পৃথিবী থেকে চাঁদের অনেক রকমের দৃশ্যই দেখা যায়। একটা সময় ছিল যখন চাঁদের শরীরের দাগগুলোকে নিয়ে বিভিন্ন মিথ চালু ছিল। কিন্তু বিজ্ঞানের উৎকর্ষতার ফলে জানা যায়, ওই দাগগুলো আসলে চাঁদের গায়ে থাকা বিশাল সব গর্ত।
তেমনি চাঁদ থেকেও যদি পৃথিবীর দিকে তাকানো যায় তাহলে এরকম কিছু গর্ত দেখা যায় কালো পর্দার আদলে। বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরেই এই গর্তগুলো নিয়ে কাজ করছেন।
এরমধ্যে কিছু গর্ত মানবসৃষ্ট, আবার কিছু গর্ত প্রকৃতিসৃষ্ট। প্রকৃতসৃষ্ট গর্তগুলোর ব্যাপারে রহস্য সবচেয়ে বেশি এবং বিজ্ঞানীরা সেগুলো নিয়ে এখনও কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের আজকের আয়োজনে এমনই দশটি গর্ত নিয়ে আলোচনা করা হবে, যেগুলো দেখতে সত্যিই ভয়ংকর সুন্দর।
১# দি হোল অফ গ্লোরিঃ দ্য হোল অফ গ্লোরি মন্টিসিলো বাঁধে অবস্থিত। এটি দেখতে অনেকটা টানেলের মতো। বৃষ্টির সময় এটি খুব দ্রুত প্রবাহিত হয়।
২# স’মিল সিঙ্কঃ স’মিল সিঙ্ক একটি উজ্জ্বল নীল গর্ত, যা ছিল বাহামাসের একটি প্রত্নতাত্ত্বিক তদন্ত সাইট। এটি হাজার বছর আগে পৃথিবী কেমন ছিল তা বুঝতে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করে।
৩# ডিলাক্স মিস্ট্রি হোলঃ ডিলাক্স মিস্ট্রি হোলের উৎস অস্পষ্ট রয়েই গেছে। আধুনিক পদ্ধতিসমূহ সঠিকভাবে তার গভীরতা পরিমাপ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এটি বর্তমানে একটি পর্যটক আকর্ষণ।
৪# দি গ্রেট ব্লু হোলঃ এটি ক্যারিবিয়ান সাগরে অবস্থিত। ধারণা করা হয় শেষ বরফ যুগে এটির সৃষ্টি। তবে এটি ক্ষতিকর নয়। ডাইভিংয়ের জন্য বিশ্বের সেরা জায়গাগুলোর মধ্যে একটি হলো গ্রেট ব্লু হোল।
#৫ দি ডেভিল’স সিঙ্কহলঃ একটি ভূগর্ভস্থ গুহা, যেখানে প্রবেশ করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কারণ এখানে প্রবেশ করলে মানুষ আর ফিরতে পারে না। তবে শুষ্ক মৌসুমে কয়েকজন একসাথে এই গুহায় প্রবেশ করা যায়।
#৬ দি মির মাইনঃ মীর মাইন রাশিয়ায় হীরা উৎপাদনের এক বৃহত্তম উৎস।
#৭ দি হারউড হোলঃ এটি নিউজিল্যান্ডে অবস্থিত একটি গুহা। যেটিকে পৃথিবীর গভীরতম উলম্ব গুহা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
#৮ উডকাশনায়া পাইপঃ রাশিয়ার ইয়াকুতিয়াতে হীরার আরেকটি উৎস উডকাশনায়া পাইপ।
#৯ ২০১০ গুয়াতেমালার সিটি সিঙ্কহোলঃ বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে গুয়াতেমালা সিটিতে এই গর্তের সৃষ্টি হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। ২০১০ সালে সৃষ্ট এই গর্তের ফলে বেশ কিছু বিল্ডিং ধ্বংস হয়ে যায়।
#১০ বিংহ্যাম ক্যানিয়ন মাইন, উতাহ (Bingham Canyon Mine): আমেরিকার উতাহ স্টেটের সল্ট লেক সিটিতে অবস্থিত একটি খনি। এটি বিশ্বের বৃহত্তম মানবসৃষ্ট খনন কাজ। ১৮৬৩ সালে এই খনি থেকে খনিজ উত্তোলন শুরু হয়। এটা প্রায় ১.২ কিলোমিটার (৩,৯৬০ ফুট) গভীর এবং ৪ কিলোমিটার(২.৫ মাইল) প্রশস্ত। ২০১৩ সালের ১০ই এপ্রিল খনিটি একটি ভারী ভূমিধ্বসের শিকার হয় এবং ১১ই সেপ্টেম্বর আরও একটি ছোট ধরণের ভুমিধ্বস ঘটে। ২০০৪ সাল পর্যন্ত এই খনি থেকে প্রায় ১৫.৪ মেট্রিক টন কপার, ৭১৫ টন স্বর্ণ, ৫,৯০০ টন রৌপ্য, এবং ৮৫০ মিলিয়ন পাউন্ড মলিবডেনাম উত্তোলিত হয়েছে। এই খনি থেকে এখনো খনিজ উত্তোলন চলছে। সুতরাং দিনে দিনে এর গভীরতা আরও বেড়ে চলছে এবং ২০১৫ সালের মধ্যে বর্তমানের তুলনায় কমপক্ষে আরও প্রায় ৫০০ ফুট গভীর হবে।
#১১ The Heavenly Pit বা স্বর্গীয় পিটঃ এইটা পৃথিবীর গভীরতম সিঙ্কহোল!আনুমানিক ১২৮,০০০ বছর আগে এটি গঠিত হয়। মানুষ এখানে প্যারাচান্টিং করতে পছন্দ করে।