আমরা সকলেই সুন্দর হতে চাই, সুস্থ থাকতে চাই। কিন্তু নিত্য নিয়ম, সময়ের স্বল্পতা, আমাদের আলস্য, অনীহা সব মিলিয়ে নিজের পরিচর্যা করাটা সব সময় হয়ে উঠে না। কিন্তু নিজেকে ফিট রাখাটা একান্ত জরুরি। বাড়তি ওজন শুধু আপনার দৈহিক সৌন্দর্যকেই নষ্ট করে না বরং বিভিন্ন রোগের আশঙ্কাকেও বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে নিজের মতো করে নিজেকে উপস্থাপন করাটাও একটি শৈল্পিক বিষয়। তাই নিজেকে সুন্দর রাখতে সব সময়ই দরকার নিজের ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা।নীচের এই ৫০ টি টিপস আপনার শরীরের বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলে আপনাকে করে তুলবে স্লিম ও ফিট।
১. ভাজা-পোড়া খাওয়া একদম বাদ দিয়ে দিন।
২. রেস্তোরাঁয় খাওয়া, দাওয়াত কবুল করাও কিছুদিন বন্ধ রাখুন।
৩. লো কার্ব এবং হাই প্রোটিন ডায়েটে চলে যান। অর্থাৎ, ভাত কিংবা রুটির পরিমাণ একদম কমিয়ে দিন। প্রয়োজনে একবেলা এগুলো খাবেনই না। বদলে সবজি, মাংস, মাছ, ডাল ও নানান রকমের মৌসুমি ফল খাদ্যতালিকায় যোগ করুন।
৪. চিকিৎসকের পরামর্শে ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন। এতে অন্যদের তুলনায় ২.৬% ওজন বেশি কমবে। কারণ ক্যলসিয়ামের কারণে মেটাবোলিজম বৃদ্ধি পায়।
৫. টক দইয়ের সাথে দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে রোজ এক বাটি খেয়ে দেখুন। দ্রুত ওজন কমবে।
৬. কাজের ফাঁকে হাঁটাহাঁটি করুন, নিজের কাজগুলো নিজেই করুন। অফিসে বা বাসায় এক টানা বসে থাকবেন না। লিফট বাদ দিয়ে সিঁড়িতে যান।
৭. প্রচুর হাসুন, খোশমেজাজে থাকুন। দিনে ১৫ মিনিটের হাসিতে সপ্তাহে ২৮০ ক্যালোরি ক্ষয় হয়। বিষণ্ণ মানুষ বেশি খেয়ে থাকে।
৮. খাবারের ক্যালোরি হিসেব করে খান। একটি ডায়েরি রাখতে পারেন হিসাবের সুবিধার জন্য। সেলফোনেও আজকাল অনেক অ্যাপ পাওয়া যায় এই কাজে সহায়তার জন্য।
৯. প্রতিদিন এক গ্লাস গাজরের রস ১২ সপ্তাহে ৪ কেজি বাড়তি ওজন ঝরাতে সহায়ক।
১০. প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা ব্যায়াম করুন।
১১. ব্যায়ামের সময় গান শুনুন এবং গানের ছন্দের সাথে সাথে দেহের নাড়াচাড়ার মাধ্যমে বাড়তি ক্যালোরি ক্ষয় করুন।
১২. একা ব্যায়াম করার বদলে কয়েকজন মিলে একসাথে ব্যায়াম করুন। এতে ব্যায়াম বেশি করা হয়, উৎসাহ থাকে, ওজনও বেশি কমে।
১৩. খাদ্যতালিকায় লাল ক্যাপ্সিকাম রাখুন। ওজন কমাতে সহায়ক।
১৪. সকালে ব্যায়াম করা ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
১৫. মূল খাবারের পাশাপাশি ছোটখাট স্ন্যাক্স হিসেবে হাই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বেছে নিন। যেমন বাদাম।
