আসন্ন মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট ও সমমানের পরীক্ষা নকলমুক্ত ও সুষ্ঠু পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে জাতীয় মনিটরিং কমিটির সভায় পরীক্ষা শুরুর তিন ঘণ্টা আগে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে বিষয়টির সঙ্গে যেহেতু অন্য মন্ত্রণালয়গুলো জড়িত, তাই তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং সরকার প্রধানের নির্দেশনা নিয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সোমবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এই সভায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সভাপতিত্ব করেন।
এতে আসন্ন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠু, নির্বিঘ্ন ও নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ানো রোধ, ফেসবুকে প্রশ্ন সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। একইসঙ্গে কিছু সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, আসন্ন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা আগে অবশ্যই পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশ করে স্ব স্ব আসনে বসতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের অজুহাত গ্রহণযোগ্য হবে না এবং এর ব্যত্যয় হলে পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে না। কোনো পরীক্ষার্থীর হাতে কোনো মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে তাকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কার করা হবে।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, আসন্ন এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরুর তিন দিন আগে থেকে শুরু করে সকল পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত দেশে সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। এ সময়ের মধ্যে কোনো কোচিং সেন্টার খোলা রাখা যাবে না।
এতে জানানো হয়, পরীক্ষা কেন্দ্রে কেউ স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারবে না। শুধুমাত্র কেন্দ্র সচিব একটি সাধারণ ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।
সভায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আসন্ন এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সম্পূর্ণ নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা নকল প্রতিরোধে আক্রমণাত্মক থাকবে। কোনো শিক্ষক-কর্মকর্তা এর সঙ্গে জড়িত হলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে বহিষ্কারসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনাও দেন।
সভায় পরীক্ষা শুরুর আগে থেকে পরীক্ষা চলাকালীন দেশে ইন্টারনেট ও ফেইসবুক বন্ধ রাখার ব্যাপারেও আলোচনা হয়।