ওভারিয়ান সিস্ট এবং টিউমার দুটি আলাদা বিষয় হলেও অনেক সময় এদের পার্থক্য করা রোগীদের জন্য কঠিন হয়ে যায়, যার ফলে নরমাল সিস্ট হলেও তারা দুঃচিন্তায় ভোগেন। এখন দেখে নেয়া যাক ওভারিয়ান সিস্ট এবং ওভারিয়ান টিউমারের কিছু বৈশিষ্ট্য।
ওভারিয়ান সিস্টঃ লক্ষণ ও চিকিৎসাঃ
# সাধারণত আ্যসিম্পটোমেটিক, অর্থাৎ কোন লক্ষন প্রকাশ করে না।
# সাইজঃ ৫-৭ সে মি হয়ে থাকে, ভিতরে ক্লিয়ার ফ্লুয়িড /পানি থাকে – আল্ট্রাসাউন্ড এর মাধ্যমে ডায়াগনোসিস হয়।
# বিভিন্ন রকম ওভারিয়ান সিস্ট এর মধ্যে ফলিকুলার সিস্ট সবচেয়ে কমন, যা পলিসিস্টিক ওভারি তে হয়ে থাকে, এই সিস্ট হবার কারন নিয়মিত ভাবে ডিম্বস্ফুটন না হওয়া, ফলে রোগী বন্ধ্যাত্বের মত সমস্যায় ভুগতে পারে।
# ওভারিয়ান টিউমারের চিকিৎসা অপারেশন হলেও সিস্ট এর ক্ষেত্রে অপারেশন দরকার হয় না, ২-৩ মাসের মধ্যে এটি চলে যায়। তবে অবশ্যই একজন গাইনোকোলজিস্ট এর তত্বাবধানে থাকতে হবে।
অপরদিকে, ওভারিয়ান টিউমারের ক্ষেত্রে-ও প্রাথমিক অবস্থায় কোন লক্ষন থাকে না। তবে টিউমার বড় হতে থাকলে তলপেট ভারী হতে থাকে। আল্ট্রাসাউন্ড করে যদি টিউমার মনে হয় তবে টিউমার মার্কার সহ অন্যান্য পরীক্ষা করে দেখে নিতে হবে এটা Bening নাকি Malignant(ক্যান্সার) টিউমার। কারন দুটোর চিকিৎসা পদ্ধতি আলাদা। তবে মনে রাখতে হবে বয়স ৪০ এর পর যেকোন ওভারিয়ান সিস্ট/টিউমার গুরুত্বের সাথে চিকিৎসা করাতে হবে,কারন এক্ষেত্রে Malignant হবার চান্স বেশি থাকে।
ডাঃ নুসরাত জাহান,
সহযোগী অধ্যাপক (অবস-গাইনী)
ডেলটা মেডিকেল কলেজ,মিরপুর।
চেম্বারঃ DPRC হসপিটাল, শ্যামলী।