জানেন না এমন ৫০টি সাংসারিক টিপস, শিখে রাখুন কাজে দেবে…

সংসার এর কাজ যেন করে শেষ করা যায় না। একটা শেষ করলে আরও ১০টা নতুন কাজ বের হয়ে আসে। তবে বুদ্ধি খাটিয়ে যদি নিয়মিত কাজ গুছিয়ে করা যায়, তাহলে আপনার কাজ হবে অনেক সহজ। আসুন এরকম বেশি কিছু টিপস নিয়ে এসেছি আপনাদের জন্য আজ। সেগুলো দেখে নেওয়া যাক।

অনেক দিন ধরে ঘর বন্ধ হয়ে থাকলে ঘরে ভ্যাপসা গন্ধ হতে পারে। কয়েকটি ম্যাচের কাঠি জালিয়ে দিন। দেখবেন এই গন্ধ আস্তে আস্তে আর থাকবে না।

চিনির পাত্রে পিপড়া ঢোকে! তাহলে ২-৩টি লবঙ্গ দিয়ে রাখুন। পিপড়া থাকবে দূরে।

চশমার কাজ পরিস্কার করতে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন ভিনেগার। এটি কাচ পরিস্কার করার ওস্তাদ।

কাঠের আসবাব পরিস্কার করার জন্য চাপাতা ফোটানো পানি ব্যবহার করতে পারেন। এতে আসবাবপত্র হয়ে উঠবে ঝকঝকে।

ফ্রিজের গায়ে দাগ লেগেছে? কোন কিছুতেই পরিস্কার হচ্ছে না? তাহলে একটি স্পঞ্জে টুথপেস্ট লাগিয়ে ঘোষতে থাকুন। দেখবেন দাগ উঠে গেছে।

ফ্লানেলের টুকরো গ্লিসারিনে ভিজিয়ে দাগধরা জানালার কাঁচে ঘষুন। কাঁচ ঝকঝক করবে। কাঠ বা স্টিলের টেবিলে ঘষুন। সেখানকার দাগ উঠবে।

জানালা, দরজার কাঁচ ঝকঝকে করে তুলতে মিহি চক গুঁড়োর সঙ্গে জল আর স্পিরিট অথবা কেরোসিন মিশিয়ে কিছুক্ষণ কাঁচের ওপর মাখিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে খবরের কাগজ দিয়ে মুছে নিন।

ডিটারজেন্টের সঙ্গে একটা লেবুর রস ও এক চামচ ফিনাইল মিশিয়ে বাথরুমের টাইলস ঘষে দেখুন, কেমন ঝকঝক করে।

হাতব্যাগের ধাতব অংশগুলিতে ন্যাচারাল কালারের নেলপালিশের এক প্রস্থ প্রলেপ দিয়ে রাখুন। সহজে বিবর্ণ হবে না।

ছোট্ট একটুকরো ফ্লানেল বা কম্বলের কাপড়ে পাতিলেবুর রস মাখিয়ে চামড়ার ব্যাগ বা স্যুটকেশে ঘষলে। চামড়ার ঔজ্বল্ল্য বাড়বে।

পেতলের বাসন ঝকঝক করে তুলতে ক’ফোঁটা সেলাই মেশিনের তেলে হলুদ গুঁড়ো মেশান। ঐ তেলে ঘষে তুলুন বাসন। দেখবেন নতুনের মত দেখাচ্ছে।

ব্রাসোর সঙ্গে সামান্য পাতিলেবুর রস মিশিয়ে ঘসুণ, কাঁসার জিনিস সোনার মতো ঝকঝক করবে।

হলুদ গুঁড়োর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা সরষের তেল দিয়ে পেতলের বাসন ঘষলে চকচক করবে।

রূপোর বাসন, কাঁটা-চামচ বা গয়নাটি তেঁতুল গোলা জলে ফুটিয়ে নিন। ঘষা-মাজা করতে হবে না। ফোটালেই ঝকঝক করবে।

এনামেলের বাসন থেকে দাগ তুলতে নুন আর ভিনিগারের মিশ্রণ ব্যবহার করুন।

বোন চায়নার বাসনে দাগ ধরে গেলে নেলপালিশ রিমুভার ব্যবহার করতে পারেন। দাগ উঠে যাবে।

