ঋতুমতী হওয়ার স্পেশ্যাল দিনটি প্রত্যেক মহিলার কাছে ভয়-যন্ত্রণা-আনন্দ মেশানো এক এমন এক এমন অনুভূতি, যা মহিলাদের নিজস্ব। তবে ঝামেলাও কম নয়। কেননা আমাদের দেশ এখনও পিরিয়ড নিয়ে পুরোপুরি সংস্কারমুক্ত হতে পারেনি। কোথাও কোথাও তো আবার এই দিনগুলোতে মহিলাদের গোয়ালঘরে নির্বাসন দেওয়া হয়।
এমন সময়ে সাপের ছোবলে মৃত্যুও হয়েছে এক ঋতুমতী কন্যার। দেশের ছবি যখন এরকম, তখম বিদেশের চিত্রটা ঠিক কীরকম? প্রথম ঋতুমতী হওয়ার দিনটি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মহিলাদের কাছে ঠিক কেমন? দেখা যাচ্ছে, সারা পৃথিবীতেই এ নিয়ে বেশ অদ্ভুত কিছু নিয়ম আছে।
১) তুর্কিতে প্রথম ঋতুমতী হওয়ার দিনটিতে কন্যার গালে জোর জোরে থাপ্পড় মারা হয়। যাতে গাল লাল হয়েও ওঠে। উদ্দেশ্য, এই যন্ত্রণা যাতে সে সারাজীবন মনে রাখে। আর ঋতুস্রাবের দিনগুলিতে আজীবন খানিকটা লজ্জা-ভয় পায়।
২) আবার ঘানাতে প্রথম দিনটিতে মেয়েদের আস্ত সেদ্ধ ডিম গিলে খেতে হয়। দাঁতের দাগ বসা মানে অলুক্ষণে। ধরে নেওয়া হয় তার সন্তানের মৃত্যু হবে।
৩) ফিলিপাইনসে আবার আরও অদ্ভুত নিয়ম। ঋতুস্রাব মাখা অন্তর্বাস কন্যার মা স্রেফ জলে ধুয়ে নেন। তারপর তা মেয়েটিরই মুখে বুলিয়ে দেওয়া হয়। মনে করা হয়, এতে মেয়ের ত্বকে আর ব্রণ ফুটবে না।
৪) ইজরায়েল অবশ্য অনেকটা মানবিক। সেখানে মেয়েটিকে এক চামচ মধু খাওয়ানো হয়। যাতে ঋতুর দিনগুলোয় সে সুস্থ থাকে।
৫) মালয়েশিয়া কাঁচা ডিম কিছু তেলের মিশ্রণে খাওয়ানো হয়। বিশ্বাস, এতে তাদের ঋতুকালীন যন্ত্রণা লাঘব হবে।
৬) ব্রাজিলে আবার পরিবারের কোনও মেয়ে প্রথম ঋতুস্রাবের দেখা পেলেই, বাড়ির সবাইকে বলতে হয়। এমনকী আত্মীয় পরিচিতদেরও জানানো হয়।
৭) শ্রীলঙ্কায় আবার প্রথম পিরিয়ডসের দ্বিতীয় দিনটিতে কন্যাকে সকলে পয়সা দেন। যাতে এই সময়টাকে সে উপভোগ করতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকাতে উদযাপনের জন্য এই সময় পার্টি দেওয়ার চল আছে।