১৬. টেলিভিশন দেখতে দেখতে খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিন। এতে বেশি খাওয়া হয়ে যায়।
১৭. খাবার ছোট স্লাইস করে কাটুন, এতে কম খাওয়া হয় তুলনামূলকভাবে। ছোট প্লেটে খাওয়া অভ্যাস করুন।
১৮. প্রতিদিন দৌড়ানো অভ্যাস করতে পারলে খুব ভাল।
১৯. সকালে একটি ডিম ওজন কমাতে খুবই সহায়ক।
২০. আম, লিচু, কলার মত উচ্চ ক্যালোরির ফল কম খাবেন।
২১. কিছুদিনের জন্য বাড়তি চিনি একদম বাদ দিন।
২২. স্ট্রেস ইটিং পরিহার করুন।
২৩. সুগার ফ্রি চুইংগাম চিবালে অকারণে খাওয়ার অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
২৪. আনার বা ডালিম খান প্রতিদিন। এর বীজ শরীরে ফ্যাট জমা প্রতিহত করে।
২৫. রান্না করার মাংসের চাইতে আগুনে ঝলসানো মাংস ভালো। কারণ এতে বাড়তি চর্বি ঝরে যায়।
২৬. প্রতিদিন অন্তত দুই কাপ গ্রিন টি পান করুন। এতে মেটাবলিজম অন্তত ২০% বৃদ্ধি পাবে।
২৭. দিনে একবার পানি বা দুধের সাথে মিশিয়ে ত্রিফলা চুর্ন পান করতে পারেন।
২৮. সিমের বীজ বা নানান রকমের বিনস খাদ্য তালিকায় যোগ করুন।
২৯. সকালে মধু ও দারুচিনির সিরাপ খেলে তা ওজন কমায়।
৩০. প্রতিদিন পালং শাক খান। বেবি স্পিনাচ কাঁচা খেতে পারলে খুব ভালো।
৩১. সাধারণ চিজ বাদ দিয়ে গোট চিজ খেতে পারেন। সম্ভব হলে চিজ খাওয়াই বাদ দিন কিছুদিনের জন্য।
৩২. উচ্চমাত্রার লবণ আছে এমন সবকিছু খাওয়া বাদ দিন।
৩৩. খাদ্যতালিকায় মসুরির ডাল ১০ সপ্তাহে ১৫ পাউন্ড বাড়তি ওজন কমাতে সহায়ক।
৩৪. আখরোট ও কাঠবাদাম ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৩৫. জুস না খেয়ে ফলের স্মুদি পান করুন। কারণ জুসে ফাইবার নষ্ট হয়ে যায় বা ছাঁকার পর বাদ হয়ে যায়। ফাইবার ওজন কমাতে জরুরী।
৩৬. সেহেরি বা সকালের নাশতা বাদ দেবেন না।
৩৭. সূর্যমুখীর তেল বা বীজ ওজন কমাতে দারুণ।
৩৮. খাওয়ার আগে একটি আপেল খান। এতে প্রতি বেলায় অন্তত ১৮৭ ক্যালোরি কম খাওয়া হবে।
৩৯. সালাদে কংবা রান্নায় অলিভ ওয়েল ব্যবহার করুন। ওজন কমাতে সহজ হবে।
৪০. সয়াবিন তেল বা ডালডা খাওয়া একদম বাদ দিন।
৪১. প্রত্যেক বেলায় খাবারে টমেটো রাখুন।
৪২. দিনে অন্তত ১ বাটি শসা খান।
৪৩. অল্প করে খান, একটু পর পর খান। অনেক সময় বিরতি দিয়ে খাবেন না।
৪৪. আনারস খান প্রতিদিন, ওজন কমাতে দারুণ।
৪৫. অন্তত ৬ থেকে ৮ গ্লাস পানি পান করুন।
৪৬. সাধারণ চা-কফি খাওয়া বাদ দিন।
৪৭. খাবারে সিরকা বা ভিনেগার ব্যবহার করুন।
৪৮. লাল আটা বা হোল হুইট ব্রেড খান। লাল চিঁড়া, লাল চাল সবই উপকারি।
৪৯. এনার্জি ড্রিংক, সফট ড্রিংক একদম বাদ দিন। ননীযুক্ত দুধ খাবেন না।
৫০. প্রতিদিন সাঁতার কাটুন সুন্দর ফিগারের জন্য।
স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। শরীর ফিট থাকলে আপনিও থাকবেন অনেক ভালো।