আজকের রেসিপি আয়োজনে রয়েছে খাবারে বেশি ঝাল কমানোর উপায়।আপনাদের কে দেখাব কি ভাবে তৈরি করবেন দারুন মজার এই রেসিপিটি । খুব সহজে এবং তাড়াতাড়ি এই পদটি তৈরি করা যায়। চলুন জেনে নিই, খাবারে বেশি ঝাল কমানোর উপায়
দৈনন্দিন জীবনে রান্না করতে গিয়ে লবণ-ঝাল একটু কম-বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। সময়ের অভাবে তাড়াহুড়া করতে গিয়েও অনেক সময় রান্নায় ভুল হয়ে যায়। কখনও কখনও খাবারে বেশি মসলা, লবণ কিংবা বেশি ঝাল পড়ে যাওয়ায় খাবারটা হয়তো একেবারে খাওয়াই যায় না। একটু বুদ্ধি খাটালেই কিন্তু এই খাবারটিকেও উপযোগী করে তোলা যায়।
ঝোল হোক, ভুনা হোক, স্যুপ হোক কিংবা কোনো চাইনিজ খাবার হোক না কেন সব খাবার থেকেই ঝাল কমিয়ে ফেলা সম্ভব। এক্ষেত্রে জেনে নিন খাবার থেকে বাড়তি ঝাল কমানোর কিছু টিপস:
# ভাজার জন্য কোনো কিছু মেরিনেট করে এখন সেটায় ঝাল বেশি মনে হচ্ছে। জিনিসটা স্রেফ পানিতে ধুয়ে ফেলুন। মশলা যা ফেতরে যাওয়ার চলে গেছে, পানিতে ডুবালে ঝাল কমে আসবে। আবার যে ব্যাটারে ডুবিয়ে ভাজবেন, সেটায় ঝাল কম দিন। ব্যালান্স হয়ে যাবে।
# যে কোনো ধরণের ঝোল বা ভুনা, বিরিয়ানি, রোস্ট, রেজালা ইত্যাদি খাবারে ঝাল কমাতে দিয়ে দিন বাদাম বাটা বা মালাই। ঝাল একেবারেই থাকবে না।
# ঝাল কমানোর জন্য দুটি দারুণ উপাদান দুধ এবং টক দই। যে কোনো ধরনের ঝোল বা ভুনা তরকারিতে দুধ বা টক দই দিয়ে ১৫/২০ মিনিট আঁচে রাখুন। ঝাল একদম কমে আসবে।
# খাবারটি যদি স্যুপ বা ঝোল জাতীয় কিছু হয়, তবে এতে আরও পানি এবং কয়েক টুকরো আলু দিয়ে দিন। এতে ঝাল অনেকটাই কমে আসবে। আলু পরে তুলে ফেলতে পারেন, আবার খেতেও পারেন।
# লেবুর রস ঝাল কমাতে সহায়ক। চাইলে খাবারে ঝাল কমাতে লেবুর রসও দিতে পারেন।
# যদি ফ্রাইড রাইস বা ন্যুডুলস জাতীয় কোনো খাবার হয়ে থাকে, তাহলে আরও রাইস বা নুডুলস সিদ্ধ করে এতে দিয়ে দিন। আবার মাংস বা সবজিও দিতে পারেন। এতেও ঝাল কমে আসবে।
# চিনি যে কোনো ঝালকেই ব্যালান্স করে আনে। আর কিছু না থাকলে চিনিটাই ব্যবহার করুন!