রান্না করার সময় টুকটাক টিপস জানা থাকলে রান্না ভালো হয়, সুরক্ষিত থাকা যায় এবং সময় বাঁচে।কর্মব্যস্ত জীবনে নিজেদের প্রয়োজনে আমাদের সবাইকেই কম বা বেশি রান্না করতে হয়।আর রান্না করতে গিয়ে হাজারটা অসুবিধার সম্মুখিন হতে হয়।আর যারা নতুন নতুন রান্না করছেন তারা অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।কিন্তু কিছু সহজ টিপস জানা থাকলে রান্না করতে সুবিধা হওয়ার সাথে সাথে সময়ও কম লাগে।
তবে জেনে নেয়া যাক, রান্নার এমন কিছু সহজ টিপস সম্পর্কে যা অসুবিধা এবং সময় দুটিই কমাবে।
(১) ডাল বা তরকারিতে লবন বেশি হয়ে গেলে আটা বা ময়দা মেখে ছোট ছোট বল তৈরি করে রান্নায় দিয়ে কিছুক্ষন পর তুলে ফেলুন।লবনের স্বাদ কমে যাবে।
(২) মাংস তাড়াতাড়ি সেদ্ধ করতে চাইলে খোসাসহ এক টুকরো কাঁচা পেঁপে দিন।
(৩) লেবু কাটার আগে গরম পানিতে ১ ঘন্টা ডুবিয়ে এতে লেবুর রস বেশি হবে।
(৪) মাইক্রো ওভেনেও ইলিশ রাঁধতে পারেন৷ তবে তার ঘণ্টা দুই আগে লবন হলুদ মাখিয়ে রাখুন৷ মাইক্রো ওভেনে সরষে ইলিশ রাঁধতে হলে ইলিশের গায়ে একেবারে সরষে বাটা মাখিয়ে তারপর ওভেনে দিন৷
(৫) তরকারির ঝোল ঘন করতে চাইলে কিছু কর্ণ ফ্লাওয়ার পানিতে গুলিয়ে নিয়ে ঢেলে দিন। লক্ষ্য রাখবেন কর্ণ ফ্লাওয়ারের দ্রবণটি যেন ভালোমতো তরকারির সাথে মিশে যায়।
(৬) ভাত রান্না করতে গিয়ে অনেক সময় দেখা যায় ভাত ঝরঝরা হয় না।তার জন্য চাল ধোয়ার পর ১০ মিনিট রেখে দিয়ে তারপর রান্না করুন অথবা রান্নার সময় ১ চা চামচ রান্নার তেল দিন। দেখবেন সুন্দর ঝরঝরে ভাত রান্না হয়েছে।
(৭) সবুজ সবজি রান্না করতে চাইলে এক চিমটি চিনি দেন। দেখবেন সবজি কেমন সবুজ দেখাচ্ছে।
(৮) চিনেবাদাম ও কাজুবাদাম তেলে ভেজে পরে রান্নায় ব্যবহার করুন। খাবারের স্বাদ বাড়বে।
(৯) চিনির বয়ামে পিঁপড়া তাড়াতে চিনির উপর ৩-৪ টি লবঙ্গ রেখে দিন।
(১০) কৌটোর মধ্যে বিস্কুট রাখার আগে সামান্য চিনি বা ব্লটিং পেপারের টুকরো রেখে দিন।বিস্কুট অনেকদিন মচমচে থাকবে।
(১১) বেরেস্তা করার সময় পেঁয়াজ ভেজে নামানোর আগে সামান্য পানি ছিটিয়ে দিন। তাড়াতাড়ি লালচে হবে।
(১২) কাঁচা মাছ বা মাংস ছুরি-চপিং বোর্ডে কাটতে চাইলে বেশ কিছুক্ষণ আগে থেকেই পানিতে ভিজিয়ে নরমাল করে নিন।
(১৩) অনেক সময়ই তাড়াতাড়ি স্যুপ রান্না করলে পাতলা হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে দুটি সিদ্ধ আলু ম্যাশ করে স্যুপে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। স্যুপ ঘন হবে।
(১৪) পরদিন কী রান্না করবেন তা আগের রাতেই ঠিকঠাক করে প্রস্তুতি নিন। তাহলে অল্প সময়ে রান্না হবে।
(১৫) ডিম সিদ্ব করতে পানিতে সামান্য লবন দিন। ডিম খেতে সুস্বাদু হবে। গরমাবস্থায় ডিমের খোসা ছাড়াবেন না, ঠান্ডা করে খোসা ছাড়ান এতে খোসায় লেগে ডিম নষ্ট হবে না।
(১৬) স্যান্ডউইচ বানিয়ে রেখে দিলে সেগুলো শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়। স্যান্ডউইচ বানানোর পর তুলি দিয়ে সামান্য দুধ পাউরুটির ওপর বুলিয়ে দিন। আট ঘণ্টা এটা ভালো থাকবে।
(১৭) খেজুরের গুড় দিয়ে পায়েস করতে গিয়ে অনেক সময় দুধটা ফেটে যায়। দুধ ঘন হয়ে গেলে নামিয়ে একটু ঠান্ডা করে তারপর গুড় মেশাবেন। ভালো করে নেড়ে আবার কিছুটা ফুটিয়ে নেবেন, দুধ ফাটবে না।
(১৮) সেমাই বা মিষ্টিজাতীয় খাবারে অনেকে বাদাম ব্যবহার করেন। বাদামে যদি তেল মেখে পরে তাওয়ায় ভাজেন তাহলে তেল কম লাগবে। নয়তো শুকনো ভাজতে গেলে তেল বেশি লাগবে।
(১৯) কেক বানাতে যদি ডিমের পরিমাণ কম হয়, তার বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন কর্নফ্লাওয়ার।
(২০) আলু ও ডিম একসঙ্গে সেদ্ধ করুন। দুটো দুই কাজে ব্যবহার করলেও সেদ্ধ তাড়াতাড়ি হবে।