ভোর রাতে বা সুইমিংয়ের সময় বা জগিং করতে গিয়ে পায়ের পেশিতে টান লেগে আমাদের অনেককেই ভুগতে হয় এই সমস্যায়। হঠাৎ প্রবল যন্ত্রণা। পা সোজা করতে পারছেন না। ভোর রাতে বা সুইমিংয়ের সময় বা জগিং করতে গিয়ে পায়ের পেশিতে টান লেগে আমাদের অনেককেই ভুগতে হয় এই সমস্যায়। এ যে কী অসহ্য যন্ত্রণা, যাঁর হয় সে-ই জানে! মাসল ক্র্যাম্প হলে ব্যথা কখনও কখনও কয়েক সেকেন্ড থাকে। আবার কখনও কখনও পায়ের পেশিতে ব্যথা সারাদিন ধরে ভোগায়।
শুধু যে ঘুমের মধ্যেই মাসল ক্র্যাম্প হবে, এমন নয়। কখনও কখনও হাত-পা ছড়িয়ে বিশ্রাম নেওয়ার সময়ও পেশিতে প্রবল টান পড়তে পারে। অনেক সময় আমাদের অনিয়মিত ও অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া এই ধরণের সমস্যার জন্য দায়ী হয়। এছাড়াও একাধিক কারণ রয়েছে।
সাধারণত পায়ের গোছে এই টান ধরে। কিন্তু, তার জেরে হাঁটু ও পায়ের পাতাতেও প্রচণ্ড যন্ত্রণা হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়। আবার কয়েক মিনিট টান ধরে রয়েছে, এমনটাও হয়। তবে, পায়ের গোছের ক্র্যাম্প ছাড়লেই, যে সব মুহূর্তে স্বাভাবিক হয়ে যায়, তা কিন্তু নয়। ঠিক হতে গোটা রাত কেটে যায়। আবার পরদিনও ব্যথা রয়েছে, এমনটাও ঘটে।
সঠিক কারণ এখনও অজানাই। তবে, সম্ভাব্য কারণের মধ্যে রয়েছে, অনেকক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকা, পায়ের পেশিতে অতিরিক্ত চাপ পড়া, কংক্রিটের মেঝেতে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করলে, ঠিকঠাক ভাবে না বসলেও মাসল ক্র্যাম্প হয়ে থাকে।
কিছু মেডিক্যাল কন্ডিশনের ওপরও নির্ভর করে পায়ের খিঁচ ধরা। যেমন গর্ভাবস্থায়, অতিরিক্ত মাদকাসক্তি, ডিহাইড্রেশন, পারকিনশন’স ডিজিজ, নিউরোমাসকুলার ডিজঅর্ডার, সমতল পায়ের পাতার মতো শারীরিক গঠনগত ত্রুটি, ডায়াবেটিসের কারণেও মাসল ক্র্যাম্প হতে পারে। ফলে মাঝে মাঝে শরীর স্ট্রেচ করার অভ্যেস করুন। জল খান। শরীরে জলের পরিমাণ কমে দেবেন না কখনওই।