এই চারটি কাজ করলে মেয়েদের নরমাল ডেলিভারি হবে। দেরি করবেন না, জেনে রাখুন

গর্ভধারণের পর থেকেই উত্তেজনার পাশাপাশি চিন্তা ও ভয় চলে আসে। দিন যতই এগিয়ে আসে যন্ত্রণার ভয়, অজানা আতঙ্ক ততই বাড়তে থাকে।

এ কারণে অনেকে অপারেশন বা সিজারিয়ানের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। নরমাল ডেলিভারির পর্যায়গুলো জানা থাকলে প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়ে যায়।

জেনে নিন নরম্যাল ডেলিভারির পর্যায়গুলো-

গর্ভযন্ত্রণার প্রথম ধাপকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।

প্রথম ধাপ

সার্ভিক্স ধীরে ধীরে প্রসারিত হতে শুরু করে। খুব বেশি যন্ত্রণা না হলেও পিরিয়ডের সময় যে রকম খিঁচ ধরে পেটের পেশীতে সে রকম যন্ত্রণা অনুভূত হয়। কোমরের নিচের দিকে, তলপেটে ৩০-৬০ সেকেন্ড এই ব্যথা স্থায়ী হয়। ৫-২০ মিনিটের মধ্যে ব্যথা ফিরে ফিরে আসে। সকলের ক্ষেত্রে এই সময় এক থাকে না।

দ্বিতীয় পর্যায়ে একে বলা হয়ে থাকে সক্রিয় গর্ভযন্ত্রণা। এই সময় সার্ভিক্স প্রায় ১.৬ থেকে ৩ ইঞ্চি পর্যন্ত প্রসারিত হয়। কোমরের দিক থেকে পেটের দিকে আসতে থাকে ব্যথা। ৩-৮ ঘণ্টা পর্যন্ত এই ব্যথা স্থায়ী হয়।

স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা জানান, এই সময় গরম জলে স্নান করলে আরাম পাবেন।

তৃতীয় পর্যায়ে সার্ভিক্স ৩-৪ ইঞ্চি প্রসারিত হয়। যন্ত্রণা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বমি পেতে থাকে, ঘাম হয়, কাঁপুনি দিতে থাকে।

তৃতীয় পর্যায় খুব কম সময়ের হলেও সবচেয়ে কঠিন। ১৫ মিনিট থেকে ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ডাক্তার না বলা পর্যন্ত এই সময় ‘পুশ’ করা উচিত নয় বলে জানান চিকিৎসকরা।

দ্বিতীয় ধাপ-পুশ

দ্বিতীয় ধাপেই শিশুর জন্ম হয়। ডাক্তাররা এই সময় পুশ করতে বলেন। ‘পুশ করার সঙ্গে সঙ্গেই রিল্যাক্স থাকতে হবে। এক সঙ্গে পুশ ও রিল্যাক্স করা কঠিন হলেও তা সম্ভব। ডাক্তার যেভাবে বলছেন, সেভাবেই পুশ করুন।

প্রথমে শিশুর মাথা বেরিয়ে আসে। সেই সময় একটু জ্বালা করলেও ধীরে ধীরে কমে আসে।

তৃতীয় ধাপ-প্লাসেন্টা

তৃতীয় ধাপে প্লাসেন্টা শরীরের বাইরে বেরিয়ে আসে। প্লাসেন্টা বেরনো পর্যন্ত জরায়ুর সংকোচন হবে। ডাক্তার, নার্সরা এই সময় পেটে হালকা মাসাজ করতে থাকেন।

এই পর্যায় কিছু অস্বস্তিকর। প্লাসেন্টা বেরিয়ে আসার পর তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন চিকিত্সকরা। এই সময় যোনিতে অসম্ভব ব্যথা অনুভূত হয়।

চতুর্থ ধাপ

ডেলিভারি শেষ। জরায়ুর কিছু কাজ বাকি থেকে যায় এই সময়। জরায়ু আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসার কারণে সংকোচন অনুভূত হয়। কিন্তু এই সময় ব্যথা হয় না। নরম্যাল ডেলিভারির পর শরীর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে দু’দিন সময় লাগে। এই সময় হাসপাতালে থাকতে বলেন চিকিত্সকরা।

প্রচুর পরিমাণ পানি খেয়ে শরীর হাইড্রেটেড রেখে মলত্যাগ স্বাভাবিক হলে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

Related Posts

রোজা রেখে অ্যাসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হলে কী করবেন!

রোজার মাসে সবাই যেন খাবারের প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে। সারা দিন না খাওয়ার অভাবটুকু ইফতারে পুষিয়ে নেওয়ার জন্য কি এই প্রতিযোগিতা? কে কত খেতে বা রান্না করতে পারে।…

গলার অতিরিক্ত চর্বি কমানোর ১০টি সহজ উপায়…

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই লক্ষ্য করছেন তো জিনিসটা? আর ভাবছেন কী বাজে লাগছে মুখটা! অতিরিক্ত কী একটা ঝুলছে! আজ্ঞে হ্যাঁ, আমি গলায় জমে থাকা…

জানেন কি গরমে খাবারের চার্ট কেমন হওয়া উচিত?

গরমে অস্বস্তিতে সবাই। এরমধ্যে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় অনেকের ক্ষেত্রে বিভিন্ন শারীরিক অসুবিধা দেখা দিচ্ছে। তাই গরমে সুস্থ থাকতে ঠিকঠাক খাবার চার্ট খুবই জরুরি-…

বয়স অনুযায়ী আপনার শিশুর প্রতিদিন কতটুকু পানি প্রয়োজন

বাচ্চার কতটুকু পানি প্রয়োজন সেটি আসলে নির্ভর করে বাচ্চার অবস্থা, ওজন ও বয়সের ওপর। জ্বর বা অসুখের সময় পানির বেশি প্রয়োজন। বেশি গরম পড়লে, খেলাধুলা করলে বেশি…

শারীরিক সৌন্দর্য বারাতে ও ওজন কমাতে রইল ১৪ টি সহজ ঘরোয়া উপায়

মাঝে মাঝে ব্যয়াম ও কখনো কখনো ডায়েট করে ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জন করাটা আসলেই দুঃসাধ্য।শরীরের বাড়তি মেদ নিয়ে আজকাল অনেকেই চিন্তিত। সুস্বাস্থ্যের জন্য তো বটেই, শারীরিক সৌন্দর্যের…

ওভেনের খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়!

কম সময়ে খাবার গরম করতে মাইক্রোওয়েভ ওভেনই ভরসা। আধুনিক এই যন্ত্রটি জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। নামমাত্র সময়ে ঠান্ডা খাবার গরম করার এর চেয়ে ভাল উপায় আর নেই।…