আজকের রেসিপি আয়োজনে রয়েছে রান্নাঘরের জরুরী ১৫টি টিপস। আপনাদের কে দেখাব কি ভাবে তৈরি করবেন দারুন মজার এই রেসিপিটি । খুব সহজে এবং তাড়াতাড়ি এই পদটি তৈরি করা যায়। চলুন জেনে নিই, কী কী উপকরণ লাগবে এই রেসিপিতে এবং কীভাবে তৈরি করবেন রান্নাঘরের জরুরী ১৫টি টিপস
১। পেঁয়াজ কাটছেন? মনে কোন দুঃখ নেই, তবুও চোখের পানি ঝরছে অঝোর ধারায়? একটু থামুন! কান্নাকাটির দিন শেষ। পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে বেশ কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তাহলে পেঁয়াজ কাটার সময় চোখ জ্বালা করবে না, আর ঘরও প্রতিদিন ভাসবে না চোখের পানিতে।
২। গরম চা কিংবা রান্না করা তরকারীর লবণ টেস্ট করার জন্য তাড়াহুড়ো করে ঝোল মুখে নিলেন- উহু জিহবা পুড়ে গেলো। সাথে সাথে আধা চা চামচ পরিমাণ চিনি জিহবার পোড়া জায়গায় রেখে একটু একটু করে খেয়ে নিতে পারেন। তবে জিহবাতে রেখেই খাবেন। দেখবেন জিহবার জ্বালা পোড়া কমে যাবে।
৩। সালাদ , ভর্তা এর জন্য কাচামরিচ কুচি করেছেন। হাতের মধ্যে ঝাল রয়ে গেছে। ভুলে সেই হাত চোখে লাগলে তো কথাই নেই। কিংবা রান্না করার সময়ে মরিচের গুড়া ব্যবহার করার কারণে হঠাৎ মরিচের ছিটে এসে চোখে পড়ে চোখ জ্বালা করছে। এক চিমটি লবন খেয়ে নিন। সাথে সাথে চোখের জ্বালা চলে যাবে। আরেকটা কথা চোখ একবার ধুয়ে নিবেন।
৪। আপেল কাটার পরপরই তা কালো হয়ে যায়। আপেল টাটকা রাখতে কাটার পরপরই আপেলের ওপর লেবুর রস ছড়িয়ে দিন। কালচে হবে না।
৫। পাত্রে কোনোকিছু পুড়ে গেলে এর মধ্যে কুচানো কিছু পেঁয়াজ দিয়ে গরম পানি ঢেলে রেখে দিন। এরপর পরিস্কার করে ফেলুন, পোড়া উঠে যাবে।
৬। রসুনের খোসা ছাড়াতে গিয়ে বিরক্তি ঘটাই স্বাভাবিক। আর, সে জন্যে রসুনের খোসা চাড়াবার আগে কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। কাজটা সহজ হয়ে যাবে বহুলাংশে।
৭। ডিম যদি দীর্ঘদিন ভালো রাখতে চান, তবে ডিম পানিতে ধোবেন না। কারণ, ধুয়ে ফেললে ডিমের ওপরের পাতলা বিশেষ প্রতিরক্ষা-প্রলেপ উঠে গিয়ে ডিম তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়।
৮। কেক, বিস্কুট এবং পাউরুটি কখনোও এক সাথে রাখবেন না। তাহলে বিস্কুট নরম হয়ে যাবে। আর হে বিস্কুটের কৌটার নিচে এক টুকরা ব্লটিং পেপার রেখে তার ওপর বিস্কুট রাখুন। এতে বিস্কুট দীর্ঘ সময় তরতাজা থাকবে।
৯। আপনি পাকা রাঁধুনী। কিন্তু ছোলা যতই সেদ্ধ করছেন, তা গলাতে পারছেন না। ভেতরের দিকটা শক্তই থাকছে। চিন্তা নেই। ছোলা সেদ্ধ করার সময় এক চিমটি ভালো খাবার সোডা দিয়ে দিন। ছোলা বেশ নরম হবে।
১০। হঠাৎ হাত পুড়ে গেল। পুড়ে গেলো কি আর করবেন দ্রুত পাকা কলা মেখে নিয়ে পোড়া স্থানে লাগান। জ্বালা কমে যাবে।
১১। পান খাওয়ার খুব অভ্যাস নয়তো মাঝে মাঝে পান খেতে পছন্দ করেন। পান ভালো করে না ধুলে পানের মাঝে লেগে থাকা মাকড়ের নির্যাস জিহবা তে লেগে যায়। অনেক সময় পান না খেলেও ঘরে থাকা মাকড়ের জাল থেকেও এই সমস্যা হয়ে থাকে। মাকড়ের নির্যাস জিহবা তে লাগলে জিহবার মধ্যে কাটা কাটা ব্যাথা অনুভূত হয় । কোন কিছু খেতে গেলে খোচা খোচা লাগে। তাই পান ধোয়ে নিবেন।
১২। রান্না করার সময়ে অসাবধানতা বশত হাতে বা পায়ে তেল এর ছিটে এসে পড়ে পুড়ে যায়। ফোসকা পড়ে যায় এতে। বিলম্ব না করে সাদা টুথপেস্ট সেই পোড়া জায়গায় লাগান। অথবা দ্রুত পাকা কলা মেখে নিয়ে পোড়া স্থানে লাগান। জ্বালা কমে যাবে। ফোসকা পড়বে না।
১৩। মাছ নরম হয়ে গেলে ভাজার সময় একটু ময়দা কিংবা চালের গুঁড়া মাখিয়ে ভাজুন। মাছ সহজে ভেঙে যাবে না এবং মচমচে থাকবে।
১৪। কলা ভেজা কাপড়ে মুড়ে ফ্রিজে রাখুন, খোসা কালো হবে না।
১৫। ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করতে লেবু কেটে রেখে দিতে পারেন। গন্ধ চলে যাবে।আজ এই পর্যন্ত,সবাই ভালো ও নিরাপদে থাকেন।