দেখে নিন ১৩ টি মিষ্টির রেসিপি

দেখে নিন ১৩ টি মিষ্টির রেসিপি

আপনাদের জন্য আমাদের এখনকার আয়োজনে রয়েছে দোকানে পাওয়া যায় এমন কিছু মিষ্টি ঘরে তৈরির রেসিপি। তাও আবার একটি দুইটি নয় একবারে একসঙ্গে ১৩টি মিষ্টির রেসিপি। দেখে নিন রেসিপিগুলো।

লেংচা মিষ্টি

উপকরনঃ
ছানা ২ কাপ
মাওয়া ১ কাপ
ময়দা ২ টেবিল স্পুন
এলাচ গুড়া হাফ টি স্পুন
বেকিং পাউডার ১ টি স্পুন লেভেলঘি ১ টেবিল স্পুন

সিরার জন্যঃ
৩ কাপ চিনি,
৫ কাপ পানি,


এলাচি ২/৩ টি,
গোলাপ জল ১ চা চামচ.

প্রণালী:
প্রথমে ছানা আর মাওয়া খুব ভালো করে মেখে নিতে হবে, ১ ফোটা পানি আর খাবার সোডা টা মিশিয়ে খুব ভালো করে ছানার সাথে মেখে নিতে হবে।
বাকি উপকরণ গুলো একসাথে মিশিয়ে ছানার সাথে মেখে লম্বা করে সেপ দিয়ে মিষ্টি করে খুব অল্প আঁচে লাল করে ভেজে নিতে হবে।
সিরার সব উপকরণ একটা ছড়ানো প্যানে নিয়ে জাল দিয়ে, যখন বলক আসবে মিষ্টি গুলো দিয়ে ১২-১৫ মিনিট ঢেকে বেশি আঁচে রান্না করতে হবে।
ব্যাস, লেংচা মিষ্টি তৈরি…

টিপসঃ মাওয়া এর পরিবর্তে গুড়া দুধ ব্যবহার করা যাবে।

রাজভোগ

প্রথমে ছানা তৈরি
উপকরণ :
– ১ কেজি দুধ (ছানা তৈরির জন্য),
আধা কাপ ভিনেগার,
আধা কাপ পানি।

পদ্ধতি :
– পানি ও ভিনেগার একসাথে মিশিয়ে আলাদা করে রাখুন
– দুধ চুলায় জ্বাল দিয়ে ফুটিয়ে নিন। দুধ ফুটে উঠলে চুলা বন্ধ করে দিয়ে এতে ভিনেগার মেশানো পানি দিয়ে দিন।
– ছানা হয়ে গেলে তা ছেঁকে পানি ঝরতে রেখে দিন।

এরপর মাওয়া তৈরি
উপকরণ :
– আধা কাপ গুঁড়ো দুধ,
২ টেবিল চামচ মিহি চিনি,


১ টেবিল চামচ ঘি,
১ চা চামচ গোলাপ জল।

পদ্ধতি :
– একটি পাত্রে সবকটি উপকরণ মিশিয়ে নিন।
– এবার একটি চালনি দিয়ে বড় বড় করে দানা তৈরি করে চেলে মাওয়া তৈরি করুন।

উপকরণ :
– ৩ টেবিল চামচ মাওয়া
– আধা চা চামচ এলাচ গুঁড়ো
– সামান্য গোলাপজল

পদ্ধতি :
– সবকটি উপকরণ একসাথে মিশিয়ে নিন ভালো করে এবং পুর তৈরি করে ফেলুন।

শিরা তৈরি
উপকরণ :
– ৪ কাপ চিনি,
৪ কাপ পানি,
সামান্য জাফরান।

পদ্ধতি :
– একটি প্যানে চিনি ও পানি জ্বাল দিয়ে পাতলা শিরা তৈরি করে নিতে হবে
– এবার শিরা একটি পাতলা কাপড়ে ছেঁকে নিয়ে আবার চুলায় দিয়ে জাফরান দিন। শিরা পাতলাই থাকবে।

