আপনি কি প্রতিদিন বাদাম খান? অনেকেই বলবেন বাদাম শখ করে খাওয়া হয়, প্রতিদিন তো আর শখ হয় না। কিন্তু এই বাদাম শখ করে খাওয়ার মতো খাদ্য নয়। ‘দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন’ এ প্রকাশিত গবেষণাপত্র হতে জানা যায় যারা প্রতিদিন বাদাম খান তারা অন্যান্যদের তুলনায় হার্টের সমস্যা, শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা এবং ক্যান্সারে কম আক্রান্ত হন,
একটি নতুন গবেষণায় দেখা যায়, প্রতিদিন বাদাম খেলে ২০% পর্যন্ত মৃত্যু ঝুঁকি কমে। শুধু তাই নয় নানা গবেষণায় প্রমাণিত হয় প্রতিদিন মাত্র ১ মুঠো বাদাম খেলে ৭ ধরণের শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা খুব সহজ হয়ে যায়।
১) সবচাইতে সহজলভ্য ও প্রধান উদ্ভিজ্জ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস বাদাম। এছাড়াও বাদামে রয়েছে ভিটামিন ই। ভিটামিন ই ধমনীতে প্লাক হওয়া প্রতিরোধ করে ও প্লাক কমাতে সাহায্য করে। ধমনীতে প্লাকের কারনে বুকে ব্যথা, করোনারি আর্টারি ডিজিজ বা হার্ট অ্যাটাক হতে পারে যা বাদামের ভিটামিন ই দূর করতে সক্ষম।
প্রতিদিন মাত্র ১ মুঠো বাদাম শরীরে এই ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন ই এর ঘাটতি কমায় ও হার্টের সমস্যা জনিত রোগ থেকে হৃদপিণ্ডকে সুরক্ষিত রাখে ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।
২) বাদামের অসম্পৃক্ত চর্বি বা ফ্যাট, ফাইবার ও প্ল্যান্ট স্টেরোল খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। যারা উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যায় আক্রান্ত তাদের জন্য বাদাম অনেক কার্যকরী একটি ওষুধ। খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন মাত্র ১ মুঠো বাদাম কমিয়ে দেবে খারাপ কোলেস্টোরল।
৩) বাদামের ফাইবার রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ কমাতে অত্যন্ত কার্যকরী। এই ফাইবার ডায়বেটিসের হাত থেকে রক্ষা করার ক্ষমতা রাখে। এছাড়াও ডায়বেটিসে আক্রান্ত রোগী প্রতিদিন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বাদাম খেলে শরীরের গ্লুকোজের পরিমান ঠিক রাখতে পারেন।
৪) বাদামের ফাইবার আমাদের হজমক্রিয়া ত্বরান্বিত করে থাকে। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। প্রতিদিন ১ মুঠো বাদাম খেলে আমাদের পরিপাকতন্ত্র উন্নত হয়।
৫) বাদামে বিদ্যমান এল-আরজিনিন অ্যামিনো অ্যাসিডটি ধমনীতে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং ধমনীকে নমনীয় করতে সহায়তা করে। বাদামের এল-আরজিনিন ধমনীতে প্রবাহিত রক্তকে জমাট বাঁধাতে বাঁধা প্রদান করে।
৬) ২০০৯ সালে ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাসের একটি গবেষণায় প্রমাণিত হয় যে, পেস্তা বাদাম ফুসফুসে ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে। পেস্তা বাদামের ভিটামিন ই এই মারাত্মক রোগটি দেহে বাসা বাঁধতে বাঁধা প্রদান করে।
৭) বাদামের প্রোটিন, ভালো ফ্যাট এবং ফাইবার আপনার ওজন কমাতে বিশেষ ভাবে সহায়ক। বিশেষ করে কাঠবাদাম ও চীনাবাদাম। অন্যান্য অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাকসের পরিবর্তনে মাত্র ১ মুঠো বাদামেই এই সমস্যা দূর করতে পারেন।