ওরাল কন্ট্রাসেপ্টিভ পিল অথবা কন্ডোম ব্যবহার করছেন না? তার বদলে জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য বেছে নিচ্ছেন ইঞ্জেকশন? উত্তর যদি ‘হ্যাঁ’ হয়, তাহলে বিপদ আছে, এমনটাই বলছে সাম্প্রতিক গবেষণা।
কেপটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বলা হচ্ছে, বাজার চলতি জন্ম নিয়ন্ত্রণের ইঞ্জেকশন এইচআইভি সংক্রমণের সম্ভাবনা প্রায় ৪০ শতাংশ বড়িয়ে দিতে পারে।
গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে এন্ড্রোক্রিন রিভিউস জার্নালে। গবেষকদের দাবি, ডেপট-মেড্রোজাইপোজেস্টরন অ্যাসিটেট বা ডিএমপিএ-এর মতো জন্ম নিয়ন্ত্রণের ইঞ্জেকশন দেহে প্রোজেস্টিন হরমোন বাড়িয়ে দেয়। এতে ওভারি থেকে ডিম্বাণু ক্ষরণে বাধা সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি, সারভিক্সে মিউকাস বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে শুক্রাণু ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করতে পারে না। এছাড়াও এর আরও মারাত্মক ক্ষতিকারক দিকও রয়েছে।
জন্ম নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত একটি ওষুধ হল এমপিএ। এটি মানব দেহে স্ট্রেস হরমোন কর্টিজলের মতো কাজ করে। এর ফলে কোষ খুব সহজেই এইচআইভি আক্রান্ত হতে পারে।
২০১৬ সালে দুনিয়ার এইচআইভি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৩৬.৭ মিলিয়ন। ২০১৫ সালে ভারত, ডিএমপিএ-র মতো ইঞ্জেকশন ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে দেয়।
শুধু তাই নয়, পরিবার পরিকল্পনা মিশনও ওই ইঞ্জেকশন বিনা খরচে দেওয়া শুরু করে। ফলে সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ছাড়পত্র পাওয়া এমন ওষুধ নিয়ে আশঙ্কা বেড়েছে কয়েক গুণ।