রাজভোগ তৈরি
উপকরণ :
১ কাপ ছানা,
১ চা চামচ ময়দা,
১ চা চামচ সুজি।

পদ্ধতি :
– প্রথমে খুব ভালো করে ছানা মেখে নিয়ে এতে ময়দা ও সুজি দিয়ে আবার মথে নিন।
– ছানার মিশ্রণ ১২/১৪ টি সমান ভাগে ভাগ করে নিয়ে হাতে গোল বলের মতো তৈরি করে ভেতরে মাওয়ার পুর দিয়ে দিন। লক্ষ্য রাখবেন পুর যেন ভেতর থেকে বের না হয়ে যায়।
– এরপর পাতলা চিনির শিরা জ্বাল দেয়া অবস্থায় এতে ছানার বলগুলো দিয়ে দিন।
– এরপর ছানার বল দিয়ে বেশি আঁচে ৪-৫ মিনিট জ্বাল দিতে থাকুন।
– আবার ওপর থেকে এক কাপ গরম পানি হালকা করে ছেড়ে দিয়ে আবারও ৫ মিনিট ছানার বল ও শিরা জ্বাল দিতে থাকুন।
– ছানার বলগুলো ফুলে প্রায় দ্বিগুণ হলে বুঝবেন আপনার রাজভোগ তৈরি। এবার চুলা বন্ধ করে দিয়ে নামিয়ে নিন।
– ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন মজাদার মিষ্টি ‘রাজভোগ’।

মতিচুরের লাড্ডু

উপকরণঃ
১/২ কেজি বেসন
১/৩ কাপ দুধ
১ টেবিল চামচ পেস্তা কুচি
১/২ কেজি চিনি
১ টেবিল চামচ কিসমিস


১ চিমটি বেকিং সোডা
কয়েক ফোঁটা কমলা ফুড কালার/ জাফরান দানা (ঐচ্ছিক)
ভাজার জন্য ঘি

প্রস্তুত প্রণালিঃ
বুন্দিয়া তৈরি করতে-
বেসন ও বেকিং পাউডার একসাথে মিশিয়ে নিন।
২ টেবিল চামচ ঘি ও প্রয়োজনমতো পানি দিয়ে ঘন করে মিশ্রন তৈরি করুন। প্যান কেকের ব্যাটার বা বেগুনী ভাজার বেসন গোলার মতন হবে ঘনত্বে।
ঘি গরম করে ঝাঁঝরি চামচ দিয়ে বেসনের মিশ্রণ তেলে দিন।
বুন্দিগুলো ভালো করে লাল করে ভেজে নিন। সবটুকু বেসনের বুন্দি ভাজা হয়ে গেলে একটি পাত্রে রেখে দিন।

লাড্ডু তৈরি করতে-
আরেকটি চুলায় চিনির ও পানি মিশিয়ে শিরা বানাতে দিন।
শিরায় দুধ ও ফুড কালার দিন।
শিরা ঘন ও আঠালো হয়ে গেলে শিরায় বুন্দিগুলো দিয়ে দিন।
কিসমিস ও পেস্তা বাদাম মিশিয়ে দিন। মিশ্রণ শুকিয়ে মাখা মাখা হলে নামিয়ে নিন।
হাতের তালুতে ঘি মেখে নিন
মিশ্রণটি হাতে ধরার মতো সহনশীল মাত্রার গরম থাকতেই হাতের তালুতে ঘুরিয়ে গোল আকৃতি দিন।
চাইলে দোকানের কেনা বুন্দিয়া দিয়েও তৈরি করতে পারবেন। বুন্দিয়ার আকৃতি আপনার ইচ্ছা মতন বড়/ছোট হতে পারে। সাজান পছন্দমতন। রেসিপি জানা হয়ে গেলো। এইবার বানিয়ে ফেলুন মজাদার মতিচুরের লাড্ডু। উপরে বাদাম দিয়ে সুন্দর করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

বালুসাই মিষ্টি

উপকরণ:
বালুসাই তৈরির জন্য:
ময়দাঃ দেড় কাপ
ঘিঃ ৪ টেঃ চামচ অথবা, তেলঃ ৮ টেঃ চামচ
বেকিং পাউডারঃ ১/২ চা চামচ
লবণঃ সামান্য
গুঁড়োদুধঃ ২ টেঃ চামচ

