মৃত্যুর আলাদা একটা শক্তি আছে যা ভাবলেই আমাদের সবার মধ্যে কম্পন বয়ে যায় খুব কম মানুষই এটা নিয়ে ভাবতে বসেন। আমরা মানুষেরা এই চিন্তাটাকে মন থেকে দূরে রাখা বেশ ভালো ভাবেই শিখে নিয়েছি, কিন্তু কিভাবে আমরা তা পারলাম?
এটাকে মেনে নিয়ে এবং এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে। কারণ মৃত্যু অনিবার্য, আপনি একে এড়িয়ে পালাতে পারবেন না। একদিন না একদিন তা আপনাকে খুঁজে নিবে। কিন্তু সব মৃত্যু কিন্তু স্বাভাবিক না। কিছু মানুষ তার মৃত্যুর সাথে রেখে যান কিছু রহস্য, বিতর্ক। তাদের ছবিগুলো তেমনটাই নির্দেশ করে।
আমরা এমন সব ছবি নিয়ে কথা বলবো যেগুলো কিছু মানুষের মৃত্যুর ঠিক আগমুহুর্তে তোলা। ছবিগুলোতে একটা বিষয় খুবই কমন, তা হলো সবাই মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
একজন প্রাক্তন যোদ্ধাঃ
মৃত্যুর ঠিক আগের দিন জাস্টাস বেলফিল্ড এই ছবিটা তোলেন। ২য় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেয়া এই যোদ্ধা ইউনিফর্ম পরেই মারা যান।
শেষ সেলফিঃ
গ্যারি স্লকের জন্য মায়ের সাথে তোলা এটাই শেষ সেলফি, কারণ এর কিছু পরেই তারা যে বিমানে করে যাচ্ছিলো তা হারিয়ে যায়।
হিটলারঃ
বলা হয় এটাই হিটলারের শেষ ছবি কারণ এর পরেই তিনি রূমে ঢুকে নিজের মাথায় গুলি চালান।
খুনির ছবি তোলাঃ
পরিবারের ছবি তুলতে গিয়ে ফিলিপাইনের একজন রাজনীতিবিদ নিজের খুনির ছবি তুলে ফেলেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে খুনি তার দিকে বন্দুক তাক করে রেখেছেন।
সামাজিক গণমাধ্যমে শেষ পোস্টঃ
গাব্রিয়েলা হার্নান্দেজ ২০১৩ সালে ফেসবুকে এই ছবিটি পোস্ট করে আত্মহত্যা করেন।
বিপদজনক খেলা!
এই রাশিয়ান কিশোর মৃত্যু থেকে মাত্র কয়েক সেকেন্ড দূরে দাঁড়িয়ে। ছবিটি তোলার একমুহুর্ত পরেই সে কিনারা থেকে নিচে পরে যায়।
শেষ ভালবাসা
এই মহিলা বয়ফ্রেন্ডের একটি স্ন্যাপচ্যাট শেয়ার করেন, ছেলেটি তাকে গুলি করার একটু আগে।
জন লেননঃ
বিটলসের প্রতিষ্ঠাতা রিহার্সেল করে বাড়ি ফিরছিলেন, সাথে মার্ক ডেভিড চাপম্যান। যে তাকে তার বাড়িতেই গুলি করে মারেন।
রবার্ট কেনেডিঃ
নিউ ইয়র্কের সিনেটর থাকাকালীন সময়ে কেনেডিকে ফিলিস্তিনের ২৪ বছর বয়সী যুবক সিরহান বিশারা সিরিহান ২২ ক্যালিবারের রিভলবার দিয়ে ঠিক বুকে তিনবার গুলি করেন। ছবিটি গুলি লাগার ঠিক পরমুহুর্তে তোলা।