গরমের খুব পরিচিত একটি সমস্যা হল সানবার্ন। আর এই সানবার্নের হাত থেকে রক্ষার সেরা উপায় হল সানস্ক্রিনের ব্যবহার। সানস্ক্রিন লশানে এসপিএফ (SPF) থাকে যা সূর্যের আলট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করে। এসপিএফ (SPF) এর পূর্ণ রূপ হল সান প্রটেকশান ফ্যাক্টর(sun protection factor)। বাজারে এসপিএফ ৭০ পর্যন্ত সানস্ক্রিন লোশন পাওয়া যায়। রোদে বের হওয়ার ৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন লোশনে ব্যবহার করতে হবে, যাতে লোশন ত্বকের সাথে ভালভাবে মিশে যেতে পারে।
সাধারণত রোদে বের হওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যে সানবার্ন শুরু হয়ে যায়। সারাদিনের জন্য হলে এসপিএফ ৪৫ হওয়া ভালো। তৈলাক্ত ত্বকে তেলতেলে ভাব থাকে তাই কম এসপিএফ সম্পন্ন সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিৎ। শুষ্ক ও স্বাভাবিক ত্বকের জন্য ময়েশ্চারযুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করা যেতে পারে। বাজারে নানা রকমের সানস্ক্রিন লোশন পাওয়া যায়। এখানে এমনকিছু সানস্ক্রিন লোশানের নাম দেওয়া হল যা সারাবিশ্ব জুড়ে বেশ সমাদৃত এবং আমাদের দেশের আবহাওয়ার সাথে মানিয়ে যায়।
১। লোটাস হারবাল সেইফ সান ৩ ইন ১ ম্যট-লুক ডেইলি সান ব্লক পিএ+++ এসপিএফ-৪০(Lotus Herbals Safe Sun 3 In 1 Matte-Look Daily Sun block PA+++ SPF-40):
লোটাস হারবালের এসপিএফ-৪০ বতর্মানে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি সানস্ক্রিন লোশন। এটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অনেক উপকারি।তবে সব ধরণের ত্বকে এটি ব্যবহার করা যায়। এর এসপিএফ ৪০ বাংলাদেশের আবহাওয়া উপযোগী এবং ত্বকে কালো দাগ পড়া থেকে রক্ষা করে।
২। নিউট্রিজিনা অলট্রা শেয়ার ড্রাই- টাচ লোশন (Neutrogena Ultra Sheer Dry-touch Lotion):
নিউট্রিজিনা নিয়ে এসেছে অলট্রা শেয়ার ড্রাই- টাচ লোশন এসপিএফ 30 যা সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে দেয় সম্পূর্ণ সুরক্ষা।এটি মুখে, হাতে ও পুরো শরীরে ব্যবহার করা যায়। এটি PABA(para-aminobenzoic acid) মুক্ত এবং পানিরোধক। যে কোন ধরণের ত্বকের জন্য এটি উপযোগী।
৩। ল্যাকমে ইন টু ফাইভ হাইড্রেটিং সুপার সানস্ক্রিন (Lakme 9 to 5 Hydrating Super Sunscreen SPF 5):
ভিটামিন বি৩ এবং প্রো ভিটামিন সি-যুক্ত ল্যাকমে ইন টু ফাইভ হাইড্রেটিং সুপার সান্সক্রিন ত্বকের দাগ দূর করে ও রঙ উজ্জ্বল করে। এসপিএফ ৫০ এই সানস্ক্রিনটি সূর্যের ক্ষতিকর ইউভিএ ও ইউভিবি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে । ত্বকের পোড়া ও কালচে হওয়া থেকে বিরত রাখে সাথে ত্বকের লাবন্যতা, নমনীয়তা ধরে রাখে।