পুরের জন্য:
জায়ফল গুঁড়োঃ ১/২ চা চামচ
গুঁড়োদুধঃ পরিমাণমতো


আইসিং সুগারঃ ২ চা চামচ

সিরার জন্য:
চিনিঃ ২ কাপ
পানিঃ ১+১/৪ কাপ

গার্নিশিং এর জন্য:
মাওয়া বা পুরঃ পরিমাণমতো

প্রণালী:
বালুসাই তৈরির সমস্ত উপকরণ ভালো করে মেখে নিতে হবে। একটু বেশি সময় রাখলে ভালো। সেটা না হলে অন্তত আধা ঘন্টা রাখতে হবে।

পুরের সব উপকরণ একসাতে মিশিয়ে রাখুন।

সিরার পানি ও চিনি এক জ্বাল দিয়ে রাখতে হবে।

ময়দা মাখানো দিয়ে ১০-১২ টা গোল বল বানাতে হবে।

ভিতরে পুর দিয়ে চ্যাপটা করে শেপ করতে হবে।

এবার গালকা গরম তেলে ছেড়ে মৃদু জ্বাল দিতে হবে।

ভেসে উঠলে জ্বাল বাড়িয়ে ভাজতে হবে।

বাদামি রং হলে ফুটন্ত ঘন সিরায় ছেড়ে নেড়ে চেড়ে ১ মিনিট পর তুলে মাওয়ায় গড়িয়ে নিতে হবে। গরম অবস্থায়ই মাওয়ায় গড়িয়ে নিতে হবে।

যে পুর বালুসাইয়ের মধ্যে দেওয়া হয় সেটাতেও বালুসাই গড়িয়ে নেওয়া যায়।

চিরোতি মিষ্টি

উপকরণঃ
ময়দা ২ কাপ
বেকিং পাউডার ১/২ চা চামচ
তেল ২ টে চা
ঘি ৪ টে চা
কর্ণফ্লাওয়ার ২ টে চামচ
লবণ স্বাদমত
অরেঞ্জ ফুড কালার ২/৩ ফোটা
পানি পরিমাণ মত
ভাজার জিন্য তেল

সিরার জন্যঃ
চিনি ১.৫ কাপ
পানি ১.৫ কাপ


এলাচি ৫/৬ টা
জাফরান ১ চিমটি (অপশনাল)

তৈরি করার নিয়মঃ
প্রথমে ময়দার সাথে লবণ, বেকিং পাউডার ও তেল ২ টে চামচ এক সাথে নিয়ে পরিমাণ মত পানি দিয়ে মথে রুটি বানানোর ডোর মতন তৈরী করুন। খুব শক্ত বা খুব নরম হবে না।মাঝামাঝি রকমের হবে। এবারে ডো টার উপর অল্প তেল দিয়ে একটা ভেজা কাপড় দিয়ে ১ ঘন্টা রেখে দিন।

সিরার জন্য চিনি, পানি, এলাচি এক সাথে চুলায় বসিয়ে দিন। বলক আসলে জাফরান দিয়ে চুলার জ্বাল কমিয়ে রাখুন। এবারে ডো টাকে ৩ টা সমান ভাগে ভাগ করে নিয়ে একটা ভাগের সাথে ফুড কালার দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। কিছু সময় ডো গুলোকে মথে নিন। ৩ টা ডো দিয়ে ৩ টা সমান সাইজের রুটি বানিয়ে নিন। রুটিগুলো যথাটা সম্ভব পাতলা করে বেলে নিন। এবারে একটা কালার ছাড়া রুটি নিয়ে এর উপরের পিঠে ঘি মাখিয়ে তার উপর কর্ণফ্লাওয়ার ছড়িয়ে দিন। কালার দেয়া রুটিটা ঘি মাখানো রুটির উপর বিছিয়ে দিন। এর উপর আবার ঘি ও কর্ণফ্লাওয়ার ছড়িয়ে দিন। শেষে অন্য রুটিটাও বিছিয়ে হাল্কা হাতে চেপে দিন।

