মুখের ভিতরে ঘা বিভিন্ন কারণে হতে পারে। পরিষ্কারের অভাবে, বা আমরা যে ব্রাশ ব্যবহার করি সেই ব্রাশের দ্বারা মুখের নরম অংশে আঘাত লেগে হতে পারে। আবার অনেক সময় দাঁতের ধারালো অংশের ক্রমাগত ঘষা লেগে ঘা হয়। বা খেতে খেতে খুব জোড়ে কামড়ে দিলে সেই অংশে ঘা হয়। আবার ক্যান্সারের মত কোন রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হল ঘা।
মুখের ঘা যদি সহজে না সারে, তাহলে সেটি ক্যান্সারের আকার নিতে পারে। এই ক্যান্সার ঠোঁট, মাড়ি, জিভ, ও গালের ওপরের বা নীচের অংশে হতে পারে। বেশিরভাগই ঠোঁটের নীচের অংশে হয়। কিন্তু কিভাবে বুঝবেন! যে কিভাবে মুখের ঘা ধীরে ধীরে ক্যান্সারের রূপ নিতে পারে।
লক্ষণ দেখে বুঝে নিন
মুখের ঘা বা ক্ষতটি সহজে ভালো না হলে। বা মুখের ঘা যখন সাধারন ভাবে সারে না। অনেকদিন ধরে ঘা একই রকম ভাবে থাকলে।মুখের ঘা ক্যান্সারের দিকে গেলে মুখের ওপর ফোঁড়া হতে পারে। মুখের ভেতরের চামড়ায় সাদা বা লাল লাল দাগ হয়।
ঘা এর কারণে দাঁত মাড়ি থেকে আলগা হতে থাকে।ঘা এর কারণে জিভ ও চোয়ালে যদি ব্যাথা হয়।
যেকোনো খাবার, যেমন নরম খাবার চিবতেও খুব কষ্ট হয়। ব্যাথা হয় দাঁতে।
সবসময় মনে হতে থাকে যেন গলার কাছে কিছু আটকে আছে। এবং খাবার গিলতে কিছু সমস্যা হয়। গলা ব্যাথা হয়। সাধারন ভাবে গারগেল করেও ব্যাথা কমে না। এবং ব্যাথা বার বার ফিরে আসে।
এই ভাবেই মুখের ঘা আস্তে আস্তে ক্যান্সারের রূপ নিতে পারে। তবে সবসময় ঘা হাওয়া মানেই যে সেটা ক্যান্সার তা নয়। যদি ঘা হয় আর এই ধরনের লক্ষণ গুলি দেখা যায়, তাহলে বুঝবেন সেটি ক্যান্সারের রূপ নিচ্ছে। তাই ঘা হলে ফেলে রাখবেন না।
কিন্তু কেন এই ঘা ক্যান্সারের রূপ নেয়? বা মুখে কেন ক্যান্সার হয়?
তার অনেক কারণই হতে পারে। যেমন, যারা খুব বেশি ধূমপান করেন। যারা খুব বেশি অ্যালকোহল খান। অনেক সময় সূর্যের ক্ষতিকারক রস্মি থেকে। অর্থাৎ ঠোঁটে যদি খুব বেশি রোদ লাগে। তাহলে ক্ষতিকারক সূর্যরশ্মি থেকেও ক্যান্সার হতে পারে।
ওরাল সেক্স ও মুখের ক্যান্সারের একটি কারণ।ভিটামিন বি এর অভাব। অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, মুখের অস্বাস্থ্যকর ভাব সেই জন্য ঘা হতে পারে। সেই ঘা আস্তে আস্তে ক্যান্সারের রূপ নিতে পারে।
এছাড়াও যারা অনেকদিন ধরে কোন রোগে ভুগছেন। তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই কম থাকে। দীর্ঘদিন ধরে ক্রমাগত ওষুধ খাওয়ার ফলে, অনেক সময় ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্য মুখ এক ধরনের ক্যানডিডা নামক জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। এবং তার ফলেই মুখে ঘা হয়। এবং সেই ঘা দীর্ঘদিন ধরে না সারলে ক্যান্সারের রূপ নিতে পারে।