঘদিন যাবত পেটের অসুখে ভুগছেন, তাঁরা এটা খেতে পারেন। বলা হয়ে থাকে যা হার্টের অসুখ ও সর্দি-কাশি সারাতেও এটা উপকারী, তবে এখনো বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয়।
মধু-পানি-লেবু
হ্যাঁ, এটি একটি উপকারী পানীয়। তবে কাঁচা লেবু নয়, পাকা লেবুর রস। যাদের এসিডিটির সমস্যা আছে তাঁরা লেবুটা বাদ দিয়ে শুধু হালকা গরম পানির সাথে মধু মিশিয়ে পান করবেন। এক কাপ পানিতে ১ টেবিল চামচ মধু ও ১ চা চামচ লেবুর রসই যথেষ্ট। বেশী লেবুর রসে পাকস্থলীর সমস্যা হতে পারে। তবে মনে রাখবেন, এই পানীয়টি “ফ্যাট কাটায়” না। এই পানীয়টি আপনার মেটাবোলিজম বাড়ায়, ফলে ওজন কমার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়।
এছাড়াও বৃদ্ধি করে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
চা-কফি
সকাল বেলা খালি পেটে চা বা কফি খাওয়ার অভ্যাসটি খুব খারাপ। সেটা গ্রিন টি বা রঙ চা হলেও।
চা বা কফি যেটাই পান করুন না কেন, সেটা পান করতে হবে সকালের নাস্তার পর এবং অবশ্যই আধা ঘণ্টার বিরতি দিয়ে। টিপস- একই সাথে এটাও মনে রাখবেন যে সকালের নাস্তায় খেতে হবে হাই প্রোটিন ও হাই ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। ভাজা পোড়া একেবারেই পরিহার করতে হবে সকালের নাস্তায়।