২৭০০ বছরের পুরনো একটি পোড়ামাটির সীলমোহর পাওয়া গিয়েছে। পবিত্র নগরী জেরুজালেমে পাওয়া এই মোহরটিতে বাইবেলের নবী ইসাইয়াহর নাম হিব্রু ভাষায় খচিত করা আছে।
ওফল নামের একটি প্রাচীন শহরে খননকালে প্রত্নতত্ত্ববিদরা ক্ষতিগ্রস্ত পোড়ামাটির এই সীলমোহরটি উদ্ধার করেন। গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, হিব্রু ভাষায় খোদাইকৃত মোহরটি বাইবেলের নবী ইসাইয়াহর। যদি তাই হয়, তাহলে নবী ইসাইয়াহ অস্তিত্বের এটিই প্রথম প্রমাণ। ইহুদীদের রাজা হেযেকিয়াহর পরামর্শদাতা ছিলেন নবী ইসাইয়াহ।
পোড়ামাটির সীলমোহরটি প্রায় ৩ মিটার(১০ ফুট) লম্বা। তবে এই ঘটনার ব্যাখ্যায় প্রত্নতত্ত্ববিদরা বিভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ বলছেন, সীলমোহরটিতে লেখা নামটি বাইবেলের নবী ইসাইয়াহর। আবার অনেকেই বলছেন, নামটি সে সময়কার কোনো সাধারণ ব্যক্তিরও হতে পারে।
নবী ইসাইয়াহ কে?
ইহুদীদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ তাওরাত অনুযায়ী, খ্রিস্টপূর্ব ৭০০ বছর পূর্বে নবী ইসাইয়াহর জন্ম হয়।নবী ইসা (আ .) এর ওপর। নবী ঈসা (আ.) খ্রিষ্টানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ নাজিল হয়। এরও আগে জন্ম হয় ইসাইয়াহর। তাওরাতে বলা হয়েছে, ভবিষৎবাণীতে তিনি আরও বলেছেন, আসিরিয়ান সাম্রাজ্য ঈশ্বরের কাছ থেকে অহংকারী লোকেদের কাছে একটি সতর্কবাণী ছিল। খ্রিস্টপূর্ব ৭০১-এ ইসাইয়াহ আসিরিয়ান বাহিনীর জেরুজালেমে প্রবেশ করাকে কেন্দ্র করে ভবিষৎবাণী করেন।
বাণীতে তিনি নবী ইসাইয়াহ সাম্রাজ্যের সম্প্রসারণের জন্য ইহুদীদের রাজা হেযেকিয়াহকে আসিরিয়ান বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এ ছাড়াও তার জীবন কাহিনীর বর্ণনা দেওয়া হয়েছে তাওরাতের ৬ষ্ঠ অধ্যায়ে।
যদিও কোরআন ও হাদীসে নবী ইসাইয়াহর নাম কোথাও উল্লেখ করা নেই। তবে মুসলিম স্কলার, ইবনে কাথির ও আলী ইবনে হামযাহ আল-আসাদিসহ অনেক লেখকই ইসাইয়াহকে ইহুদীদের নবী হিসেবে মানেন।