এবারে এক প্রান্ত থেকে রুটিটা পেচিঁয়ে রোল করুন ও শেষ প্রান্তে একটু পানি দিয়ে চেপে লাগিয়ে দিয়ে ছুরি দিয়ে ১.৫ ইঞ্চি মোটা করে পিছ পিছ করে কেটে নিন (ছবির মত)। কাটা রোলগুলো হাল্কা ভাবে সামান্য বেলে নিন। বেশি বেলে চ্যাপ্টা করে ফেলা যাবে না। এবার ডুবো তেলে সোনালী করে ভেজে সিরায় ১ মিনিট রেখে তুলে নিয়ে ও ঠান্ডা হলে মুচমুচে হয়ে যাবে ও তৈরি হয়ে গেল চিরোতি। এয়ারটাইট বোয়ামে রেখে মাস খানেক ধরে খাওয়া যাবে।

ক্ষীরকদম

উপকরণ:
– ১ লিটার দুধ
– ৫০০ গ্রাম খোয়া ক্ষীর/ মাওয়া (সুপার মার্কেটে কিনতে পাওয়া যায়)
– ২ কাপ চিনি
– গুঁড়ো চিনি আন্দাজ মতো
– গুঁড়ো দুধ আন্দাজ মতো
– লাল ফুড কালার খুব সামান্য
– ২ টেবল-চামচ ভিনিগার

রসগোল্লা বানানোর পদ্ধতিঃ
– প্রথমে একটি প্যানে দুধ দিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন। এরপর দুধ গরম হয় ফুটে উঠলে তাতে এক থেকে দুই টেবিলচামচ ভিনেগার দিয়ে দুধ কাটিয়ে ছানা তৈরি করে নিন।


– এরপর এই ছানা একটি পাতলা পরিষ্কার সুতির কাপড়ে ঢেলে পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন যাতে ভিনেগারের গন্ধ না থাকে।
– তারপর পাতলা কাপড়ে বেঁধে তা খানিকক্ষণ টাঙ্গিয়ে রাখুন যাতে ছানা থেকে ভালো করে পানি ঝরে যায়।
– পানি ঝরানো শেষ হলে সামান্য ফুড কালার মিশিয়ে ছানা হাত দিয়ে মসৃণ করে মাখতে থাকুন।
– মাখানো ছানা দিয়ে ছোট ছোট বল বানিয়ে নিন। বল বানানোর সময় লক্ষ্য রাখবেন যাতে বলগুলো মসৃণ হয়, ফেটে না যায়।
– এরপর একটি প্যানে ১ কাপ চিনি ও ৩ কাপ পানি দিয়ে পাতলা করে চিনির শিরা তৈরি করে নিন। শিরা ঘন করবেন না।
– এবার ছানার বলগুলো ফুটন্ত শিরায় আলতো করে ছেড়ে মাঝারি তাপমাত্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট ঢেকে রাখুন।
– ২০-২৫ মিনিট পরে চুলা থেকে নামিয়ে নিন। এতে করে তৈরি হয়ে যাবে রসগোল্লা।

ক্ষীরকদম বানানোর পদ্ধতিঃ
– রসগোল্লা বানানো হয়ে গেলে তা তুলে নিন শিরা থেকে। এরপর ওই শিরায় আরও এক কাপ চিনি দিয়ে ফুটিয়ে শিরা ঘন করে নিন।
– শিরা ঘন হয়ে গেলে রসগোল্লাগুলোকে আবার শিরায় দিয়ে পাঁচ মিনিট ফুটিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিন।
– এরপর আধা ঘণ্টা পাত্রটিতে ঢাকনা দিয়ে রেখে ঠাণ্ডা হতে দিন।
– ঠাণ্ডা হয়ে এলে মিস্তিগুলো শিরা থেকে তুলে একটি ছড়ানো প্লেটে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এতে করে রসগোল্লাগুলো হতে বাড়তি রস ঝরে যাবে।
– মাওয়া/ খোয়া ক্ষীর ঝুরি করে নিন। একটি গ্রেটারে ঝুরি করে নিতে পারেন। এরপর এতে ২ থেকে ৩ টেবল-চামচ গুঁড়ো চিনি মিশিয়ে হাত দিয়ে ভালো করে মেখে নিন যাতে মাওয়াতে কোনো দলা না থাকে।
– এরপর প্রতিটা রসগোল্লা চিনি মাখানো মাওয়াতে মাখিয়ে গোল করে সাইজ করে নিন।
– তারপর গুঁড়ো দুধে ভালো করে গড়িয়ে নিয়ে একটি প্লেটে সাজিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন।
– ঠাণ্ডা হয়ে এলে পরিবেশন করুন খুব মজাদার মিষ্টি ‘ক্ষীরকদম’।

