প্রেমে পড়তে তো পাঁজি দেখতে হয় না! কখন কীভাবে কার সঙ্গে প্রেম ঘটে যাবে, তা কেউ বলতে পারে না। আর এই
অবিমৃশ্যকারিতার ফল অনেক সময়েই চোকাতে হয় বিপুল দামে। বিশ্বাসে আঘাত দিয়ে কখন কেটে পড়েন প্রেমিকপ্রবর বা প্রেমিকারাজ্ঞী, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। এই বিষয়ে একটি বিশেষ সতর্কবার্তা শোনায় পাশ্চাত্য জ্যোতিষ। এই শাস্ত্র মতে রাশিচক্রের ৬টি রাশির মধ্যেই দেখা যায় প্রেমে প্রতারণার প্রবণতা। আর যেহেতু পাশ্চাত্য মতে জাতকের জন্মদিন অনুসারে নির্ধারিত হয় তার রাশি, সেহেতু প্রণয়ী বা প্রণয়িনীর জন্মতারিখটি জানা থাকলে আগাম নিশ্চিত হওয়া যায়।
জেনে নেওয়া যাক কোন ৬টি রাশিকে চিহ্নিত করে পাশ্চাত্য জ্যোতিষ।
• মিথুন (জন্মদিন ২১ মে থেকে ২১ জুনের মধ্যে)— মিথুন জাতকের মধ্যে সর্বদাই নতুন কিছু খোঁজার প্রবণতা রয়েছে। দীর্ঘদিন কোনও একটা বিশেষ কিছুকে আঁকড়ে এঁরা কাটাতে পারেন না। সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এঁরা সর্বদাই নতুনত্ব খোঁজেন। তাই কোনও একটি সম্পর্কে এঁরা বেশিদিন আটকে থাকতে পারেন না। কিন্তু সৃষ্টিশীল কাজে নিষুক্ত তাকলে এঁরা আবার প্রেমের প্রতি উদাসীন হয়ে যান। তখন কে সঙ্গী আর কে সঙ্গিনী, তা নিয়ে মাথা ঘামান না।
• বৃশ্চিক (জন্মদিন ২৩ অক্টোবর থেকে ২১ নভেম্বরের মধ্যে)— এঁদের শারীরিক চাহিদা অত্যন্ত বেশি। আর এই চহিদা মেটানোর জন্য এঁরা অনেক সময়েই নৈতিকতার ধার ধারেন না। ফলে প্রায়শই ঘটে যায় সম্পর্কে ছেদ। শুরু করেন নতুন সম্পর্ক। আবার অনেক সময়ে একাধিক সম্পর্কের মধ্যে এঁরা কাল কাটান।
• ধনু (জন্মদিন ২২ নভেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে)— এঁরা বন্য প্রেমিক। প্রেমটাই এঁদের কাছে মুখ্য। প্রেমিক বা প্রেমিকা কে, তা নিয়ে এঁরা মাথা ঘামাতে রাজি নন। এমন প্রেমিক বা প্রেমিকার কাছে স্থায়ী সম্পর্ক আশা না করাই ভাল।
• সিংহ (জন্মদিন ১৬ অগাস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে)— এই রাশির জাতক মনে করেন, পৃথিবীর কেন্দ্রে তাঁরাই রয়েছেন। বাকিরা তাঁদের ছায়া বা উপছায়া মাত্র। এঁরা আত্মপ্রেমিক। নিজের সুখের প্রয়োজনে এঁরা সম্পর্ক বন্ধনকে সর্বদা স্বীকার করেন না। অবশ্য এঁদের সহজেই বশ করা যায়। না ঘাঁটালে এঁরা সম্পর্ক নষ্ট করেন না।
• কুম্ভ (জন্মদিন ২০ জানুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে)— এঁরা সাধারণত মুক্ত মানুষ। প্রথাবদ্ধ জীবনধারায় এঁরা আবদ্ধ থাকতে চান না। এঁরা সাধারণত প্রেমিক বা প্রেমিকার জন্য প্রাণ দিতেও প্রস্তুত থাকেন। কিন্তু, সেই বিশ্বস্ততা স্থায়ী নয়। অন্য প্রেমের সন্ধানে এঁরা প্রায়শই বেরিয়ে আসেন পুরনো সম্পর্ক থেকে।
• মেষ (জন্মদিন ২১ মার্চ থেকে ১৯ এপ্রিলের মধ্যে)— এঁরা সাধারণত বিস্বস্তই হন। তবে মাঝে মধ্যে বিশ্বাসভঙ্গের প্রবণতা এঁদের মধ্যে দেখা যায়। কোনও সম্পর্ক চাপ হয়ে বসলে এঁরা তা থেকে বেরিয়ে আসেন। তাই এঁদের উপরে চাপ দেওয়া কখনওই উচিত নয়।