তেল, ঝাল, মশলা সব খাচ্ছেন। হাত ধুচ্ছেন, মুখ ধুচ্ছেন। কিন্তু রোজ কিডনিপরিষ্কার করছেন কি? দূষিত পদার্থ জমে জমে বারোটা বাজছে কিডনির। হাতের কাছেই আছে সমাধান। কীভাবে পরিষ্কার করবেন কিডনি? দেখুন, কিডনি পরিষ্কারের ঘরোয়া টোটকা।
বছরের পর বছর, দিনের পর দিন কিডনি ঠিক এভাবেই ছাঁকনির কাজ করে চলে। নুন, বিষ এবং অবাঞ্ছিত পদার্থ শরীরে ঢুকতে বাধা দেয়। কিন্তু কিডনি অকেজো হয়ে গেলে শরীরের ক্ষতিকর বর্জ্য রক্তে জমা হয়। তখন বেঁচে থাকাই মুশকিল।
মারাত্মক ডায়েরিয়া বা শরীরে জলের অভাবে কিডনির দফারফা হতে পারে।
টাইফয়েড বা ডেঙ্গুজ্বর, অকারণ অ্যান্টিবায়োটিক, ব্যথা কমানোর ওষুধের সাইড এফেক্ট থেকে কিডনির সমস্যা হতে পারে।
অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনির নিজস্ব কিছু রোগের কারণে কিডনির ক্রনিক সমস্যা তৈরি হয়।
শেষ ধাপ এন্ড স্টেজ রেনাল ডিজিজ।
তখন প্রয়োজন ডায়ালিসিস অথবা কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট। ফাস্ট লাইফস্টাইল, চূড়ান্ত ব্যস্ততার জীবনে কিডনির সমস্যায় ভোগেন না, এমন মানুষের সংখ্যা খুব কম। তাহলে কিডনি ভাল রাখার উপায় কী? হাতের কাছেই রয়েছে চটজলদি সমাধান।
পরিষ্কার জলে ধুয়ে নিতে হবে একআঁটি ধনেপাতা।
কুচি কুচি করে কেটে পাত্রে রাখতে হবে ধনেপাতা।
পাত্রে কিছুটা পরিষ্কার জল নিয়ে ১০ মিনিট ফোটাতে হবে।
ঠান্ডা হলে ছেঁকে পরিষ্কার বোতলে রাখতে হবে।
ফ্রিজে রেখে দেওয়া যেতে পারে ওই বোতল।
প্রতিদিন একগ্লাস করে ধনেপাতার জুস খেলেই হাতেনাতে মিলবে ফল। কিডনির মধ্যে জমে থাকা নুন এবং বিষাক্ত পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যাবে। শুধু কিডনিই নয়। ধনেপাতা মহৌষধ। একআঁটি ধনেপাতায় রয়েছে ১১% ফাইবার, ৪% প্রোটিন, ১% ক্যালরি, ১% কার্বোহাইড্রেট, ১% ফ্যাট। ম্যাঙ্গানিজ ২১%, পটাসিয়াম ১৫%, কপার ১১%, আয়রন ১০%, ক্যালসিয়াম ৭%। এতে রয়েছে ৩৮৮% ভিটামিন k, ১৩৫% ভিটামিন A, ৪৫% ভিটামিন C, ১৬% ফলেট।
ধনেপাতায় হাজার গুণ। এগজিমা সারায়, বমিভাব কমায়, পেটের গন্ডগোল কমায়, আলসার সারায়, সতেজ হয় শ্বাস-প্রশ্বাস, হজমে সাহায্য করে, ব্লাড প্রেশার কমায়, অ্যানিমিয়া কমায়, ডায়াবেটিসে প্রচুর উপকার মেলে। হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। কনজাংটিভাইটিস থেকে চোখকে রক্ষা করে ধনেপাতা। স্মল পক্স প্রতিরোধ করে ধনেপাতা।