মিষ্টি দই

উপকরনঃ
দুধ – ১ লিটার
চিনি – আপনার রুচি অনুযায়ী
পুরনো দই (টক বা মিষ্টি) – ৩ টেবিল চামচ


পাউডার দুধ – ২/৩ টেবিল চামচ(আপনার ইচ্ছা, আমি দেই)

দই বানানোর পদ্ধতিঃ

প্রথমে দুধ ও পাউডার দুধ প্যানে নিয়ে অল্প আঁচে জ্বাল দিতে থাকুন। বলক আসলে চিনি দিয়ে দিন( চিনি যখন দিবেন তথনই ক্যারামেল দিবেন, যারা ক্যারামেল দিতে ইচ্ছুক, ক্যারামেলের কথা কেন বললাম তা জানার জন্য রেসিপি পুরোটা ভালো করে পড়তে হবে) আপনার ইচ্ছানুযায়ী, মাঝে মাঝে চামচ দিয়ে নাড়তে হবে, নইলে দুধ পাতিলের নিচে জমা হয়ে পুড়ে যেতে পারে। দুধ হাফ লিটার হলে চুলা থেকে নামিয়ে দুধকে ঠাণ্ডা হতে দিন। দু্ধ পুরো ঠান্ডা হবার আগে আঙ্গুল দিয়ে পরখ করে দেখুন। কুসুম গরম থাকা অবস্থায়( যে গরম আঙ্গুল সহ্য করতে পারে) ওতে পুরনো দই মিক্স করুন। ভালোভাবে মিশাতে হবে হ্যান্ড বিটার বা কাটা চামচ দিয়ে,মিক্স করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন ফেনা বেশি না উঠে যায়। এবার যে পাত্রে দই বানাবেন তাতে আপনার দইয়ের মিশ্রণটি ঢেলে দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন। মোটা টাওয়াল/কাপড় গরম করে ৮/১০ ঘন্টা দই ঢেকে রাখুন। ৮/১০ ঘন্টা পর দই জমে গেলে ফ্রিজে রাখুন,খুব ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন এ্যান্ড এনজয়

শির পিড়া

উপকরণঃ
– ২ কাপ চিনি
– ২ কাপ পানি
– ১ কাপ যে কোনো বাদাম কুঁচি (কাজু, পেস্তা, কাঠবাদাম, চীনাবাদাম)


– ৩ কাপ গুঁড়ো দুধ
– ১ টেবিল চামচ গোলাপজল (ইচ্ছা)

পদ্ধতিঃ
– প্রথমে একটি প্যানে পানি দিয়ে চুলোয় গরম হতে দিন। এতে চিনি দিয়ে শিরা তৈরি করার জন্য চিনি ও পানি জ্বাল দিতে থাকুন।
– একটি বড় পাত্রে গুঁড়োদুধ, বাদাম এবং গোলাপজল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে ফেলুন। মেশানো হলে পাত্রটি আলাদা করে রাখুন।
– শিরা ঘন হয়ে আঠালো হয়ে এলে একটি ছোটো বাটিতে সামান্য পানি নিয়ে শিরার কয়েক ফোঁটা পানিতে ফেলুন। যদি দেখেন শিরা ছড়িয়ে না পরে বলের আকার ধারণ করছে তবে বুঝে যাবেন শিরা সঠিক ঘনত্বে এসেছে। এছাড়াও আঙুলের মাথায়ত শিরা নিয়ে যদি দু আঙুলে টেনে সুতোর মতো তৈরি করতে পারেন তবেও বুঝে যাবেন শিরা তৈরি হয়ে গিয়েছে।
– শিরা তৈরি হয়ে গেলে তা দুধ ও বাদাম মেশানো পাত্রে ঢেলে ভালো করে মেশাতে থাকুন।
– খুব ভালো করে মিশিয়ে একটি ছড়ানো প্লেটে এটি ঢেলে রেখে জমতে দিন। ভালো করে জমে গেলে বরফির মতো করে কেটে নিন।
– ওপরে আরও বাদামের কুঁচি দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার ‘শির পিড়া’।

