প্রতিটি মহিলার ডিম্বাশয় ক্যান্সারের প্রাথমিক সতর্কতার লক্ষণ সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত, কিন্তু তাদের অধিকাংশই ডিম্বাশয়ে সিস্ট শব্দটি সম্পর্কে কম সচেতন। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, আজকাল বিপজ্জনক পলিস্টিসিক ডিম্বাশয় রোগের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।
যেহেতু অনেকে আছে, যারা এই অবস্থার সম্পর্কে সচেতন নাও হতে পারে, তাই আমরা এটা নিয়ে কিছু আলোচনা করবো। ডিম্বাশয়ে সিস্ট ঘটে যখন ডিম্বাশয় অসংখ্য সিস্ট দ্বারা গঠিত হয়। যদিও এই সিস্টের আকার বড় নয়, তবে সময়মত চিকিৎসা না করলে তারা বড় এবং বিপজ্জনক হতে পারে।
রোগের গুরুতর পরিণতি রোধ করার জন্য আপানকে খুব ভালভাবে প্রাথমিক লক্ষণগুলিকে চিনতে হবে।
#১ প্রস্রাবের সময় অসুবিধা দেখা দিলে বা ঘন ঘন প্রস্রাব করার প্রয়োজন হয়…
এটির প্রভাব প্রধানত প্রস্রাবের উপর পরে, প্রস্রাবের সময় জ্বালা আনুভব হয়, ঘন ঘন প্রস্রাবেরও প্রয়োজন পরে।
#২ বেদনাদায়ক মাসিক বা অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ…
এটির ফলে মহিলাদের মাসিকের সময় অত্যাধিক রক্তক্ষরণ হয় ও প্রজন্ড ব্যাথা দেখা দেয়।
#৩ মিলনের সময় ব্যাথা…
সাধারণত কোন পুরুষের সঙ্গে মিলনে অসুবিধা হয়, মিলনের সময় যৌনাঙ্গে প্রচন্ড জ্বালা বা ব্যাথা অনুভব হয়।
#৪ ক্রমাগত বমি করা বা বমি বমি ভাব…
এটির ফলে ক্রমাগত গা-গুলাতে থাকে, বমি হতে পারে বা বমি বমি ভাব থাকতে পারে।
#৫ হঠাৎ ওজন বৃদ্ধি পাওয়া…
কিছুদিনের মধ্যে হঠাৎ ওজন বেরে যাবার সম্ভাবনা থাকে।
#৬ ক্ষুধা হ্রাস পায় বা খুব দ্রুত সম্পূর্ণ অনুভূতি হয়…
এটির ফলে মহিলাদের ক্ষুধা হ্রাস পায় বা অল্প কিছু খেলেই যেন মনে হয় পেট ভর্তি হয়ে গেছে।
#৭ নিম্ন ব্যাথা দ্রুত বৃদ্ধি পায়…
এটির ফলে কোমর বা আশেপাশে ব্যাথা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
#৮ পেট ফুলে যায় বা ব্যথা হয়…
অস্বাভাবিকভাবে পেট ফুলে যেতে থাকে ও মাঝে মধ্যেই ব্যাথা হতে পারে।
যদি আপনি উপরের তালিকাভুক্ত কোন লক্ষণের সাক্ষী হন তবে তাদের উপেক্ষা করবেন না, কোন দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যান।
সবার সাথে এই তথ্য শেয়ার করতে ভুলবেন না।