মাঝবয়সী ও বেশি বয়সী নারীদের অনেকেই ভিটামিন বড়ি নিয়মিত সেবন করেন। দুনিয়াজুড়ে ওষুধের দোকানের ভিটামিনের কৌটার মূল ক্রেতা হলেন নারীরা। কিন্তু আদৌ কি তাঁরা সবাই ভিটামিনের অভাবে ভুগছেন? আর নারীর একটু বয়স বাড়লেই কি ভিটামিন বড়ি সেবন করা উচিত? এ বিষয়ে কয়েকটি পরামর্শ:
* গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালীন নারীদের আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ফলিক অ্যাসিডের চাহিদা বেড়ে যায়। এ সময় ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট প্রায় সবাইকেই খেতে বলা হয়। এতে কোনো সমস্যা নেই।
* মেনোপজের পর নারীদের হাড় ক্ষয় বা অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। এ সময় তাঁদের দৈনিক ১ হাজার ২০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম ও ৮০০ ইউনিট ভিটামিন ডি খাওয়া উচিত। তবে সেটা সাধারণ খাবারের মাধ্যমেও খাওয়া যেতে পারে। যদি এমন হয় যে খাবারে ঘাটতি পূরণ হচ্ছে না, তবে চিকিৎসকের পরামর্শে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম সেবন করা যেতে পারে।
* এমনিতে প্রতিদিন তাজা শাকসবজি, ফলমূল ও দুধ খেলে একজন সুস্থ নারীর আর আলাদা করে ভিটামিন খাওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে কিছু উপসর্গ মাঝে মাঝে সাময়িক ভিটামিনের ঘাটতি নির্দেশ করে। যেমন ঠোঁটে-জিবে ঘা, ঠোঁটের কোণে ঘা, জিব লালচে ও চকচকে দেখানো, অনেক চুল পড়া ও ত্বক খসখসে হয়ে পড়া, মাংসপেশিতে কামড়ানো, হাত–পায়ের তালু জ্বালাপোড়া করা ইত্যাদি ভিটামিনের অভাবজনিত কারণে হচ্ছে কি না, তা যাচাই করতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
* মাসিকের সঙ্গে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ, পাইলসের সমস্যা, গ্যাস্ট্রিক-আলসারের কারণে নারীদের রক্তশূন্যতা হতে পারে। হজমের নিয়মিত গোলমালেও অন্ত্রে ভিটামিন শোষণ বাধা পায় ও ভিটামিনের ঘাটতি হয়। এসব ক্ষেত্রে দুর্বলতা, ক্লান্তি, মাথা হালকা বোধ হওয়ার কারণ লৌহের বা অন্যান্য ভিটামিনের অভাব কি না পরীক্ষা করা উচিত। প্রয়োজনে সাপ্লিমেন্ট বা পরিপূরক খাবারও নেওয়া যায়।