সুন্দর ত্বক পেতে হরেক রকমের পণ্য নয়, সবচাইতে বেশি জরুরী একটু যত্ন। সারাদিন নানা কাজের কারনে ত্বকের যত্ন নেবার সময় কোথায়? ঘুমাতে যাবার আগেই করুন ছোট্ট এই কাজগুলো, সারাদিন ত্বক থাকবে ঝলমলে উজ্জ্বল।
১/ ভালো করে ত্বক পরিষ্কার করুন –
ত্বকের যত্নে খুব বড় একটি ভুল হলো মুখ ভরা মেকআপ নিয়েই ঘুমাতে যাওয়া। এমনকি ত্বকে সামান্য মেকআপ রয়ে গেলেও তা যথেষ্ট ক্ষতি করতে সক্ষম। ঘুমের মাঝে ত্বক নিজেকে মেরামত করে। যদি ত্বকের ওপরে মেকআপের আস্তর থাকে তাহলে মোটেই কাজটা ঠিক হবে না। প্রথমে মেকআপ রিমুভার দিয়ে ধুয়ে নিন মুখ।
এরপর অ্যালকোহল ফ্রি টোনার ব্যবহার করলে ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স ঠিক থাকবে এবং আরও কোনো মেকআপ থাকলে তা চলে যাবে। এরপর ভালো একটি ক্লিনজার ব্যবহার করে মুখ এবং গলা ধুয়ে নিন। এক্সফলিয়েটরও ব্যবহার করতে পারেন। মুখ শুকিয়ে নিন এবং যেসব জায়গায় বেশি ব্রণের উপদ্রব দেখা যায় সেখানে টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
২/ সেরাম ব্যবহার করতে পারেন –
অ্যান্টি-এজিং সেরাম ব্যবহার করতে পারেন। বিশেষ করে আপনার ত্বক যদি রোদে পোড়া হয়ে থাকে। এগুলোতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেগুলো ত্বকের বলিরেখা, কুঞ্চন এবং ছোপ ছোপ দাগ কমাতে সাহায্য করে। রেটিনয়েড আছে এমন সেরামগুলোও বেশ ভালো। তবে এগুলো অনেক সময়ে ত্বক শুষ্ক করে দেয় তাই এটা ব্যবহারের পর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা জরুরী।
৩/ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন –
দিনে ও রাতে একই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে কোনো সমস্যা নেই। তবে একটু ভারী, হাইড্রেটিং ধরণের ময়েশ্চারাইজার রাত্রে ব্যবহার করা ভালো। এতে সেরাম ভালোভাবে কাজ করতে পারে। সারা মুখে সমানভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। এমন কোনো ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন যা আপনার ত্বকে কোনো অস্বস্তি তৈরি করবে না। এটা ত্বকের মরা কোষ সরিয়ে ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জীবিত করে তুলবে।
৪/ আই ক্রিম ব্যবহার করুন –
চোখের চারপাশের ত্বকে অয়েল গ্ল্যান্ড না থাকায় এখানে আই ক্রিম ব্যবহারে ত্বক সুন্দর হয়ে ওঠে, কমে লালচেভাব, ফোলাভাব এবং ডার্ক সার্কেল। অনামিকা ব্যবহার করে আলতো করে আই ক্রিম দিন চোখের চারপাশে। এরপর ওই আঙ্গুল দিয়েই ছড়িয়ে নিন, বেশি চাপ প্রয়োগ করবেন না।
৫/ ঘুমানোর আগে চুল বেঁধে রাখুন –
ঘুমের মাঝে চুল মুখের ওপর এসে পড়লে আপনার ত্বকের ময়েশ্চারাইজার সব চুলই শুষে নেবে। এছাড়া চুলের তেল, ব্যাকটেরিয়া সব মুখে লেগে যাবে। চুল বেণী করে মাথার ওপর বেঁধে রাখুন।