আমরা কমবেশি সবাই চা পান করতে পছন্দ করি। সকালে দুপুরে কিংবা বিকেল ও সন্ধ্যায়। কাজের ফাঁকে, অবসরে, আড্ডায় চা না হলে যেন চলেই না। অনেকেই দুধ চা পছন্দ করেন। মুখরোচক দুধ চা স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ভালো? চলুন জেনে নেওয়া যাক।দুধ চায়ের ক্ষতিকর দিক নিয়ে আলোচনা করেছেন পুষ্টিবিদ আয়শা সিদ্দিকা।আপনার কি দুধ চা ছাড়া চলেই না?
দিনে কি ৫-৬ বার দুধ চা চাই-ই চাই? তাহলে এখনই সচেতন হতে হবে আপনাকে।আমাদের অনেকেরই দুধ চা কিংবা চা একটা অ্যাডিকশনে পরিণত হয়েছে।
মাত্রাতিরিক্ত চা পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, আর তার সাথে যদি দুধ ও চিনি কিংবা কনডেন্স মিল্ক যোগ করা হয় ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। সারাদিনে একজন সুস্থ ব্যক্তির ২-৪ কাপের বেশি চা খাওয়া উচিত না।
চা পানীয় হিসেবে খুবই স্বাস্থ্যকর। কেননা চাতে ক্যাফেইনের পাশাপাশি ক্যাটেচিন নামক এন্টি এক্সিডেন্ট থাকে৷ কিন্তু চায়ের সাথে যদি দুধ মিশানো হয় তবে দুধের কেজিন প্রোটিন আর ক্যাটেচিন রি-অ্যাকশন করে এন্টিঅক্সিডেন্টের গুণ নষ্ট করে দেয়, পাশাপাশি চা-কে এসিডিক করে ফেলে।
যার কারণে ইনফ্লামেশন হয়। আর চিনি যোগ করলে সেই ক্ষতি আরও বেড়ে যায়।দুধ চায়ের ক্ষতিকর দিকগুলো-
১. পেট ফাঁপা বা ব্লোটিং হয়।
২. পুষ্টির ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
৩. স্ট্রেস ও দুশ্চিন্তা বাড়ায়।
৪. অ্যাডিকশন বাড়ায়।
৫. অনিদ্রা দেখা দেয়।
৬. ব্রন ওঠে।
৭. কোষ্ঠকাঠিন্য।
৮. রক্তচাপ উঠা-নামা করে।
চায়ের উপকারিতা ঠিকভাবে পেতে রং চা মধু ও আদা দিয়ে খাওয়া ভালো। এছাড়া গ্রিন টি, লেমন টি, হারবাল টি ইত্যাদি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হয়।