অনেক স’ময় দেখা যায়, চোখের পাতা ফুলে লাল হয়ে গেছে। চোখ ছোট হয়ে আসে। দেখতে ক’ষ্ট হয়। চোখের পাতায় প্রচণ্ড ব্যথা করে। নিচের দিকে তাকালে ব্যথা বেশি অ’নুভূত হয়। মাঝে মাঝে এ স’মস্যা দেখা যায়।
তবে চোখের মণিতে কিন্তু কো’নো স’মস্যা দেখা যায় না। যেমন : চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখ লাল হওয়া- এ লক্ষণগুলো থাকে না। এ স’মস্যাটিকে ব’লে ব্লেফারাইটিস।
কো’নো কারণে চোখের পাতায় প্রদাহ হলে চোখের পাতা ফুলে গিয়ে প্রচণ্ড ব্যথা করে। এ ধরনের স’মস্যার প্রধানতম কারণ হচ্ছে খুশকি। মাথা খুশকিমুক্ত করতে হবে। এ জ’ন্য অ্যান্টিডেনড্রাফ শ্যাম্পু যেমন কিটোকোনাজল ব্যবহার করতে হবে। মাথায় শ্যাম্পু দেওয়ার স’ময় ভুরু ও চোখের পাতায় শ্যাম্পু দিতে হবে।
এ ধরনের শ্যাম্পু দেওয়ার প’র ১০ মিনিট অ’পেক্ষা করে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। বাজারে অ্যান্টিডেনড্রাফ শ্যাম্পু কিনতে পাওয়া যায়। ব্যা’পক ব্যবহৃত শ্যাম্পু কিন্তু অ্যান্টিডেনড্রাফ শ্যাম্পু নয়।
খাবার ও কো’নো কো’নো ক্ষেত্রে কস’মেটিক ব্যবহারের ক্ষেত্রেও স’মস্যা হতে পারে। এ ছা’ড়া ঠান্ডা বা গরমের কারণেও এটি বারবার হতে পারে। এমনটি বারবার হলে খেয়াল করুন কী কারণে হচ্ছে। সে কারণটি বাদ দিন। অনেক স’ময় কস’মেটিক থেকে হতে পারে এ স’মস্যা। তাই কস’মেটিক ব্যবহার না করাই ভা’লো।
এ ধরনের স’মস্যা দেখা দিলে চি’কিৎসকের প’রাম’র্শ নিন। ব্যথা’নাশক সেবন করে ভা’লো ফলাফল পাওয়া যায়। কুসুম গরম পানিতে বোরিক পাউডার মিশিয়ে সেঁক দিলে ফোলা ও ব্যথা দুটোই কমে যাবে। বেশ আরাম পাবেন। এ ছা’ড়া চি’কিৎসকের প’রাম’র্শমতো অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের প্রয়োজ’ন হতে পারে। চোখে অ্যান্টিবায়োটিক মলম ও ড্রপ দিতে হতে পারে।
লেখক : মে’ডিকেল অ’ফিসার, ঢাকা মে’ডিকেল ক’লেজ।