সরভাজা

উপকরণ:
ঘন দুধ ২ লিটার,
জল ২ কাপ,
চিনি ১ কাপ,
এলাচগুঁড়ো ১ চামচ,
গোলাপ জল ১ চামচ,


অর্ধেক লেবুর রস,
গুঁড়ো দুধ ২ চামচ,
কোচানো আমন্ড
পেস্তা ২ চামচ

পদ্ধতি:
গ্যাসে প্যান বসিয়ে তাতে ঘন দুধ ঢালুন। দুধ ফুটতে শুরু করলে উপর থেকে ক্রিম তুলে নিন। এবার দুধ ফুটিয়ে ক্ষীর বানিয়ে নিন। একটি বেকিং ট্রেতে ক্ষীর ঢেলে দিয়ে টুকরো করে কেটে নিন। অন্য একটি প্যানে জল ও চিনি মিশিয়ে পোটাতে থাকুন।তাতে দিয়ে দিন এলাচ গুঁড়ো, গোলাপ জল।একটি অর্ধেক লেবু চেপে রস বের করে দিন।সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে ফুটিয়ে নিলেই তৈরি চিনির শিরা। প্যানে বেশ খানিকটা তেল গরম করুন।

তেল গরম হলে প্যানে কেটে রাখা ক্ষীরের টুকরোগুলো দিয়ে লাল করে ভেজে নিন।ভেজে রাখা ক্ষীরের টুকরোগুলো শিরায় ডুবিয়ে ১০-১৫ মিনিট ফুটিয়ে নিন। গুঁড়ো দুধ, পেস্তা, আমন্ড দিয়ে গার্নিশ করুন।

গুঁড়া দুধের মিষ্টি

উপকরণ :
মিষ্টির খামিরের জন্য.:
১. ১ কাপ গুঁড়া দুধ,
২. ১ চা-চামচ সুজি,
৩. ১টি ডিম,
৪. ১ টেবিল-চামচ তেল/ঘি (গলানো ঘি),
৫. ১ চা-চামচ বেকিং পাউডার।

চিনির সিরার জন্য :
৬. ১ কাপ চিনি।
৭. ২ কাপ পানি।


৮. এলাচ ১,২ টি।
> সিরা তৈরি করতে চিনি আর পানি মিশিয়ে চুলায় জ্বাল দিতে হবে।

প্রণালি :
> একটা বাটিতে খামিরের সব উপকরণ মিশিয়ে ডো তৈরি করতে হবে। খুব শক্ত হবে না আবার খুব নরমও যাতে না হয়।
> ডো থেকে ১৪ থেকে ১৫টি বল তৈরি করুন। সিরার পানি ফুটতে শুরু করলে বলগুলো দিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট ফুটাতে হবে।
> মাঝেমধ্যে নেড়ে দিন হালকা করে। এরপর নামিয়ে বাটিতে ঢেলে ঠাণ্ডা করে ফ্রিজে রাখুন। তারপর পরিবেশন করুন।

লালমোহন মিষ্টি

উপকরণ:
– ৮ পিস পাউরুটি শক্ত অংশ কেটে ফেলা
– ৬ টেবিল চামচ ঘন দুধ
– ১ কাপ চিনি
– ১/৪ চা চামচ এলাচ গুঁড়ো/ এলাচ
– ১০-১২ টি কিশমিশ


