পিতা-মাতার ওপর সন্তানের সফলতা অনেকাংশে নির্ভর করে। এ লেখায় তুলে ধরা হলো পিতামাতার তেমন কিছু ভূমিকা, যা তাদের জীবনে সফল হতে ভূমিকা রাখে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক…
১. বাড়ির টুকিটাকি কাজ
অনেক বাবা-মা সন্তানের পড়াশোনার ক্ষতি হবে মনে করে তাকে বাড়ির টুকিটাকি কাজ করতে দেন না। যদিও এতে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ যে বাবা-মা সন্তাকে বাড়ির টুকিটাকি কাজ করতে দেন তাদেরই বেশি সফল হতে দেখা যায়।
২. সামাজিকতা শিক্ষা
সন্তানকে ছোটবেলা থেকেই সামাজিকতা শিক্ষা দেওয়া শিশুর সঠিক মানসিকতা গড়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শিশু শ্রেণী থেকেই যে বাবা-মা সন্তানকে নানা ধরনের সামাজিকতা শিক্ষা দেয়, তারা সারা জীবন সে শিক্ষা কাজে লাগাতে সক্ষম হয়।
৩. উচ্চাকাঙ্ক্ষা গড়ে তোলা
বাবা-মা সন্তানকে ছোটবেলা থেকেই যদি উচ্চাকাঙ্ক্ষী করে তোলেন তাহলে তা তাদের জীবনে সফল হতে সহায়তা করে।
৪. পিতামাতার উচ্চশিক্ষা :
শিক্ষিত মা-বাবার সন্তানও শিক্ষালাভে আগ্রহী হবে, এটাই স্বাভাবিক। এ বিষয়টি সন্তানের উচ্চশিক্ষা লাভে বাড়তি অনুপ্রেরণা হিসেবেও কাজ করে।
৫. অল্পবয়সেই অংক শিক্ষা :
অংক শিক্ষা শিশুর ভবিষ্যত উন্নতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাবা-মায়েরা যদি সন্তানকে অল্পবয়সেই অংক শিক্ষা দেন তারা ভবিষ্যতে অংকভীতি কাটিয়ে উঠতে পারে এবং বিজ্ঞানের নানা ক্ষেত্রে সহজেই বিচরণ করতে পারে।
৬. সন্তানের সঙ্গে সম্পর্ক গড়া :
পিতা-মাতার সঙ্গে সন্তানের নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলা শিশুর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত কার্যকর। বিভিন্ন গবেষণাতেও এ বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।
৭. কম মানসিক চাপ :
অভিভাবকের মানসিক চাপ সন্তানের ওপরেও প্রভাব বিস্তার করে। এ কারণে যে বাবা-মায়েরা মানসিক চাপে কম থাকে তাদের সন্তানও সঠিক আচরণ শিখতে পারে এবং ভবিষ্যতে উন্নতি করে।
৮. সঠিক পুষ্টিজ্ঞান :
বাবা-মা যদি নানা ধরনের খাবারের পুষ্টি সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান রাখে তাহলে সন্তানকেও উপযুক্ত খাবার খাওয়াতে সক্ষম হয়। আর এতে শিশুর সুস্বাস্থ্য যেমন নিশ্চিত করা যায় তেমন তার ভবিষ্যৎও উজ্জ্বল হয়।