বার বার প্রস্রাব পেলে- এই সমস্যা হয় সেই খাবার গুলো ডায়েট থেকে বাদ দিলে বা কম খেলে ব্লাডারকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে।
অনেকেই আছেন যাদের বারবার প্রস্রাব পায়। এবং বাধ্য হয়েই টয়লেটে ছুটতে হয়। অনেকে আবার এটাকে ডায়াবেটিসের উপসর্গ মনে করে ডাক্তারের কাছে ছুটেন। ডাক্তার হাসিমুখে বলে দেন যে এটা সুগারের কোন সমস্যা নয়।
তবে কি? চিকিত্সকদের মতে, ডায়াবেটিস ছাড়াও ওভারঅ্যাকটিভ ব্লাডার (ওএবি) হওয়ার কারণে এমনটা হতে পারে। যদিও ওএবি সমস্যার কোনও বিশেষ ডায়েটের কথা চিকিত্সকরা বলছেন না।
তাদের পরামর্শ, কিছু খাবার ব্লাডারে অস্বস্তি বাড়ায় যার ফলে এই সমস্যা হয় সেই খাবারগুলো ডায়েট থেকে বাদ দিলে বা কম খেলে ব্লাডারকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে।
দেখে নিন কোন খাবারগুলো আছে সেই তালিকায় :
০১. কফি: সকালে উঠে কফি থান? যদি আপনার ব্লাডার ইনফেকশনের সমস্যা থাকে তাহলে এই অভ্যাস ছাড়ুন। কফির মধ্যে থাকা ক্যাফেইন ব্লাডারে অস্বস্তি বাড়ায়।
০২. অ্যালকোহল: মদ্যপান করলে যে বেশি প্রস্রাব পায় তা যারা নিয়মিত মদ্যপান করেন তারা করেন। অ্যালকোহল যে শুধু পেটে অস্বস্তি হয় তা নয়, ব্লাডারেও অস্বস্তি তৈরি করে। তাই সংক্রমণের প্রবণতা থাকলে অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন।
০৩. সোডা: ব্লাডার ফুলে যাওয়া, মূত্রনালির সংক্রমণ বা ওএবি থাকলে সোডা খেলে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তাই কার্বনেটেড বা সাইট্রাস সোডা থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকুন। তার বদলে যতটা সম্ভব জল খান।
০৪. অ্যাসিডিক ফল: শরীরের পক্ষে ফল খাওয়া ভাল। কিন্তু যদি আপনার ব্লাডারের সমস্যা থাকে তাহলে অ্যাসিডিক ফল মূত্রনালির সংক্রমণ বাড়াতে পারে। সে ক্ষেত্রে কমলালেবু, আঙুর, লেবু, টোম্যাটো, পিচ, আপেল, আনারস থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা।
০৫. স্পাইসি খাবার: যদি আপনার পিজায় এক্সট্রা চিলি ফ্লেকস বা চিকেন কারিতে অতিরিক্ত ঝাল খেতে ভাল লাগে তবে আপনার মূত্রনালিতে সংক্রমণ থাকলে একটু সাবধান থাকতে হবে। কারণ ঝাল, মশলাদার খাবার ব্লাডারে অস্বস্তি তৈরি করে।
০৬. কৃত্রিম সুইটেনার: ক্যালরির পরিমাণ কমানোর জন্য অনেকেই খাবারে চিনির বদলে কৃত্রিম সুইটেনার যোগ করেন। তবে চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন, যদি মূত্রনালিতে সংক্রমণ থাকে তাহলে কৃত্রিম সুইটেনার থেকে দূরে থাকুন। এতে সংক্রমণ বাড়তে পারে।