– দেড় কাপ পানি
– তেল ভাজার জন্য

পদ্ধতি:
– প্রথমে একটি প্যানে পানি ও চিনি মিশিয়ে ৫-৭ মিনিট জ্বাল দেয়া শুরু করুন। শিরা জ্বাল দেয়ার মাঝেই একটি বাটিতে পাউরুটির টুকরোগুলো হাতে ছোট ছোট টুকরো করে রাখুন এবং ১-২ চামচ দুধ দিয়ে মাখাতে থাকুন।
– একসাথে দুধ ঢেলে দেবেন না। ১-২ চামচ করে ঢেলে পাউরুটির টুকরো হাতে মেখে মসৃণ করতে থাকুন। ডো নরম ও মসৃণ করতে যতোটা দুধের প্রয়োজন আপনি ব্যবহার করতে পারেন। কারণ অনেক সময় রুটি বেশী ড্রাই হলে বেশী দুধের প্রয়োজন।
– এরপর মসৃণ ডো থেকে ছোট ছোট বলের মতো তৈরি করে নিন। বলগুলো হাতে গোল করে নিয়ে মাঝে একটি করে কিশমিশ ভরে দিতে পারেন স্বাদ বাড়ানোর জন্য। সম্পূর্ণ মিশ্রণ দিয়ে মিষ্টি তৈরি করে নিন।
– শিরা ফুটে উঠলে এতে এলাচ গুঁড়ো দিয়ে অল্প আছে আরও ৮-১০ মিনিট জ্বাল দিতে থাকুন।
– একটি কড়াইয়ে অর্ধেক ডুবো তেলে ভাজা যায় এমন তেল দিতে তেল গরম করে চুলার আঁচ একেবারে কমিয়ে নিন। তেলে মিষ্টিগুলো দিয়ে সাবধানে ভাজতে থাকুন। অল্প আচেই ভাজুন প্রথমে তারপর হালকা বাদামী রঙের হয়ে এলে চুলার আঁচ মাঝারী করে দিন। ভালো করে সবদিক সমান ভাবে লালচে করে ভেজে নিন।
– ৩-৪ মিনিট পর ভাজা হয়ে এলে একটি কিচেন টিস্যুর উপরে তুলে রাখুন বাড়তি তেল ঝরে যাবে। এরপর বলগুলো গরম থাকতেই শিরাতে দিয়ে দিন এবং ৩-৪ মিনিট শিরাতে রেখে জ্বাল দিন।
– এরপর চুলা বন্ধ করে ৮-১০ মিনিট শিরাতেই রেখে দিন। এরপর সারভিং ডিশে তুলে উপরে পেস্তা বা কাজু বাদাম দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

কালোজাম

কালোজাম বানাতে যা লাগবেঃ
ছানা- ১ কাপ
মাওয়া- ১ টেবিল চামচ
ময়দা- ১ টেবিল চামচ
ঘি- দেড় টেবিল চামচ
চিনি- ১ টেবিল চামচ


খাওয়ার সোডা- ১/২ চা চামচ এর একটু কম
এলাচ গুঁড়া- ১ চিমটি
তেল- ভাজার জন্য

সিরার এর জন্যঃ
পানি- ৪ কাপ
চিনি- ৪ কাপ
এলাচি- ২/৩ টি

প্রণালীঃ
– সিরার সব উপকরন একসাথে ফুটিয়ে নিন।
-ময়দার সঙ্গে ঘি মিশিয়ে নিন। এবার মাওয়া, ময়দা ও চিনি একসঙ্গে মেশান। এগুলো খুব ভালোভাবে মেশানো হয়ে গেলে আবার ছানার সঙ্গে মেশান। খুব ভালোভাবে মেশাবেন যাতে বড় বড় দানা না থাকে।
– এখন ডুবো তেলে খুব কম আঁচে লাল করে মিষ্টি ভাজুন।
-ভাজা হয়ে গেলে সব মিষ্টি এক সাথে গরম সিরায় দিয়ে ৮-১০ মিনিট জ্বাল দিন।সিরার মধ্য মাঝে মাঝে পানি দিতে হবে।যাতে সিরা ঘন না হয়ে যায়।
-সিরা থেকে তুলে ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।

