ডাক্তার বদ্যি থেকে শুভাকাঙ্খী সকলেই বলেন, দিনে অন্তত একটা ফল খেতে। কিন্তু ফলের বাজারে গিয়ে পিছিয়ে আসতে হয়। মহার্ঘ্য ফল নিজের জন্য কিনতে মন সায় দেয় না মধ্যবিত্ত বাঙালির। অথচ স্বাস্থ্যটাকেও তো রাখতে হবে। এই দোটানায়, হাতের পাঁচ ‘গরিবের আপেল’-পেয়ারা। ক্রান্তীয় অঞ্চলে সারা বছর পাওয়া যায় এই ফল। দামে পকেট ফ্রেন্ডলি, উপকারিতায় আপেলের সমান। আন্তর্জাতিক হেলথ জার্নাল অরগ্যানিক ফ্যাক্টস জানাচ্ছে, নিজস্ব ডায়েটে পেয়ারা রাখলে আপনার লাভ ষোলো আনা।
২০১১ সালে ভারত সারা বিশ্বে পেয়ারা উৎপাদনে প্রথম স্থান অধিকার করেছিল। বছরে দু’বার ফলন হওয়ার কারণে প্রায় সারা বছর পাওয়া যায় এই ফল। কাজেই দাম সাধ্যের মধ্যেই থাকে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি দফতর জানাচ্ছে, ১০০ গ্রাম পেয়ারায় থাকে ৬৮ ক্যালরি। প্রতিদিন খাবারের তালিকায় একটি পেয়ারা রাখলে আপনি পাবেন হাজার উপকারিতা।
১০০ গ্রাম পেয়ারায় ৮ গ্রাম জল থাকে। ফলে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল থাকে পেয়ারা খেলে। গরমে পেয়ারা খেলে শরীরে জলের ভারসাম্য বজায় থাকে।
পেয়ারায় আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এটি খুবই কার্যকরী।
পটাশিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ায় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে পেয়ারা ফলদায়ী।
পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে। ফাইবার হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ফাইবারে পেট ভরে থাকে দীর্ঘক্ষণ। ফলে ফ্যাট ইনটেক কমে। ওজন ধরে রাখতে পেয়ারার কোনও বিকল্প নেই।
নার্ভাস সিস্টেমকে তাজা রাখে ভিটামিন বি সিক্স। ১০০ গ্রাম পেয়ারায় থাকে ০.১১ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি সিক্স।
পেয়ারা ক্যান্সারেরও প্রতিষেধক। লিউকোপিন নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় রোজ পেয়ারা খেলে ক্যান্সার প্রতিহত করার ক্ষমতা তৈরি হবে শরীরে।
পেয়ারার প্রায় কিছুই ফেলা যায় না। পেয়ারা পাতার রস দাঁতের যন্ত্রণা, ওরাল আলসার থেকে মুক্তি দেয়।
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য পেয়ারা খুবই প্রয়োজনীয়। ১০০ গ্রাম পেয়ারায় আছে ৪৯ মাইক্রোগ্রাম ফলিক অ্যাসিড। ফলিক অ্যাসিড মায়ের গর্ভে থাকা শিশুর বিকাশের জন্য জরুরি।