ওজনটা একটু কমানোর জন্য বা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অনেকেই দুপুরে ভাত খাওয়াটা ছেড়ে দেন। ভেতো বাঙালির পক্ষে অবশ্য দিনে একবেলা ভাত খেয়ে থাকা কষ্টকরই। ভাত খাওয়া ছেড়ে লাভটা তো কিছু হয় না, মনটাও খাই খাই করতে থাকে। ফলে এটা-সেটা হাবিজাবি খাওয়া হয়ে যায় অনেক। আর ফলাফল যা হবার হয় ঠিক তাই। ওজন আর নিয়ন্ত্রণে থাকে না।
দুপুরে পেটপুরে ভাত খেয়েও স্লিম ও সুন্দর থাকতে চান? তাহলে মনে রাখুন এই টিপসগুলো!
১) যেটুকু ভাত খাবেন, ঠিক সম পরিমাণ কাঁচা সবজির সালাদ খাবেন। অর্থাৎ, আপনি যদি এক কাপ ভাত খান, তাহলে অবশ্য এক কাপ সালাদ খাবেন। খেতেই হবে। এই সালাদে থাকতে পারে শসা, টমেটো, বাঁধাকপি, গাজর ইত্যাদি। খুব সামান্য লবণ, কোন তেল দেবেন না। সালাদ ড্রেসিংও না।
২) ভাতের সাথে ডাল খাবেন। মাছ বা মাংস যে কোন একটা খাবেন। সালাদ, ডাল ইত্যাদি আপনার ভাত খাওয়ার পরিমাণ এমনই থেকেই কমিয়ে দেবে ও বেশি যেন খেয়ে না ফেলেন সেটা নিয়ন্ত্রণ করবে।
৩) ভাত খেতে শুরু করার আগে প্লেটে খাবার মেপে নেবেন। এবং যেটুকু নেবেন ঠিক সেটুকুই খাবেন। বারবার প্লেটে খাবার তুলবেন না।
৪) অনেকেই খেয়ে তারপর গোসল করেন দুপুরে। এই কাজটি মোটেও করবেন না। এতে মেটাবোলিজম হার কমে যায় এবং খাবার হজম না। ওজন বাড়ে দ্রুত।
৫) ভাত খাওয়ার পর ঘুমাবেন না মোটেও। একেবারেই না। এবং এক জায়গায় বসেও থাকবেন না। ভাত খাবার আধা ঘণ্টা পর ২০ থেকে ৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করে নিন।
৬) ভাত খেয়ে ওঠার পরপরই চা বা কফি পানের অভ্যাস থাকে অনেকের। এই অভ্যাসটিও ত্যাগ করতে হবে।
৭) রাইস কুকারে রান্না করা ভাত বা বসা ভাত খাবেন না মোটেও। এবং ভাতের সাথে কোন আলু ভর্তা বা আলুর তরকারি খাবেন না।
ভাতে কোন বাড়তি তেল নেই, বরং ভাত বেশ স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। আপনি যদি উপরে বর্ণিত নিয়ম মেনে ভাত খান তাহলে পেট ভরবে, মন ভরবে কিন্তু ওজন বাড়বে না মোটেও। বরং ওজন কমবে যদি এর সাথেই নিয়মিত এক ঘণ্টা করে ব্যায়াম চালিয়ে যেতে পারেন।
পরামর্শ দিয়েছেন- মৃন্ময়ী খান “রন্ধন ইশকুলের” রন্ধন ও পুষ্টিবিদ মেহেদিবাগ, চট্টগ্রাম