বালুশাই মিষ্টি

উপকরণ:
মাওয়া ১/২ কাপ,
ঘি ১/২ কাপ,
জায়ফল গুঁড়া ২চা চামচ,


খাওয়ার সোডা ১/৪ চা চামচ,
ময়দা ২কাপ,
চিনি ২ কাপ।

প্রণালী:
১। মাওয়া হাতে গুঁড়া করে মোটা চালনিতে চেলে নাও।
২। জায়ফল গুঁড়া কর। অর্ধেক মাওয়ার সঙ্গে জায়ফলের গুঁড়া মিশিয়ে মাওয়া মথে রাখ।
৩। ময়াদায় ঘি দিয়ে ময়ান দাও। খাওয়ার সোডা মিশাও। আধা কাপ পানি দিয়ে ময়দা মথে নাও।
৪। ময়দা ও মথে রাখা মাওয়া প্রত্যেকটি ১২ ভাগ কর। ময়দার ভিতরে মাওয়ার পুর দিয়ে গোল করে হাতের তালুতে চেপে চ্যাপ্টা করে নাও।
৫। এক কাপ পানিতে চিনির সিরা করে ময়লা কাট। ছেঁকে নাও।
৬। বালুশাই ডুবো সয়াবিন তেলে ভেজে সিরায় ছাড়। সব বালুশাই সিরায় ছাড়া হলে কড়াই উনুনে দিয়ে ৫ মিনিট ফুটাও। উনুন থেকে নামিয়ে বালুশাই থালায় সাজিয়ে রাখ। উপরে বাকি মাওয়া ছিটিয়ে দাও।

Related Posts

সংগ্রহে রাখুন ও শিখে নিন ৭ ধরনের ফ্রুট কাস্টার্ডের রেসিপি

উপকরণ– ১ তরল দুধ ২ কেজি কাস্টার্ড পাউডার ৪ টেবিল চামচ ভ্যানিলা এসেন্স দেড় চা চামচ লবণ আধা চা চামচ চিনি পছন্দ মত প্রস্তুত প্রণালী – ২কেজি…

সফট ড্রাইফ্রুট কেক এর সহজ রেসিপি

সারা পৃথিবীর মতো আমাদের দেশেও কেক অনেক জনপ্রিয় একটি খাবার। আর আমরা দেখাবো সফট ড্রাইফ্রুট কেক এর সহজ রেসিপি। সফট ড্রাইফ্রুট কেক এর সহজ রেসিপি উপকরনঃ ডিম –…

মজাদার রাভা লাড্ডু এর সহজ রেসিপি

খাবার পরে অনেকেই ডেজার্ট হিসেবে মিষ্টি জিনিস পছন্দ করে। রাভা লাড্ডু এজন্য হতে পারে একটি আদর্শ খাবার। আজ দেখুন কিভাবে সহজে রাভা লাড্ডু তৈরি করতে হয়। মজাদার…

স্পেশাল ছানার পুডিং

অনেক তো মেইন ডিশের রেসিপি শেয়ার করা হল! আজ না হয় স্যুইট ডিশ হয়ে যাক। আজ আপনাদের জানাব ছানা দিয়ে কীভাবে পুডিং তৈরি করা হয়। তাহলে চলুন…

স্পেশাল কাশ্মীরি ক্ষীর তৈরি করুন খুব সহজে

বাসায় বসে তৈরি করুন স্পেশাল কাশ্মীরি ক্ষীর । পুরু ঘন দুধ দিয়ে তৈরি ক্ষীরের পদ্ধতি কাশ্মীরের ঐতিহ্যকে বহন করে। আসুন তবে আমরা একটু খেয়ে দেখে মজাদার কাশ্মীরি…

স্বাদে অতুলনিয় ছানা গাজরের হালুয়া

উপকরণ : গ্রেট করা গাজর ১ কাপ, ছানা ১ কাপ, কনডেন্স মিল্ক ১ কাপ, চিনি আধা কাপ, কিশমিশ ১ টেবিল চামচ, রোস্টেড কাজু বাদাম গুঁড়া আধা কাপ,…