স্থুলতা বর্তমান সময়ের একটি বড় সমস্যা। তাই এই স্থুলতা থেকে বাঁচতে অনেকে লম্বা একটা সময় না খেয়ে পার করে দেন পুরো দিন। তাদের মতে না খেয়ে থাকা স্থুলতা থেকে বাঁচার অন্যতম একটি মাধ্যম। এই না খেয়ে থাকার ফলে সৃষ্টি হতে পারে গ্যাস্ট্রিক, আলসার সহ আরো অনেক রোগ। যা আপনাকে ভোগাতে পারে পুরোটা জীবন। তবে অল্প খাবার আপনাকে স্থুলতা থেকে বাঁচাতে পারে এবং সুন্দর একটা জীবন উপহার দিতে পারে। চলুন জেনে নেই কিভাবে এই স্থুলতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
মেপে বা অনুপাত করে খাবার খান :
মেপে বা অনুপাত করে খাবার খেলে তা আপনার মস্তিস্ককে অনেক খাবারের সংকেত পাঠায়। যা আপনার ক্ষুধাভাবকে কমিয়ে দেয়। তাছাড়া খাবার কেনার সময়েও অনুপাত বা কম করে খাবার কিনুন। খাওয়ার সময় ৩-৪ আউন্স প্রোটিন, ১/২ কাপ কাটা ফল, ১ কাপ সবজি, ১ কাপ দুধ খাবার তালিকায় রাখতে পারেন। তাছাড়া অতিরিক্ত ফলমূল, শাকসবজি হতে পারে আপনার নিত্য দিনের খাদ্যসঙ্গী। মনে রাখবেন, পরিমিত খাবার ওজন বাড়ায় না বরং কমায়।
ছোট খাবার প্লেট ব্যবহার করুন :
যখন আপনি মেপে খাবার খাবেন তখন আপনার প্লেটের এক কোণে খাবার পরে আছে বলে আপনার মনে হবে। তাই এই অবস্থায় খাবার প্লেট ছোট নিন, যাতে খাবারের পরিমাণ বেশি মনে হয়। এটি আপনার ব্রেইনকে অনেক খাবারের সংকেত পাঠিয়ে ক্ষুধা কমিয়ে স্থুলতাকেও কমায়। তাছাড়া বড় প্লেট হলে চারপাশে সালাদ দিয়ে সাজিয়ে নিতে পারেন। এবং একটি গবেষণায় এটি পাওয়া গিয়েছে যে যারা নীল রঙের প্লেটে খাবার খায় তারা খাবার পুরোটা শেষ করতে পারে না। যা ওজন কমাতে আরো সাহায্য করে।
খাবারের প্রতি প্রলোভন কমান :
কখনো বেশি মাত্রায় খাবার টেবিলে রাখবেন না। মেজারমেন্ট কাপে মেপে প্লেটে খাবার নিয়ে নিন। এবং খাবার প্রথমেই একবারে নিয়ে নেবার অভ্যাস করুন। অল্প মাত্রায় প্রথমে নিন, এর পর ক্ষুধাভাব থাকলে ফল বা সবজি আলাদা করে কেটে বা সালাদ বানিয়ে খেয়ে নিন।
খাবার আগে পানি পান করুন :
একটি গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে যে খাবার আগে পানি খেলে তা ক্ষুধাভাব অনেকটা কমিয়ে দেয়, যা আপনাকে পরিমিত খাবার খেতে সাহায্য করবে।। এছাড়া আপনি পানি পানের পর এক বাটি সুপ পান করে খাবার খেতে পারেন। এতে আপনার ব্রেইন খাবারের অনেকখানি সংকেত পাবে এবং খাবার চাহিদা কমিয়ে আনবে।
শরীরকে সন্তুষ্ট রাখুন :
অনেক ধরনের খাবার আছে যা ক্ষুধা নিবারণ করলেও শরীরে প্রোটিন, ভিটামিনের অভাব রেখে দেয়। যার কারণে শরীরে শক্তির অভাবসহ আরো অনেক রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। তাই অল্প করে খাবার খেলেও উচিত ভিটামিন, মিনারেল এবং প্রোটিন জাতীয় খাবার, খাবারের তালিকায় রাখা।
খাবার খেতে ২০-৩০ মিনিট সময় নিন :
ধীরে ধীরে খাবার শেষ করুন। দ্রুত খাবার খেলে তা মস্তিস্ক থেকে আসা সংকেত অনুযায়ী কাজ করতে পারে না। ফলে আপনি পরিমাণে বেশি খাবার খেয়ে ফেলেন, যা স্থুলতার আরো একটি কারণ। তাই ধীরে ধীরে সময় নিয়ে খাবার শেষ করুন।