চাল ধোয়া জলে স্টীল ও কাঁচের বাসন কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রেখে তারপর ধুয়ে নিলে বাসনগুলো ঝকঝক করবে।

পিতলের বা কাঁসার বাসন দীর্ঘদিন ব্যবহার না করার ফলে দাগ ধরে যায়। মাথার চুল ও সরষের তেল সহযোগে মাজুন, দেখবেন ঝকঝক হয়ে উঠবে।

রান্না পুড়ে পাত্রের তলায় এঁটে গেছে। পাত্রটিকে নুনজলে ভর্তি করুন। তারপর আঁচে বসান। জল ফুটতে শুরু করলেই পোড়া অংশ আলগা হয়ে উঠে যাবে।

রান্নার সময় হাতে হলুদেড় দাগ হলে, আলুর খোসা ছাড়িয়ে হাতে ঘষে, হাত ধুয়ে নিলে আর হলুদের দাগ থাকবে না।

টিন থেকে মরচে তুলতে হলে আলু কেটে বাসন ধোয়ার গুঁড়োয় ডুবিয়ে সেটা দিয়ে ঘষলেই মরচে উঠে যাবে।

মরচের দাগ তুলতে হলে ১ কাপ চাল ২ লিটার জলে ফুটিয়ে সারারাত রাখতে হবে। পরের দিন সকালে জলটা ছেঁকে নিয়ে সেই জলে মরচে ধরা জায়গাটা ধুলে ফেলতে হবে। যদি এক দফায় না হয়, আবার একই নিয়মে ধুতে হবে।

কফির যদি স্বাদ আরো বাড়াতে চান তাহলে সামান্য টেবিল-সল্ট মিশিয়ে নিন।

তুলসীপাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে রাখুন। চা তৈরীর সময় দু-চিমটি লিকারে দিয়ে দেবেন। আরো ভাল স্বাদ আসবে। নানা রোগও আটকাবে।

বাড়িতে ঘি তৈরি করার জন্য দুধের সরটা বাটিতে ১/২ চামচ টক দই দিয়ে তার উপর রাখতে হবে। সরটা এমনভাবে রাখতে হবে যাতে পুরো দইটা ঢেকে যায়। এই ভাবে দই এর সাথে সর জমলে সর জমা যে গন্ধ হয় সেটা হবে না।

এক টুকরো সন্ধক লবণ ঘি এর শিশির মধ্যে রেখে দিন। এতে ঘি বেশি দিন টাটকা থাকবে, স্বাদেরও পরিবর্তন হবে না।

ঘিয়ের গন্ধ বজায় রাখতে হলে ঘি রাখার শিশিতে এক টুকরো আখের গুড় রেখে দিন।

ভোজ্য তেলে ৮/১০ টা আস্ত গোলমরিচ ফেলে দিন। তেল দীর্ঘদিন অব্যবহৃত হলেও ভাল থাকবে।

দই পাতবার সময় দুধের সঙ্গে ১ চামচ কর্ণফ্লাওয়ার গুলে দেবেন। দই অনেক বেশি ঘন হবে।

গরু বা মোষের দুধ ঠিক সময় মতো গরম না করলে দুধ কেটে যাবার ভয় থাকে। দুধের মধ্যে দু-ফোঁটা সরষের তেল দিয়ে রাখলে দুধ যখনই ফোটান হোক না কেন দুধ কাটবে না।

দীর্ঘদিন বাইরে পড়ে আছে দুধ। ভয় হচ্ছে আঁচে বসালেই কেটে যাবে। আঁচে বসানোর আগে দুধে ১ চিমটি সোভা-বাই-কার্ব মিশিয়ে নিন। দুধ কাটবে না।

দুধ পড়ে গেলে বা দুধ থেকে পোড়া গন্ধ দূর করতে হলে তাতে পান পাতা ফেলে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। পোড়া গন্ধ কেটে যাবে।

