গর্ভধারণ প্রতিটি মেয়ের জন্য অনেক কাঙ্ক্ষিত , অনেক অনন্দের একটি বিষয় । মাতৃত্ব প্রতিটি মেয়ের জীবনে নতুন মাইলফলক যোগ করে । কিন্তু অনেক সময় মেয়েরা প্রথম কয়েক মাস বুঝতে পারেন না তারা গর্ভবতী । বিশেষত যাদের মাসিক অনিয়মিত তাদের বুঝতে সমস্যা হয়ে থাকে । আর তখন অসাবধান ভাবে চলাফেরা করার কারণে সম্মুখিন হতে পারে গর্ভপাতের মত সমস্যার !
তাই সন্দেহ হওয়ার সাথে সাথে পরীক্ষা করে নিন আপনি গর্ভবতী কিনা । এই পরিক্ষাটি আপনি ঘরে করে ফেলতে পারেন । খুব সহজ কিছু ঘরোয়া উপায়ে জেনে নিতে পারেন আপনি গর্ভবতী কিনা ।
১। টুথপেস্ট
আপনি গর্ভবতী কিনা এটা বোঝার সবচেয়ে সহজ এবং ঘরোয়া উপায় হল টুথপেস্ট । একটি পরিস্কার কনন্টিনারে আপনার সকালের ইউরিনের সাথে অল্প কিছু টুথপেস্ট মিশিয়ে নিন । কিছুক্ষণ এভাবে রেখে দিন । যদি ইউরিন নীল রং ধারণ করে অথবা ফেনা উঠে যায় । তবে বুঝতে হবে আপনি গর্ভবতী । সাদা টুথপেস্ট ব্যবহার করবেন ।
২। চিনি
রান্নাঘরের এই উপাদানটি সাহায্য করবে আপনি গর্ভবতী কিনা সেটা পরীক্ষা করার জন্য । এক টেবিল চামচ চিনির সাথে সকালের প্রথম উইরিন মিশিয়ে নিন । কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন । তারপর লক্ষ্য করুন চিনি উইরিনের সাথে মিশে গেছে কিনা ? যদি মিশে যায় তবে বুঝতে পারবেন আপনি গর্ভবতী নয় , আর যদি ইউরিন জমাট বেঁধে যায় তবে আপনি বুঝতে হবে আপনি গর্ভবতী ।
৩। সাবান পানি
সকালের প্রথম ইউরিনের সাথে সাবান পানি মিশিয়ে নিন । ইউরিন এবং সাবান পানি মিশে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন । যদি মিশ্রণটিতে বুদবুদ উঠে । তবে আপনি গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । এই পরীক্ষাটি সবসময় সঠিক ফল দিয়ে থাকে না । এটি করার পর আপনি অন্য আরেকটি পরীক্ষা করে নিতে পারেন ।
৪। সরিষা পাউডার
বাথটব বা এক বালতির পানির মধ্যে দুই কাপ সরিষা গুঁড়ো মিশিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন । এবার এই পানি দিয়ে গোসল করে ফেলুন । সরিষা আপনার শরীরকে গরম করে দিয়ে থাকে । যার কারণে ৪-৫ দিনের মধ্যে আপনার মাসিক হয়ে যাবে । আর আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন , তবে মাসিক বন্ধ থাকবে ।
৫। ভিনেগার
ভিনেগারে সাথে সকালের প্রথম ইউরিন মিশিয়ে নিন । যদি এটি এর রং পরিবর্তন হয়ে যায় , তবে বুঝতে হবে আপনি গর্ভবতী । রং অপরিবর্তিত থাকলে বুঝে নিবেন আপনি গর্ভবতী নন ।
টিপস :
একজন মহিলা যখন গর্ভবতী হন, তখন তার রক্তে এইচসিজি এর পরিমাণ বেড়ে যায়, তখন রক্ত পরীক্ষা করলে ধরা পরে আপনি গর্ভবতী কিনা। এই পরিক্ষাগুলো অনেক আগ থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে। বেশির ভাগ সময় এই পরীক্ষাগুলো সঠিক ফল দিয়ে থাকে।