অবিশ্বাস্যভাবে শত কেজি ওজন কমানোর ফলেই বোধয় এমন সব নজরকাড়া ছবি তুলতে পেরেছেন এই সুখী দম্পত্তি।
সম্প্রতি তাদের তোলা বেশ কিছু আকর্ষণীয় ছবি নিয়ে এখন নেট দুনিয়ায় চলছে হুলুস্থুল কারবার।
মাত্র আঠারো মাসের মাথায় এক তরুণী তার শরীরের ওজন ২১৯ কেজি থেকে কমিয়ে, এনেছেন মাত্র ৮২ কেজিতে।
অর্থাৎ এক ধাপেই তিনি একেবারে ১৩৭ কেজি ওজন কমিয়েছেন! বিশ্বাস করতে কষ্ট হলেও এটাই সত্যি।
তাহলে জেনে নিন বিস্তারিত…
যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা রাজ্যে বসবাসকারী ২৬ বছর বয়সী লেক্সী রিড নামের এই নারীর সঙ্গে বহুদিনের প্রেম ছিল ২৯ বছর বয়সী ড্যানি নামের এক তরুণের।
এরপর বিয়ের মাধ্যমে তাদের সেই প্রেমের পূর্ণতা লাভ করে। প্রথম দিকে এই দম্পত্তি ছিলেন চোখে লাগার মতো অস্বাভাবিক স্থুল শরীরের অধিকারী।
লেক্সীর স্বামী ড্যানি’র ওজন ছিলো ১২৭ কেজি। সেও তার ওজন কমিয়ে নিয়ে এসেছে ৮৬ কেজিতে।
অর্থাৎ স্ত্রীর সঙ্গে-সঙ্গে স্বামী ড্যানিও তার শরীরের ওজন কমিয়েছেন ৪১ কেজি।
২০১৬ সাল থেকে এই সুখী দম্পত্তির একসঙ্গে ওজন কমানোর যাত্রা শুরু হয়।
তাদের এই অসাধারণ যাত্রা শুরুর পূর্বে দুজনের কেউই রান্না-বান্না জানতেন না।
তাই তাদের প্রতিদিনের ২৪ ঘন্টার সব খাবারই আসতো মুখরোচক সব রেস্তরাঁ থেকে।
হঠাৎ তারা ভাবতে লাগলেন এভাবেই যদি দিব্যি তাদের দিন কেটে যায় তাহলে হাতিও তাদের দেখে ভয় পেয়ে যাবে।
শুধু তাই নয়, সংসার ধর্ম ত্যাগ করে, নানা রকম অসুখ-বিসুখকে সঙ্গে নিয়েই বাকি জীবনটা কাটাতে হবে হাসপাতালে।
যাই হোক এরপর তারা নিজেরাই একে অন্যের উপদেষ্টা বনে গেলেন।
ইউটিউব দেখে রান্না শেখা শুরু করলেন দুজন। রেস্টুরেন্টের জাঙ্ক ফুড বাদ দিয়ে ঘরের তৈরি স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া শুরু করলেন।
প্রতিদিন একসঙ্গে জিমে যাওয়ার শুরু করেন ২০১৬ সাল থেকেই।
বিরামহীন অনুশীলন আর একাগ্রতার ফলাফল হিসেবে আস্তে ধীরে তাদের ওজন কমতে শুরু করে।
জানলে অবাক হবেন, তাদের কোনো ব্যক্তিগত শরীরচর্চার প্রশিক্ষকও ছিল না।
তাদের অনুপ্রেরণা এবং দৈনন্দিন সহযোগিতার জন্য তারা নিজেরাই একে অন্যের জন্য যথেষ্ট ছিলেন।
নিজেদের এই সফলতার কথা বলতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম ‘এবিসি’কে লেক্সী জানান, ‘টানা দশ বছর ধরে এই মানুষটি (ড্যানি) আমার পাশে আছে।
শুধুমাত্র ওর কারণেই আজ আমার এই সফলতা। তবে হ্যাঁ, আমরা নিজদের বাহ্যিক সৌন্দর্য প্রকাশের জন্য ওজন কমাইনি।
দুজনের শারীরিক সুস্থতা অর্জনই ছিলো আমাদের মূল উদ্দেশ্য। আমার এখন নিজেকে অনেক স্বাভাবিক মনে হচ্ছে।
সত্যি এর আগে এমন অনুভূতি আমার কখনও মনে হয়নি।‘এবিসি’কে লেক্সী আরো জানান, খুব শিগগিরই তারা বাবা-মা হবেন।