পিঠে, পাটিসাপ্টা, মালপো প্রভৃতি তৈরি করার সময় গোলায় একটু আটা মিশিয়ে দিলে পিঠে ঠিকভাবে তৈরি হয়।

চালের গুঁড়োর পিঠে করলে সাধারণত শক্ত হয়। পিঠে করার আগে যদি চালের গুঁড়োতে কিছুটা খই মাখিয়ে নেওয়া হয় তবে পিঠে নরম হয় এবং খেতেও ভাল লাগে।

কেক, পুডিঙের ওপর বাদাম, কাজু বা কিশমিশ সাজিয়ে দেবার আগে, ধুয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে পড়ে খসে যাবার ভয় থাকে না।

কাস্টার্ড তৈরীর সময় কাপ প্রতি দুধে দু-তিন চামচ মিল্ক পাউডার গুলে নেন তবে চমৎকার আস্বাদ আসবে। তৈরীর পর মোটা চিনির দানা যদি ছড়িয়ে দেন, কাস্টার্ডে সর পড়বে না।

ছানা কাটানোর জন্য লেবুর রসের বদলে ফুটন্ত দুধে ১ চামচ দই ফেলে দিন। ছানা নরম হবে।

বিস্কুটের টিনে এক টুকরো ব্লটিং পেপার রেখে দিন। বিস্কুট মিইয়ে যাবে না।

পোড়ামাটির জিনিসপত্র পরিষ্কার রাখতে হলে ওগুলোর ওপর ন্যাচারাল রঙের নেলপালিশ লাগিয়ে দিন। রং অক্ষত থাকবে আর নোংরা হবে না।

Related Posts

তীব্র গরমে মাত্র ৫ মিনিটে ঘর ঠাণ্ডা করার সহজ কয়েকটি উপায়…

গরম থেকে বাঁচতে এখন এসির ওপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু নানা কারণে অনেকে এসি ব্যবহার করতে পারেন না। আবার গরমে দৈনন্দিন জীবনে অস্বস্তিতে ফেলেছে। ঘর ঠান্ডা রাখতে…

রান্নাকে সুস্বাদু করার সাতটি ম্যাজিক ট্রিক্স

রান্না একটি শিল্প৷ কিন্তু সবসময় নিপুন হয় না শিল্পকর্ম৷ ঠিক তেমনই রাঁধুনীও সব রান্না সবসময় সুস্বাদু করতে পারেন না৷ অথবা সবসময় মনোসংযোগ ঠিক হয় না৷ তার ফলে…

জানেন কি এইসব খাবার মাইক্রোওয়েভে গরম করলে বিপদ হতে পারে?

প্রতিদিন বাজার করে টাটকা খাবার খাওয়ার মতো সময় এখন আর আমাদের নেই। একবারে অনেক খাবার কিনে রেফ্রিজারেটরে রাখা আবার সেই খাবার রান্না করে ফ্রিজিং। তারপর যখন দরকার…

উৎসবে হোক স্বাস্থ্যকর রসনাবিলাস, জেনে নিন কিছু টিপস!

আসুন জেনে নিই সুস্থভাবে নির্বিঘ্নে উৎসব উদযাপন করার জন্য আপনার রসনাবিলাস কেমন হতে পারে সেই সংক্রান্ত কিছু দরকারি টিপস। ১) উপকরণ বাছাইয়ে সচেতন হোন মেন্যুটি যেন স্বাস্থ্যসম্মত…

তরমুজ মিষ্টি কিনা চিনবেন যেভাবে!

তরমুজ কিনতে গিয়ে ঠকে যান অনেকে। বুঝতে পারেন না কোনটি মিষ্টি ও খেতে সুস্বাদু তরমুজ। অনেক তরমুজ ফ্যাকাশে, খেতেও পানসে হয়।তাই দেখে শুনে তরমুজ কিনুন। আসুন জেনে…

খিচুড়ি ঝরঝরে করবেন যেভাবে

ভুনা খিচুড়ি রান্না করতে যা যা লাগবে ১) ১ কাপ বাসমতি চাল ২) আধা কাপ মুগডাল ৩) পাঁচফোড়ন ৪) আদা কুচি ৫) সয়াবিন তেল ৬) লবন ও…