স্ত্রীকে সুখে রাখা যেমন স্বামীর কর্তব্য, স্বামীকে সুখে রাখাও স্ত্রীর কর্তব্য। ঠিক কী করলে যে স্বামীকে সুখে রাখা যায়, সেই চিন্তা সব মেয়েদেরই থাকে। রইল প্রয়োজনীয় কিছু টিপস।
স্বামীকে ভাল রাখতে চান না, এমন মহিলা কিন্তু খুব কমই সংখ্যায়। অনেকেই হয়তো স্বামীর সঙ্গে নানা বিষয়ে তুলকালাম করেন অথবা কথায় কথায় অভিযোগ করেন কিন্তু সব স্ত্রীই চান স্বামীকে ভাল রাখতে। হয়তো ঠিক কীভাবে ভাল রাখা যায়, সেই সূত্রটা খুঁজে পান না।
তাঁদের জন্য রইল ১০টি টিপস—
১) সব সময়ে হাসিখুশি থাকুন। মনকে পজিটিভ রাখুন। তবেই সংসারে সুখ-শান্তি থাকবে। কাজের পরে বাড়ি ফিরে আপনার হাসিমুখ দেখে স্বামীরও ভাল লাগবে।
২) রান্নার হাতটি ভাল করুন। সব ধরনের পদ রাঁধতে না পারলেও স্ন্যাকস, ডেজার্ট বা কোনও বিদেশি ডিশ রপ্ত করুন আর ছুটির দিনে সে সব বানিয়ে স্বামীকে তাক লাগিয়ে দিন। বউ যেমনই হোক, বউয়ের রান্নার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন না এমন স্বামী কমই আছেন।
৩) স্বামীর ফোনে মাঝরাত্তিরে কারও কল এলেও কিছু জিজ্ঞাসা করবেন না, যতক্ষণ না তিনি নিজে কিছু বলছেন। স্বামী যদি লুকিয়ে প্রেমও করে থাকেন তবে চেঁচামেচি-ঝামেলা করে কিছু করতে পারবেন না। মাঝখান থেকে নিজের আত্মসম্মান খোয়াবেন। বরং স্বামীর সঙ্গে স্বাভাবিক আচরণ করুন। আরও বেশি ভালবাসুন। এতেই বরং আলগা প্রেম ঝরে পড়ার সম্ভাবনা বেশি।
৪) বিছানায় স্বামীকে যথাসম্ভব খুশি রাখুন। নিজের ইনহিবিশন থেকে বেরিয়ে আসুন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যৌনতার ধরনধারণও পালটে গিয়েছে। সে সব বিষয়ে জানুন। বিশেষ করে ওরাল সেক্স, রোল প্লে ইত্যাদি প্রয়োগ করুন। যে স্বামী বিছানায় তৃপ্ত থাকেন, তিনি বাইরে যা কিছু করুন না কেন, দাম্পত্য অটুট রাখতে চান।
৫) স্বামীর দাসী হয়ে থাকতে হবে না, কিন্তু স্বামীকে সেবাযত্ন করুন। কারণ, তিনি আপনার ভালবাসার মানুষ। মাঝে-মধ্যে তাঁকে বডি মাসাজ করে দিন, মাথায় অয়েল মাসাজ করে দিন।
৬) স্বামীকে মিথ্যে কথা কখনও বলবেন না। আর এমন কিছু কখনও করবেন না যা স্বামীকে বলতে পারবেন না। সম্পর্কের স্বচ্ছতা স্বামীকে সুখে রাখার প্রথম এবং প্রধান শর্ত।
৭) নিজেকে সব সময়ে আকর্ষণীয় রাখবেন। এর জন্য পার্লারে যাওয়ার দরকার নেই। বাড়িতেই নিয়মিত ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করুন। আর সব সময় পরিচ্ছন্ন, প্রিম অ্যান্ড প্রপার থাকুন। স্বামী হুট করে কফি খেতে যাওয়া বা সিনেমা দেখার প্ল্যান করলে যাতে বেরিয়ে পড়তে পারেন।
৮) স্বামীর মতামতকে গুরুত্ব দিন। তিনি ভুল সিদ্ধান্ত নিলে ভালভাবে বোঝানোর চেষ্টা করুন। তেমন মারাত্মক কোনও ইস্যু না হলে স্বামীর মতামতের বিরোধিতা করবেন না। সোজা কথায় মেল ইগো-কে একটু আধটু বুস্ট করুন।
৯) স্বামীর হবিকে নিজের হবি করে নিন। সেটা যাই হোক না কেন। এতে স্বামীর ভালবাসা অনেক গুণ বে়ড়ে যাবে।
১০) বাড়িতে স্বামীর বন্ধুবান্ধব এলে কখনও রাগ করবেন না। স্বামী বন্ধুদের সঙ্গে যত সময়ই কাটান না কেন, কখনও অভিযোগ করবেন না। বরং স্বামীর বন্ধু ও তাঁদের পরিবারদের আপন করে নিন। তাঁদের স্ত্রীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে ফেলুন।