সকাল, দুপুর বা রাতের প্রাত্যহিক খাবার থেকে শুরু করে বিভিন্ন মুখরোচক খাবার তৈরিতে ডিমের ব্যবহার অতুলনীয়। মানবদেহের জন্য জরুরি সব প্রোটিন সঠিক মাত্রায় থাকায় একে ডাকা হয় আদর্শ প্রোটিন। তাই রোগীর পথ্য হিসেবেও আলাদা কদর রয়েছে ডিমের।
তবে ডিমটি যদি উৎকৃষ্ট মানের না হয়, তাহলে ডিম খাবার পরও এর পুষ্টিগুণ থেকে বঞ্চিত হতে পারেন আপনি। তাই ডিম খাওয়ার আগে জেনে নেওয়া উচিত, অধিক পুষ্টিগুণসম্পন্ন ডিম কোনটি। তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই। সাম্প্রতিক গবেষণা জানাচ্ছে, কুসুমের রং দেখেই আপনি জেনে নিতে পারবেন অধিক পুষ্টি রয়েছে কোন ডিমে।
জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট টিপস অ্যান্ড ট্রিকসের এক ফিচারে প্রকাশ, সাধারণত যে ডিমের কুসুমের রং কমলা রঙের এবং কুসুমটি যথেষ্ট গোল, সেই ডিমটি সবচেয়ে বেশি পুষ্টিকর। ছবিতে দেওয়া তিনটি কুসুমের মধ্যে প্রথম ডিমটির কুসুম গবেষকদের এ দুটি শর্তই পূরণ করে। তাই ছবির দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডিমের তুলনায় প্রথম ডিমটির পুষ্টির মাত্রা বেশি এবং তা খেতেও অন্য দুটি ডিম থেকে সুস্বাদু।
গবেষকরা আরো জানান, সাধারণত বেশির ভাগ ডিম দেওয়া মুরগি থাকে অন্ধকার খাঁচায়। ফলে সূর্যের আলো এবং বিচরণের জায়গার অভাব রয়ে যায়। এর প্রভাব পড়ে ডিমের পুষ্টিগুণে। কমে যায় ডিমের পুষ্টিগুণ। পরিবর্তন আসে কুসুমের রঙে।
অন্যদিকে কিছু মুরগি যথেষ্ট আলো-বাতাস এবং বিচরণের জন্য প্রচুর জায়গা পায়। ফলে তারা আলোহীন খাঁচায় থাকা মুরগির তুলনায় বেশ স্বাস্থ্যকর হয়ে বেড়ে ওঠে। কৃত্রিম উপায়ের পরিবর্তে তারা ডিম পাড়ে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়।
ফলে তাদের ডিমের কুসুমের রং হয় কমলা বর্ণের এবং এ ধরনের মুরগির ডিম স্বাস্থ্যকর হওয়ার পাশাপাশি সুস্বাদু হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।