মাছ-মাংস খেয়ে মুখের অবস্থা টাইট হয়ে আছে ! তা হলে আমি বলবো এবার চিচিঙ্গার তরকারী খান । ভাল লাগবে । চিচিঙ্গা দিয়ে যে কোন একটা পদের রান্না আপনাকে মনে শান্তি এনে দিতে পারে । এক প্লেট ভাত আপনি মনের আনন্দে খেয়ে উঠতে পারবেন । অনেক সময় মনে হবে , এক প্লেট ভাতের জন্যই আপনি এতকাল অপেক্ষা করছেন ! খুবই সাধারন রান্না , পরোটা , রুটি বা ভাতের সাথেই চলবে । আশা করছি এমন রান্না আপনারাও খেয়েছেন । তবুও যারা রান্না শিখতে চান তাদের জন্যই আমাদের এই প্রয়াস । আর যারা এখনো চিচিঙ্গা অপছন্দ করেন তাদের জন্য তো বটেই ।
উপকরণ :
চিচিঙ্গা , একটা মাঝারি, স্লাইস কুঁচি করে কাঁটা
ডিম , একটা
পেঁয়াজ কুঁচি, দুই তিনটে মাঝারি
কয়েকটা শুকনা মরিচ , শুকনা মরিচ না পেলে কাঁচা মরিচ হলেও চলবে
হলুদ গুড়া, দুই চিমটি
চিনি , এক চিমটি (এটা আপনার ইচ্ছা )
লবণ , পরিমান মত
তেল , কয়েক টেবিল চামচ (কম বেশি) , তবে ননষ্টিকিতে রান্না করলে তেল কম দিলেই চলবে
পানি (সামান্য)
প্রণালী :
চিচিঙ্গা কুঁচি করে কেটে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে রাখুন ।
কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ , লবন ও মরিচ দিয়ে ভাঁজুন ।
পেঁয়াজ হলদে হয়ে গেলে চিচিঙ্গা দিয়ে দিন ।
এভাবে , দেখেই মন ভরে উঠবে ।
সামান্য হলুদ গুড়া ছিটিয়ে দিন । (চাইলে সামান্য এক চিমটি চিনিও দিতে পারেন , এতে স্বাদ বাড়ে তবে আমি দেই নাই , স্বাদ কমেই চলবে)
ভাল করে মিশিয়ে মাধ্যম আঁচে ঢেকে রাখুন । মাঝে মাঝে ঢাকনা উলটে দেখে নিবেন এবং নাড়িয়ে দিবেন ।
চিচিঙ্গা নরম হয়ে যাবে , এবার মাঝে ফাকা করুন ।
ডিম আলাদা করে ফাটিয়েও দিতে পারেন , আবার একসাথে মিশিয়ে দিতে পারেন কড়াইতে কিন্তু আমি এভাবেই পছন্দ করি , ব্যাপার না ।
এভাবে কাঠের দজি দিয়ে ডিম ফাটিয়ে ফেলুন এবং মিশিয়ে নিন ।
পরিশেষে লবন দেখুন , লাগলে দিন , না লাগলে ওকে বলে আগে বাড়ুন । ডিম দিয়ে খুব একটা বেশিক্ষণ রাখার দরকার নেই ।
ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত । মজা করে খান রুটি অথবা ভাতের সাথে ডিম দিয়ে চিচিঙ্গা ভাজি ।