ব্রেস্ট ক্যানসার আমেরিকাতে একটি ভীষণ পরিচিত রোগ, যা প্রায় প্রতি ১০জন মহিলার মধ্যে গড়ে একজনের হয়েই থাকে। তাই ২০১৭ সালের অক্টোবার মাসে কপারফিল নামক একটি প্রজেক্টের মধ্যে তৈরি হওয়া একটি বিজ্ঞাপনের মাধম্যে একটি বিশেষ বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
বলা হয়েছিল প্রতিদিন পোশাক পরার সময় নিজেই নিজের স্তণ পরীক্ষা করুন। আর তাতে কোনওরকম অস্বাভাবিকতা বা ব্যথা দেখা দিলে তৎক্ষণাৎ ডাক্তারের সঙ্গে পরার্মশ করুন।
এভাবেই মার্কিন মুলুকে কপারফিল নামক প্রজেক্টের মাধ্যমে ব্রেস্ট ক্যানসার অ্যাওয়্যরনেস ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা এখনও চলছে যাতে আগামিদিনে কমে আসে ব্রেস্ট ক্যান্সারের মতো রোগের হার।
কিন্তু জানেন কি, কীভাবে আপনার শরীরে ব্রেস্ট ক্যানসারের মতো রোগের জন্ম হয়? এই রোগ আমাদের শরীরে থাকা বিআরসিএ বা ব্র্যাকা নামক জিনের ক্রুটি থেকেই শুরু হয়। আমাদের শরীরে মূলত বিআরসিএ বা ব্র্যাকা নামের দুটি জিন থাকে, তার মধ্যে যে কোনও একটি জিনে কোনওরকম ত্রুটি তৈরি হলে সেটা সরাসরি আমাদের শরীরে থাকা ডিএনএ গুলির উপর প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করে।
যার ফলে সেখান থেকেই জন্ম নেয় ক্যানসারের জীবাণু। আর সেই জীবাণু যখন ধীরে ধীরে আমাদের শরীরের বিভিন্ন কোশে ছড়িয়ে পড়ে তখনই কেউ ক্যানসার দ্বারা আক্রান্ত হয়।
তাই আপনিও আজ থেকে প্রতিদিন পোশাক পরার সময় নিজেই নিজের স্তণ পরীক্ষা করুন। আর তাতে কোনওরকম অস্বাভাবিকতা বা ব্যথা দেখা দিলে তৎক্ষণাৎ ডাক্তারের সঙ্গে পরার্মশ করুন।
যদিও অনেক ডাক্তারাই মনে করেন বেশিরভাগ অল্পবয়সি মেয়েরাই তাঁদের স্তনে কোনওরকম অস্বাভাবিকতা বা ব্যথা দেখা দিলে ডাক্তারের কাছে যান না। কারণ তারা মনে করেন এতে হয়তো তাদের স্তন কেটে ফেলার মতো ঝুঁকি নিতে হতে পারে।
এই বিষয়ে নজির গড়েছেন হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। তিনি নিজে পরীক্ষা করে যখন দেখেছিলেন তাঁর ব্রেস্ট ক্যানসারে হওয়ার ৮৭% সম্ভাবনা রয়েছে। তখন তিনি নিজেই নিজের স্তন কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
এছাড়া জানিয়ে রাখা ভাল স্তন ক্যানসার ছাড়াও ত্রুটিপূর্ণ বিআরসি-এর কারণে ওভারিয়ান ও প্রোস্টেট ক্যানসারও হতে পারে। তাই আপনিও আজই সাবধান হোন আর শরীরে কোনওরকম অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সবরকম পরীক্ষা করে সতর্ক হয়ে যান।