৪। ভিএলসিসি ম্যাট লুক সানস্ক্রিন লোশন এসপিএফ ৩০ পিএ+++(VLCC Matte Look Sunscreen Lotion SPF 30 PA+++):
এই সানস্ক্রিন লোশনটি ত্বককে কোমল করার পাশাপাশি একটি ম্যাট লুক দেয় যা ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর করে থাকে। এর এসপিএফ ৩০ যে কোন আবহাওয়ায় ব্যবহারের উপযোগী।
৫। লরিয়াল প্যারিস সাবলাইম সান এডভ্যান্সড সানস্ক্রিন এসপিএফ ৫০+( L’Oreal Paris Sublime Sun Advanced Sunscreen SPF 50+):
অন্য সব সান্সক্রিন লোশান এর চেয়ে এটি কিছুটা দামী কিন্তু এর এসপিএফ ৫০ ত্বকের সাথে মিশে যেয়ে ত্বকে একটি আলাদা দীপ্তি নিয়ে আসে। এটি ২ ঘণ্টা পর্যন্ত এটা স্থায়ীভাবে প্রোটেকশান দিয়ে থাকে। ব্যবহারের আগে ভালোভাবে ঝাঁকিয়ে নিন। বাইরে যাওয়ার ১৫-৩০ মিনিট আগে আলতোভাবে মুখে লাগিয়ে নিন। ঘেমে গেলে অথবা সাঁতার কাটার পর আবার লাগিয়ে নিতে পারেন।
৬। গারনিয়ার সান কনট্রোল ডেইলি ময়শ্চারাইজার এসপিএফ ১৫(Garnier Sun Control Daily Moisturizer SPF 15):
এই সানস্ক্রিনটি একটু ব্যবহারে অনেক সময় পর্যন্ত থাকে। এর এসপিএফ ১৫ মূলত এই দেশের আবহাওয়ার উপযোগী করে তৈরি। এটি মুখে তেলচিটে ভাব আনে থেকে বিরত থাকে।
৭। নিউভা ডিএনএ ড্যামেজ কন্ট্রল (Neova DNA Damage Control SPF 43) :
এসপিএফ ৪৩ যুক্ত নিউভা ডিএনএ ড্যামেজ কন্ট্রোল শরীরের খোলা অংশটুকু সূর্যের আলো থেকে রক্ষা করে। ত্বকের পুড়ে যাওয়া অংশগুলো পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করেন। এটি পানি নিধারোক যা ৮০ মিনিট পর্যন্ত কার্যকর।
৮। লা রচি-পসিই এনথিলিওস ৬০ আল্ট্রা লাইট সানস্ক্রিন(La Roche-Posay Anthelios 60 Ultra Light Sunscreen):
লা রচির এনথিলিওস ৬০ আল্ট্রা লাইট সানস্ক্রিনটি সংবেদনশীল ত্বকের জন্য অনেক উপকারী। এটি ত্বককে সূর্যের রশ্নি থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি ত্বকের কোষগুলোকে মেরামত করে থাকে।
৯। এভীনো নেচারাল প্রোটেকশন সানস্ক্রিন এসপিএফ ৫০(Aveeno Natural Protection Lotion Sunscreen SPF 50):
এটি মুখ ও পুরো শরীরে ব্যবহার করা যাবে। সহজেই ত্বকে মিশে যায় বলে তৈলাক্ত ও সংবেনশীল ত্বকের জন্য খুবই উপযোগী। এসপিএফ ৫০ যুক্ত এই সানস্ক্রিনকি দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত ত্বককে স্থায়ীভাবে সুরক্ষা দিবে। আর ৮০ মিনিট পর্যন্ত পানিতে এটি কাজ করে থাকে।
১০। আইউর সানস্ক্রিন লোশন এসপিএফ ৩০( Ayur Sunscreen Lotion):
এটি সবধরণের ত্বকের উপযোগী।এটি সূর্য এর ক্ষতিকারক রশ্নি থেকে রক্ষা করার সাথে সাথে সানব্লক, ত্বকের কালো দাগ দূর করে ত্বকে ফর্সাভাব নিয়ে আসে।